প্রত্যেক সচেতন মানুষের কাছে শরীরের ওজোন
বৃদ্ধি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়। অনেক ক্ষেত্রে রুটিন মেনে চললেও অনেকের
ওজোন বেড়ে যায় ফলে তারা অনেক দুশ্চিন্তায় থাকে। বিশেষজ্ঞরা এর কিছু কারন
বের করেছেন। এই সব কারণে শরীরের ওজোন বেড়ে যেতে পারে। আসুন তাহলে ওজোন
বৃদ্ধির অদ্ভুত কারনগুলো জেনে নেয়া যাক-
১। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ অথবা প্রেমিক-প্রেমিকের মধ্যে কলহ-
কিছুদিন আগে এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা জানতে
পারেন স্বামী – স্ত্রী অথবা প্রেমিক প্রেমিকার মধ্য কলহ হলে এক প্রকার
বিশেষ হরমোন নিঃসরণ হয়। এতে করে ক্ষুধা বেশি অনুভব হয়ে থাকে। গবেষকরা
জানিয়েছেন এই হরমোনের নিসরনের ফলে শরীরের ওজোন বেড়ে যায়। বিজ্ঞানীরা ৪৩
জোড়া
২। আয়রন গ্রহন করলে-
আর একটি নতুন গবেষণায় জানা যায়, লাল
মাংসের মধ্যে যে আয়রন থাকে তা খেলে মানুষের ক্ষুধা বেড়ে যায়। একটি গবেষণায়
দেখা গেছে, ইঁদুরকে উচ্চ ও নিম্ন মাত্রার আয়রন যুক্ত খাবার খাওয়ানো হয়েছিল,
দেখা গেছে উচ্চ মাত্রার হরমোন যুক্ত খাবার যে ইঁদুরগুলো খেয়েছে তাদের
শরীরে লেপটিনের মাত্রা কমে গেছে ফলে তাদের ক্ষুধা অনেক বেড়ে গেছে। অপরদিকে
যেসব ইদুর কম মাত্রার আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেয়েছে তাদের শরীরে লেপটিনের
মাত্রা কমে গেছে ফলে তাদের ক্ষুধা বেড়ে যায়নি। এ থেকে বুঝা যায় ক্ষুধা বেশি
অনুভব হলে মানুষ বেশি বেশি খাবে আর বেশি বেশি খেলে শরীরের ওজোন বৃদ্ধি
হবে।
৪। বিবর্তনের কারণে মানুষ মোটা হতে পারে বা ওজোন বেড়ে যেতে পারে-
অবেসিটি রিসার্চ এর একটি গবেষণায় জানা
গেছে, মানুষের মোটা হয়ে যাওয়াটা আগের থেকে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ৪০ বছর আগে
মানুষ এত মোটা হত না। তাদের মাঝে মোটা হওয়ার প্রবনতা ছিল না। এই প্রজন্মে
মানুষের মোটা হওয়ার চাহিদা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে, যার কারণে এই প্রজন্মের
মানুষ বেশি মোটা হচ্ছে। ১৯৭১-২০০৮ সাল পর্যন্ত ৩৬ হাজার লোকের উপর একটি
গবেষণা চালিয়ে এই রিপোর্ট প্রদান করেন। বিজ্ঞানীরা মনে করতেছেন, মানুষের
শক্তি গ্রহন এবং তার ব্যবহার পরিবর্তনের কারণে এমনটা হতে পারে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন