চিকিৎসা পরিভাষায় কমলা লেবু, পাতি লেবু, মৌসম্বি লেবু এবং জামকে সাইট্রাস
ফল হিসেবে বিবেচিত করা হয়ে থাকে। অনেকেই হয়তো জানেন না যে সাইট্রাস ফলে
রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন-সি। সেই সঙ্গে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং
আরও সব উপকারি উপাদান, যা শরীরের গঠনে দারুন কাজে আসে। সর্বোপরি, শরীরকে
ভেতর এবং বাইরে থেকে সুস্থ রাখতেও ভিটামিন-সি অগ্রগণ্য় ভূমিকা পালন করে
থাকে। তাই তো প্রতিদিন যদি একটা করে সাইট্রাস ফল খেতে পারেন, তাহলে শরীরের
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দারুন শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ফলে ছোট-বড় নানা রোগে
আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। সেই সঙ্গে মেলে আরও অনেক উপকার। যেমন
ধরুন...
১. ক্যান্সারের মতো রোগকে দূরে রাখে:
হাওয়ার্ড ইউনির্ভাসিটির গবেষকদের করা এক পরীক্ষায় দেখা গেছে সাইট্রাস ফলের
অন্দরে থাকা ফ্লেবোনয়েড এবং ভিটামিন সি, শরীরের অন্দরে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। ফলে ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানেরা
বেরিয়ে যায়। সেই সঙ্গে কমে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কাও।
২. খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়:
সাইট্রাস ফলগুলিতে প্রচুর মাত্রায় দ্রবণীয় ফাইবার থাকে, যা শরীরে বাজে
কোলেস্টরল জমতে দেয় না। ফলে হার্ট অ্যাটাক সহ আরও নানা ধরনের জটিল রোগে
আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।
৩. কিডনি স্টোনের আশঙ্কা কমায়:
শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বেরিয়া না গেলেই কিডনিতে স্টোন জমার আশঙ্কা
বাড়ে। আর ভিটামিন সি এই কাজটিই করে থাকে। শরীর থেকে যাতে ক্ষতিকর সব
উপাদান পুরো মাত্রায় বেরিয়ে যেতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখাই ভিটামিন-সি
প্রধান কাজ। তাই তো বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন সাইট্রাস ফল একসঙ্গে অনেক কাজে
লাগে। তাই বলেই তো এই ফলগুলি খেলে শরীর এত চাঙ্গা থাকে।
৪. শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করে:
করলার রস খেলে কি সত্যিই শরীরের উপকার হয়?
করলার রস খেলে কি সত্যিই শরীরের উপকার হয়?
সাবধান: ভূতের খপ্পরে যদি পরতে না চান তাহলে সন্ধ্যার পর কলকাতা শহরের
এই জায়গাগুলিতে যাবেন না যেন!
সাবধান: ভূতের খপ্পরে যদি পরতে না চান তাহলে সন্ধ্যার পর কলকাতা শহরের
এই জায়গাগুলিতে যাবেন না যেন!
মাইগ্রেনের ব্যাথায় কি খুব কষ্ট পাচ্ছেন? তাহলে দয়া করে কাজে লাগান এই
ঘরোয়া পদ্ধতিগুলিকে!
মাইগ্রেনের ব্যাথায় কি খুব কষ্ট পাচ্ছেন? তাহলে দয়া করে কাজে লাগান এই
ঘরোয়া পদ্ধতিগুলিকে!
৪. শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করে:
ভিটামিন-সি ছাড়াও সাইট্রাস ফলে ভিটামিন- বি, পটাশিয়াম, কপার, প্রভৃতি
খনিজগুলিও রয়েছে। তাই ফলগুলি শরীরকে সবদিক থেকে পুষ্টি প্রদান করে থাকে।
৫. চুলের সৌন্দর্য বাড়ায়:
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত সাইট্রাস ফল খাওয়া শুরু করলে দেহের
অন্দরে ভিটামিন সি-এর মাত্রা বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে বাড়ে কোলাজেনের
পরিমাণও। যার প্রভাবে চুল এতটা শক্তপোক্ত হয়ে ওঠে যে হেয়ার ফলের মাত্রা
কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে বাড়ে চুলর সৌন্দর্যও।
৬. কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগ দূর করে:
এই ধরনের অসুবিধা কমাতে পারে একমাত্র ফাইবার। আর এটি রয়েছে সাইট্রাস ফলে।
তাই তো বলতেই হয়, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্য়াকে যদি টাটা-বাইবাই করতেই হয়,
তাহলে কিন্তু আজ থেকেই খাওয়া শুরু করতে হবে এই ফলগুলির কোনও একটি।
৭. ওজন কমায়:
ভিটামিন সি শরীরে জমতে থাকা ফ্য়াট সেলগুলিকে গলিয়ে দেয়। ফলে চর্বির মাত্রা
কমতে শুরু করে। সঙ্গে কমে যায় শরীরের ওজনও। আর একথা তো ইতিমধ্য়ে জেনেই
গেছেন যে ,সাইট্রাস ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটমানি- সি থাকে। তাই যদি অতিরিক্ত
ওজন কমাতে চান, তাহলে খাওয়া শুরু করুন সাইফ্রাস ফলগুলির মধ্য়ে কোনও একটি।
৮. ত্বকের হারিয়ে যাওয়া উজ্জ্বলতা ফিরে আসে:
ভেতর থেকে ত্বকতে ভালো করার মধ্য়ে দিয়ে স্কিনের উজ্জ্বলতা বাড়াতে
সাইট্রাস ফল দারুন কাজে দেয়। আসলে এই ফলগুলি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে
পরিপূর্ণ। আর ত্বককে সুন্দর করতে এই উপাদানটির কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে।
৯. হার্টের ক্ষমতা বাড়ায়:
সাইট্রাস ফুডে উপস্থিত ফাইবার রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য় করে। আর
একথা তো সকলেরই জানা যে রক্তচাপ যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে, তাহলে স্বাভাবিক
ভাবেই হার্টের স্বাস্থ্য়ও ভালো থাকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন