শনিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৮

ফ্যাট ডায়েট চার্ট

একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে ওজন কমানোর সময় খাবার খাওয়ার ব্যাপারে বেশ কিছু ভুল অনেকেই করে থাকেন। যার প্রভাবে সকাল-বিকাল শরীরচর্চা করেও তেমন একটা ফল পাওয়া যায় না। তাই তো চর্বি ঝরাতে চাইলে ডায়েটের দিকে খেয়াল রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। শুধু তাই নয়, এক্ষেত্রে আরও কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। যেমন ধরুন...  ১. প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে: ওজন কমানোর সঙ্গে সঙ্গে যাতে শরীর ভেঙে না যায় সে দিকে নজর রাখতে হবে। আর এই কারণেই তো রোজের ডায়েটে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার থাকা মাস্ট! প্রসঙ্গত, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে আরও কিছু উপকার পাওয়া যায়। যেমন ধরুন এই উপকারি উপাদানটি অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে বারে বারে খাবার খাওয়ার কারণে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা যায় কমে। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতাও বেড়ে যায়। ফলে ওজন কমতে সময় লাগে না।
২. লো ফ্যাট ডায়েট চার্ট ফলো করা মাস্ট: ওজন কমাতে অনেকে লো-ফ্যাট ডায়েট অনুসরণ করে থাকে। আপনাদের জানিয়ে রাখি এমন ডায়েট শরীরের পক্ষে একেবারেই ভাল নয়। কারণ লো ফ্যাট ডায়েট চার্টের মধ্যে যেসব খাবার জায়গা করে নেয়, সেগুলি খিদে খুব বাড়িয়ে দেয়। ফলে ওজন কমার জায়গায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। প্রসঙ্গত, কী খাবেন, কতটা পরিমাণে খাবেন, সে বিষয়ে যদি বুঝে উঠতে না পারেন, তাহলে একজন ডায়েটেশিয়ানের পরামর্শ নিয়ে ডায়েট চার্ট বানিয়ে নিতে পারেন।  ৩. খালি পেটে থাকা চলবে না: একটা কথা একেবারে মন্ত্রের মতো মাথায় ঢুকিয়ে নিন। না খেয়ে কিন্তু ওজন কমানো একেবারেই সম্ভব নয়। তাই তো ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ এবং ডিনার, কোনও সময় খালি পেটে থাকা চলবে না। না খেয়ে থাকলে, এক সময়ে গিয়ে খিদে এতটাই বেড়ে যায় যে, তা সহ্য় করা যায় না। ফলে সে সময় খিদের চোটে অনেকেই মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে ভাজাভুজি বা জাঙ্ক ফুড খেয়ে ফেলেন। ফলে ওজন কমার জায়গায় বাড়তে শুরু করে। ৪. রেজিসটেন্স এক্সারসাইজ করা মাস্ট: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত ওয়েট লিফ্টিং-এর মতো রেজিসটেন্স এক্সারসাইজ করলে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে পেশির গঠনে উন্নতি ঘটে এবং ওজন হ্রাসের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। ফলে ওজন কমতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, কারও হজম ক্ষমতা যত শক্তিশালী হয়, তত ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা কমতে থাকে। আর এই ধরনের শরীরচর্চা করলে ঠিক এই সুফলটাই পাওয়া যায়। হজম ক্ষমতা এতটা বেড়ে যায় যে শরীরের ইতিউতি চর্বি জমার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।৫. ভাল করে চিবিয়ে খাবার খেতে হবে: এই একটা বিষেয়ে অনেকেই খেয়াল রাখেন না। নানা কারণে কোনও মতে খাবার গিলে দৌড় লাগান অফিসের উদ্দেশ্যে। এমনটা করলেও কিন্তু ওজন বাড়ে। তাই সময় নিয়ে খাবার খান। ভাল করে চেবানোর পর তারপর খাবার গেলার অভ্যাস করুন। এমনটা না করলে নানা কারণে বেশি করে খাবার খাওয়ার ইচ্ছা তৈরি হয়। আর বেশি খেলে কী হয় তা তো কারও অজানা নেই। তাই না? ৬. খাবার না খেয়ে শুধু জুস পান নৈব নৈব চ! জুসে উপস্থিত চিনি খিদে আরও বাড়িয়ে দেয়। ফলে খাবার না খেয়ে যদি কেউ শুধু জুস খেয়ে যান, তাহলে তার খিদে কমে না, বরং বাড়তেই থাকে। ফলে এক সময়ে গিয়ে সে মাত্রতিরিক্ত খাবার খেয়ে ফেলেন। প্রসঙ্গত, ওজন কমানোর সময় বেশি করে ফাইবার এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। তাতে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকবে, সেই সঙ্গে শরীরে পুষ্টিরও অভাব ঘটবে না। ৭. জাঙ্ক ফুড এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলতে হবে: ৭. জাঙ্ক ফুড এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলতে হবে: অনেকেই ওজন কমাতে শুধু স্যালাড খান। কিন্তু সঙ্গে যোগ করেন চিজ বা ঐ জাতীয় অস্বাস্থ্যকর খাবার। ফলে ওজন তো কমেই না, বরং উলটো ফল হয়। তাই তো এইসব অতিরিক্ত ফ্যাট জাতীয় খাবার একেবারেই খাবেন না। পরিবর্তে পুষ্টিকর খাবার বেশি করে খাওয়ার চেষ্টা করবেন, যাতে শরীরের ক্ষয় রোধ হয়। ৮. কতটা ক্যালরি শরীরে প্রবেশ করছে খেয়াল রাখতে হবে: ৮. কতটা ক্যালরি শরীরে প্রবেশ করছে খেয়াল রাখতে হবে: এই একটা উপাদান শরীরে বেশি গেলে খারাপ। আবার কম গেলেও ক্ষতি। তাই তো নির্দিষ্ট পরিমাণে ক্যালরি খেতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যতটা ক্যালরি খাচ্ছেন, ততটা বার্ন হয়ে যাচ্ছে কিনা। এমনটা না হলেই কিন্তু ওজন বাড়তে শুরু করবে। প্রসঙ্গত, একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে শরীর তার প্রয়োজনীয় ক্যালরি না পেলে পেশি ভাঙতে শুরু করে। সেই সঙ্গে খিদেও মারাত্মক ভাবে বেড়ে যায়। কিন্তু ওজন ক্ষমতা যায় কমে। ফলে খাবার ঠিক মতো হজম হতে না পেরে ওজন বাড়তে শুরু করে। ৯. ভুলেও অতিরিক্ত শরীরচর্চা করা চলবে না: এমনটা করলে ওজন তো কমবেই না, উলটে শারীরিক এবং মানসিক চাপ বেড়ে গিয়ে শরীর খারাপ হতে শুরু করবে। তাই শরীরচর্চা করুন নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে। অতিরিক্ত কোনও কিছুই কিন্তু শরীরের জন্য় ভাল নয়, একথাটা কোনও দিন ভুলে যাবেন না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন