
১. অবসাদ ও সর্দি মোকাবিলা করতে পারে টমেটো। টমেটোতে থাকা বিটা ক্যারোটিন শরীরে ভিটামিন এ হিসেবে রূপান্তরিত হয়। এতে শরীর সুরক্ষিত থাকে। যেসব ভাইরাস সর্দি-কাশি সৃষ্টি করে, তাদের বিরুদ্ধে লড়তেও সাহায্য করে ক্যারোটিন। সাইট্রিক ও ম্যালিক অ্যাসিডের কারণে টমেটোর কিছুটা টক স্বাদ হয়। এতে গ্যাস্ট্রিক মিউকোসা সুরক্ষিত থাকে। পাকস্থলী সক্রিয় থাকে এবং বিপাকীয় কার্যক্রম বাড়ে।
২. বুড়িয়ে যাওয়া কিংবা জীবনযাপন-সম্পর্কিত নানা সমস্যা সমাধান করতে পারে টমেটো। টমেটোর রং তৈরির জন্য দায়ী লাইকোপিন নামের একটি উপাদান। লাইকোপিন এক ধরনের ক্যারোটিনয়েড, যা তরমুজেও থাকে। এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে বিটাক্যারোটিনের দ্বিগুণ প্রভাব ফেলে। এ ছাড়া ভিটামিন ই-এর চেয়ে শতগুণ কার্যকর। এই লাইকোপিনের জন্য শরীরে ক্যানসার বাসা বাঁধতে পারে না। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, বিটা-ক্যারোটিন ও রুটিন নামের তিন ধরনের উপাদান থাকায় রক্তের বাজে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩. উচ্চ রক্তচাপ কমাতে পারে টমেটো। এতে ভিটামিন সি আছে, যা রক্তচাপ কমায় এবং এতে থাকা পটাশিয়াম রক্তে জলীয় অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। এতে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় রক্তপ্রবাহ বাড়ায়।
৪. লাইকোপিন শরীরে গ্রোথ হরমোন
নিঃসরণে প্রভাব ফেলে। এ ছাড়া বিপাকীয় প্রক্রিয়া দ্রুত করে শরীরে তাপ উৎপাদন করে। এতে শরীরের মেদ কমে।
৫. টমেটোতে আছে বয়স প্রতিরোধী বিশেষ প্রভাব। শরীরের ত্বক কুঁচকে যাওয়া, ভাঁজ পড়া বা বলিরেখা পড়া দূর করতে পারে টমেটোতে থাকা লাইকোপিন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন