বুধবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

চুল পড়ার সমস্যা বাড়ছে কেন?

চুলকে সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। কখনো অতিরিক্ত যত্নে, অথবা কখনো যত্নের অভাবে চুল পড়ার সমস্যা হয়। আবার জিনগত বিষয়, শরীরে পুষ্টির ঘাটতি ইত্যাদি কারণে চুল পড়ার সমস্যা হতে পারে।
বর্তমানে চুল পড়ার সমস্যা বাড়ছে, ছোট থেকে বড় সবাই এই  সমস্যায় ভুগছে, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। চুল পড়ার সমস্যা এত বাড়ছে কেন, এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩১৮৫তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. তাওহীদা রহমান ইরিন। বর্তমানে তিনি শিওর সেল মেডিকেলের ডার্মাটোলজি বিভাগে পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : চুল পড়ার সমস্যা দিন দিন বাড়ছে। এর কারণ কী?
উত্তর : ত্বক আমাদের শরীরের আবরণ। তারই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ চুল। চুলকে আমরা হয়তো সৌন্দর্য বর্ধক হিসেবে বলে থাকি। আর সেই চুলের প্রতি মুহূর্তে ঝুঁকির আশঙ্কা থাকে। আর সেই কারণে দেখা যায় প্রবীণরা তো আছেনই, কিশোর- কিশোরী, তরুণ- তরুণী, এমনকি শিশুদের মাতাপিতারাও আসেন, সন্তানদের চুলের নানা ধরনের সমস্যা নিয়ে।
প্রশ্ন : এই যে সমস্যাগুলো হচ্ছে, কেন হচ্ছে?
উত্তর : আমি কারণগুলোকে এভাবে সাজাই, আমরা যে পরিবেশে বাস করছি, পরিবেশে কিন্তু ঋতু বদলের খেলা চলছে। গ্রীষ্মে সূর্যের প্রখরতা, বর্ষায় আর্দ্রতা, আবার শরতে যে ঋতু পরিবর্তন হয়, তার একটি প্রভাব রয়েছে। আবার বসন্তের রুক্ষতা ও শীতে শুষ্কতা- এগুলো প্রত্যেকটি আমাদের চুলকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
এরপর জিনগত কিছু বিষয় রয়েছে। স্বাস্থ্যগত কিছু বিষয় রয়েছে। কিছু কিছু রোগে আমাদের চুল পড়তেই থাকে। যেমন হরমোনের ভারসাম্যহীনতা যদি হয়, থাইরয়েডের সমস্যা, ডায়াবেটিস, (যাদের অনেক দিন ধরে ডায়াবেটিস রয়েছে), পলিসিসটিক ওভারিয়ান সিনড্রম যাদের থাকে, তাদের সমস্যা হয়। এর পরও কিছু ওষুধ রয়েছে সেগুলোর কারণে হয়। অনেক দিন ধরে যারা অ্যান্টি হাইপারটেনসিভ বা অ্যান্টি ডিপ্রেসেন্ট ওষুধ নিচ্ছেন, সিস্টেমিক স্টেরয়েড খাচ্ছেন, তাদেরও চুল পড়া দেখা দেয়।
ইদানীং চুল পড়ার কারণ হিসেবে আমার যেটি মনে হয়, আমার অভিজ্ঞতা থেকে, সেটি হলো আমাদের নিজস্ব জীবনযাত্রা। সেখানে রয়েছে আমাদের অপর্যাপ্ত ঘুম,  খাবার আমরা সঠিকভাবে নিচ্ছি না। আর চুলের হয়তো বেশি যত্ন করছি। এভাবে চুলের উপর হয়তো অত্যাচার করছি। অথবা চুলের যত্নে একেবারেই উদাসীন। চুলের যত্নে তুলনায়, চুলের সৌন্দর্যে আমার এখন বেশি আলোকপাত করছি। এই কারণেই সমস্যাগুলো বেশি দেখা দিচ্ছে। ছেলেমেয়ে উভয়েরই।

শুক্রবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৮

প্রশ্নোত্তর পর্ব – 1 : স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রশ্ন এবং উত্তর

১. ‘পুরুষ-অঙ্গ’ কি বড় বা মোটা করা যায়?
– না। এই অঙ্গের আকার জন্মগত। এটা বড় বা মোটা করার কোন উপায় এখনো আবিস্কার হয় নাই। রাস্তাঘাটে এটা বড় করার যেসব পোস্টার, লিফটলেট, সাইনবোর্ড দেখে থাকেন তা সম্পূর্ণ ভূয়া। এছাড়া বিভিন্ন প্রকার হারবাল বা অন্যান্য ঔষধের বিজ্ঞাপন দেখেন, সেসবও আপনাদের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে আপনাদের সাথে প্রতারনা করে যাচ্ছে।

সোমবার, ২৮ মে, ২০১৮

রোজা পালনের স্বাস্থ্যগত উপকারিতা

মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য রমজান মাস বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সুষম খাদ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে সঠিকভাবে রোজা রাখলে এটি বেশ স্বাস্থ্যবান্ধব হয়।
রোজা পালনের স্বাস্থ্যগত গুরুত্ব
১। রোজা রাখলে রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
২। রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণ হয়।
৩। রোজা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
৪। রোজা রাখলে শরীরের চর্বিতে সঞ্চিত বিসাক্ত পদার্থ ধ্বংস হয়।
৫। রোজা আমাদের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।
৬। ডিএনএ ডেমেজ প্রতিরোধ করে।
৭। অন্ত্রের ও খাদ্যনালীর বিভিন্ন সমস্যা নিরাময়ে সহায়তা করে।
সর্বোপরি মানসিক সুস্বাস্থ্যের জন্য রোজা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে অসুস্থ থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রোজা রাখতে হবে। শিশু ও প্রবীণদের ক্ষেত্রে রোজা রাখার ক্ষেত্রে
লেখক : প্রধান পুষ্টিবিদ, ইউনাইটেড হাসপাতাল

শনিবার, ২৬ মে, ২০১৮

রোজায় পানিশূন্যতা রোধে করণীয়

রোজার সময় অনেকেই পানিশূন্যতার সমস্যায় ভোগেন। পানি শূন্যতার সমস্যা সমাধানে কিছু বিষয় মেনে চলা জরুরি।
১। ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত বয়স, ওজন ও উচ্চতা ভেদে দৈনিক আট থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করতে হবে।
২। পানি স্বল্পতা রোধে বিশেষ কিছু টিপস ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন-
# সেহরিতে অতিরিক্ত চা-কফি পান না করা। এগুলো পানির চাহিদাকে আরো বাড়িয়ে দেয়।
# অতিরিক্ত লবণাক্ত খাবার বর্জন করতে হবে। এটি পানি স্বল্পতা রোধে সহায়তা করবে।
# রি হাইড্রেট্রিং মিনারেল তথা পটাশিয়মযুক্ত খাবার সেহরি ও ইফতারে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।এটি পানি স্বল্পতা দূরীকরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। এ ক্ষেত্রে খেজুর, আম, কলা ইত্যাদি খেতে হবে।
লেখক : প্রধান পুষ্টিবিদ, ইউনাইটেড হাসপাতাল

শুক্রবার, ২৫ মে, ২০১৮

প্রচলিত ইফতারের পুষ্টিগুণ

আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপটে পবিত্র রমজান মাসে খাদ্যতালিকায় কিছু ভিন্নতা দেখা দেয়। কিছু প্রচলিত ইফতার যেমন- ছোলা, ডালের বড়া, বেগুনি, হালিম, খেজুর, দই-চিড়া,শরবত ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত হয়। এ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার আমাদের অবশ্যই বর্জন করতে হবে। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তবে এই প্রচলিত ইফতারের কিছু পুষ্টিগুণও রয়েছে। যেমন-
ছোলা
এটি একটি পুষ্টিকর খাবার, বিশেষ করে রমজান মাসের জন্য। ১৫০ গ্রাম ছোলাতে প্রায় ১৫০ কিলোক্যালরি শক্তি রয়েছে। এর থেকে আমাদের দৈনিক খাদ্য-আঁশের চাহিদার প্রায় ৪০ শতাংশ পেতে পারি। এ ছাড়া এতে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন ও মিনারেল।
খেজুর
সেহরি ও ইফতার দুটি সময়ই খেজুর খুব পুষ্টিকর একটি খাবার। এতে গ্লুকোজ ও ফ্রুকটোজের চমৎকার একটি সংমিশ্রণ রয়েছে। অর্থাৎ খেজুরের একটি অংশ থেকে আমরা অতি দ্রুত শক্তি পাই। আবার কিছু অংশ ধীরে ধীরে দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের শরীরে শক্তি প্রদান করতে থাকে। এটি সেহরির জন্য যথেষ্ট পুষ্টিকর। এ ছাড়া খেজুরে রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম । এটি আমাদের পানিশূন্যতা রোধ করতে সহায়তা করে।
দই-চিড়া
এটি রোজায় একটি পুষ্টিকর এবং উপাদেয় খাবার।এতে রয়েছে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট এর সুন্দর সংমিশ্রণ। ভিন্নধর্মী খাদ্যাভ্যাসের কারণে রোজায় আমাদের অনেকেরই হজমের সমস্যা দেখা দেয়। ইফতারে দই আমাদের হজম ভালো করতে সাহায্য করে। দই এ রয়েছে প্রবায়োটিক। এটি আমাদের অন্ত্র ও খাদ্যনালির জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়াদের সতেজ রাখতে সহায়তা করে। এটি রোজায় অত্যন্ত জরুরি। দই এ রয়েছে ট্রান্সফ্যাট ও  কার্বোহাইড্রেট। আর রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম।
লেখক : প্রধান পুষ্টিবিদ, ইউনাইটেড হাসপাতাল

স্পেশাল আলু চাট

উপকরণ : সিদ্ধ আলু ৫০০ গ্রাম, পানি ঝরানো টক দই ২৫০ গ্রাম, কর্নফ্লাওয়ার আধা কাপ, পাকা টমেটো ২০০ গ্রাম, কচি শসা ২০০ গ্রাম, পেঁয়াজ কিউব করে কাটা ৪ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ২ চা চামচ, টালা মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, টালা জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, চাট মসলা ১ টেবিল চামচ, বিট লবণ আধা চা চামচ, লবণ স্বাদ অনুযায়ী, চিনি ১ টেবিল চামচ, সয়াবিন তেল ১ কাপ।
যেভাবে তৈরি করবেন :
১. আলু সিদ্ধ করে গরম থাকতে চটকে নিন। এবার আলুর সঙ্গে অর্ধেক জিরার গুঁড়া, গোলমরিচ গুঁড়া, স্বাদমতো লবণ দিয়ে মেখে নিন।
২. আলুর মিশ্রণ থেকে পরিমাণমতো নিয়ে গোলাকার চ্যাপ্টা চাপ বানিয়ে কর্নফ্লাওয়ারে গড়িয়ে নিন। এরপর চুলায় তেল গরম হওয়ার পর দুই পিঠ বাদামি করে ভেজে নিন।
৩. পানি ঝরানো টক দই, বাকি জিরা গুঁড়া, চাট মসলা, টালা মরিচ গুঁড়া, চিনি, স্বাদমতো লবণ, বিট লবণ দিয়ে মেখে নিন।
৪. টমেটো ও শসা বিচি ফেলে ছোট কিউব করে কেটে নিন। টমেটো, শসা, পেঁয়াজ কিউব, কাঁচা মরিচ কুচি, ধনেপাতা কুচি সামান্য লবণ দিয়ে মেখে নিন।
৫. একটি ছড়ানো থালায় ভাজা চপগুলো রেখে প্রতিটির ওপর প্রথমে দইয়ের মিশ্রণ দিন। তার ওপর টমেটোর মিশ্রণ দিন। এবার সামান্য জিরা গুঁড়া ও চাট মসলা ওপরে ছড়িয়ে পরিবেশন
করুন মজাদার আলুর চাট।

বৃহস্পতিবার, ২৪ মে, ২০১৮

মুখের ক্যানসারের লক্ষণ কী?

ধূমপান করা, সুপারি, জর্দা, গুল, খৈনি ইত্যাদি গ্রহণ, মুখের ক্যানসার তৈরির অন্যতম কিছু কারণ। মুখের ভেতর অমসৃণ অবস্থা বিরাজ করা, বেশি লালা তৈরি হওয়া ইত্যাদি মুখের ক্যানসারের লক্ষণ। এ ছাড়া আরো কিছু লক্ষণ রয়েছে।
মুখের ক্যানসারের লক্ষণের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০৯৭তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. এস এম আনোয়ার সাদাত। বর্তমানে তিনি শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ওরাল অ্যান্ড মেকজিলোফেসিয়াল সার্জারি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : মুখের ক্যানসারের ক্ষেত্রে কী লক্ষণ প্রকাশ পায়?
উত্তর : মুখের ভেতর একটি অমসৃণ অবস্থা বিরাজ করে। এটা প্রাথমিকভাবে একেবারেই ব্যথামুক্ত থাকে। তাই অনেক সময় রোগীরা বুঝতে পারে না এটা সমস্যা। এটা দীর্ঘ সময় যদি অবহেলিত হয়, তাহলে আস্তে আস্তে এটি বড় হতে থাকে। ঘায়ের সৃষ্টি হয়। অনেক সময় মাংসপিণ্ড তৈরি হয়। সেখান থেকে রক্তপাতের মতো হয়, বেশি বেশি লালা তৈরি হয়। অনেক সময় মানুষ সচেতন হওয়ার কারণে আগেই চলে আসে আমাদের কাছে। আবার কখনো কখনো আমাদের কাছে অনেক দেরি করে আসে।

রবিবার, ২০ মে, ২০১৮

পেটে বাচ্চা থাকলে অ্যাজমা হলে কি করবেন?

পেটে বাচ্চা থাকলে অ্যাজমা হলে কি করবেন? অনেকে ফন করে আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন, যে তিনি গর্ভবতী। কিন্তু হঠাত করে শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমা শুরু হয়েছে। এখন পেতে যেহেতু বাচ্চা আছে তিনি কি ওষুধ খাবেন। গর্ভাবস্থায় ২২-২৪ সপ্তাহে কিংবা গর্ভাবস্থার শেষের দিকে অ্যাজমার উপসর্গ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে সন্তান প্রসবকালে অ্যাজমার উপসর্গ বৃদ্ধির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

Asthma in Pregnancy

যাদের আগে থেকেই অ্যাজাম আছে গর্ভাবস্থায় তাদের এক-তৃতীয়াংশের অ্যাজমা বেড়ে যায়, এক-তৃতীয়াংশের অ্যাজমা উন্নতি হয়েছে এবং অবশিষ্টের অ্যাজমা পূর্বের মতোই থাকে।
কেন অ্যাজমা বেড়ে যায় : এর সঠিক কারণটি এখনও অজানা। তবে গর্ভবতীর পাকস্থলীতে চাপ বেড়ে যাওয়ার কারণে গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স (Gastroesophageal Reflux Disease (GERD) বেড়ে যায়। ফলে অ্যাজমার প্রবণতা ও বুক জ্বালা বেড়ে যায়। সাইনাসে ইনফেকশন, শ্বাসতন্ত্রে ভাইরাসজনিত সংক্রমণ ও করটিসোল হরমোনের কারণেও অ্যাজমার তীব্রতা বেড়ে যায়।

অ্যাজমা কী গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি করে : অ্যাজমা ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে গর্ভবতী বা অনাগত সন্তানের ক্ষতির কোনো আশঙ্কাই থাকে না। অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে রেখে স্বাস্থ্যবান শিশুর জন্ম দেয়া সম্ভব। কিন্তু অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে জন্মের সময় শিশুর ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম হতে পারে। কারণ মায়ের রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায় বলে শিশুর রক্তেও কমে যায়। এই অক্সিজেন স্বল্পতা গর্ভস্থ শিশুর বেড়ে ওঠার অন্তরায়
অ্যাজমা চিকিৎসা : ইনহেলারই (Inhaler) গর্ভবতীর জন্য কার্যকর ও নিরাপদ চিকিৎসা। চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যালার্জি ভ্যাকসিনও কম ডোজে দেয়া যায়। অ্যাজাম রোগী শিশুকে বুকের দুধও খাওয়াতে পারবেন।
অ্যালার্জি ও অ্যাজমা রোগ বিশেষজ্ঞ
অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস

বৃহস্পতিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৮

গরমে ঘামাচি হলে কী করবেন?

গরমে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন সমস্যা হয়। এর মধ্যে ঘামাচি অন্যতম। তবে কিছু পদক্ষেপ নিলে ঘামাচি কমানো সহজ হয়।

• ঠান্ডা পরিবেশে থাকতে হবে। এয়ারকন্ডিশন রুমে থাকা ভালো, তবে ফ্যানের বাতাসেও থাকতে পারেন।
• দিনে দুই থেকে তিনবার পানি দিয়ে গোসল করা যেতে পারে।
• বেবি ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করতে পারেন।
• ঢিলেঢালা সুতি জামাকাপড় পরবেন।

• ক্যালামিলন লোশন (ক্যালামিলন) ঝাঁকিয়ে আক্রান্ত ত্বকে লাগিয়ে ঘণ্টাখানেক পর ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে তিন থেকে চার দিন করবেন, তার বেশি নয়।
• খুব বেশি লাল ভাব বা একজিমার মতো হলে কিছুদিন কিউরল অয়েন্টমেন্ট দিনে দুবার করে ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়।
• ফোঁড়া হলে অ্যান্টিবায়োটিক, যেমন—ফ্লক্সাসিলিন অথবা ইক্লরাইথ্রোমাইসিস পাঁচ থেকে সাত দিন যথাযথ মাত্রায় পুরো কোর্স খেতে হবে। তবে যেকোনো ওষুধ খাওয়া বা লাগানোর ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
• ঘামাচি চুলকাবেন না।
• অপরিচ্ছন্ন নোংরা থাকবেন না।
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ।

বুক জ্বালাপোড়া কমাতে করণীয়

আমাদের দেশে অনেকেরই একটি সাধারণ সমস্যা হলো বুক জ্বালা করা। সাধারণত তেল বহুল, ঝাল ও চর্বি জাতীয় খাবার খেলে এবং একগাদা খাবার খুব তাড়াতাড়ি গোগ্রাসে গিললে, খেয়েই চিৎ হয়ে শুয়ে পড়লে ইত্যাদি ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি বেশি দেখা যায়। অম্লরস যদি এসব কোনো কারণে পাকস্থলী থেকে ওপরের দিকে উঠে আসে তখনই বুক জ্বালা করে।

কী করবেন?
• খেয়ে শোবার সময় মাথার দিকটা পায়ের দিকের তুলনায় অন্তত চার থেকে ছয় ইঞ্চি উঁচু করতে হবে। এটা মাথার নিচে অতিরিক্ত বালিশ দিয়ে অথবা মাথার দিকের খাটের পায়ার নিচে ইট বা কাঠের টুকরা ঢুকিয়ে করা যায়।

• রাতে শুতে যাবার অন্তত দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা আগেই খাবার পাঠ চুকিয়ে ফেলুন। তা না হলে যদি শোবার ঠিক আগে আগেই খাবার খান, তাহলে ভরপেট এবং গ্র্যাভিটি দুটো মিলে অম্লরসকে খাদ্যনালি দিয়ে ঠেলে উপরে তুলবে। এতে বুক জ্বালা করবে।

• মানসিক চাপে যেহেতু পাককস্থলীতে অম্লরস বাড়ে, তাই যতটা সম্ভব চিন্তামুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো নানা কৌশল অবলম্বন করে শিথিল করতে হবে।

• রাতে শুতে যাবার সময় কোমরের বাঁধন শিথিল করে শোবেন।

• কোনোকিছু টেনে তুলবার সময় হাঁটু ভাঁজ করে তুলুন। পেট ভাঁজ করে তুলতে গেলে পেটে চাপ পড়ার কারণে অম্লরস ওপরের দিকে উঠে যাবার সুযোগ থাকে।

• প্রয়োজন হলে খাবার পর তিন চা চামচ করে অ্যান্টাসিড জাতীয় সিরাপ যেমন- ফ্ল্যাটামিল ডি এস/ এন্টাসিড প্লাস ইত্যাদি খেতে পারেন। এ ছাড়া অনেক সময় রেনিটিডিন অথবা ফেমোটিডিন জাতীয় অন্যান্য ওষুধ দেওয়া যেতে পারে। তবে এগুলো শুরু করার আগে চিকিৎসককে দেখিয়ে নেওয়াই ভালো।

কী করবেন না?
• চর্বিওয়ালা মাংস, দুগ্ধজাত দ্রব্য খাবেন না বা খেলেও কম খাবেন, কেননা এ জাতীয় খাবার পাকস্থলীতে বেশিক্ষণ অবস্থান করে। এতে বাড়তি অম্লরস তৈরি হয়।

• ঝালমরিচ, আগ্নেয় মশলা যাদের ক্ষেত্রে বুক জ্বলুনি ঘটায় তাঁরা এগুলো খাবেন না।

• ধূমপান নিজেও করবেন না, অন্যকেও করতে দেবেন না।

• ক্যাফিন সমৃদ্ধ পানীয় যেমন : চা, কোলা এগুলো খাদ্যনালির ক্ষতি করে, তাই এগুলো এড়িয়ে চলুন। চকোলেটও বেশ ক্যাফিন আছে, তাই এটি খাওয়াও বাদ দিন।

অম্লখাবার যেমন : কমলা, লেবু এগুলোতে যে পরিমাণ অম্লরস আছে তা পাকস্থলীর তুলনায় কিছুই না, তাই ভয় পেয়ে এগুলো খাওয়া বাদ দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, হলিফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে করণীয়

একজন সুস্থ-সবল প্রাপ্তবয়স্ক লোকের স্বাভাবিক রক্তচাপ ১৫০/৯০ মিমি অব মার্কারির নিচে থাকে। এই মাত্রা কমবেশি হতে পারে, যেমন—ওপরের রক্তচাপ বা সিসটোলিক ব্লাড প্রেশার ১০০ থেকে ১৪০ মিমি অব মার্কারি এবং নিচের রক্তচাপ বা ডায়াস্টোলিক ব্লাড প্রেশার ৬০ থেকে ৯০ মিলিমিটার অব মার্কারি। বয়সভেদেও এর তারতম্য রয়েছে। তবে রক্তচাপ ১২০/৮০ মিমি অব মার্কারি থাকাই ভালো।

কী করবেন 
• চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করবেন। নিয়মিত রক্তচাপ মাপবেন। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চিকিৎসক কোনো ওষুধপত্র দিলে সেটা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া বন্ধ করবেন বা নিজে নিজে খাওয়া শুরু করবেন না।

• ধূমপান ত্যাগ করবেন। পরিমিত পরিশ্রম করবেন।

• ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন, মদ্যপান করবেন না।

• জন্মনিরোধক বড়ি খাবেন না। স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ ব্যবহারে সতর্ক থাকুন।

• চর্বিজাতীয় খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন। লাল মাংস বা রেড মিট সম্পূর্ণ বাদ দিন।

• লবণ খাওয়া কমিয়ে দিন।

• ডায়াবেটিস থাকলে আরো বেশি সতর্ক হতে হবে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

• উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রয়োজনে মেডিসিন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ।

পায়ে দুর্গন্ধ কমাতে কী করবেন?

অনেকের পা বেশি ঘামে, মোজায় দুর্গন্ধ বেশি হয়- এটাকে ব্রমিডোসিস বলে। এই দুর্গন্ধ পায়ের ঘাম ও এক জাতীয় ব্যাক্টেরিয়ার মিশ্রণের কারণে তৈরি পদার্থের জন্য হয়ে থাকে। সুতরাং পা বেশি ঘামলেই যে দুর্গন্ধ বেশি হবে এমন কোনো কথা নেই। ঘামের সঙ্গে ব্যাকটেরিয়াটি মিশলেই তবে দুর্গন্ধ হবে।
অনেক সময় পায়ের গন্ধ মোজাতে যায়, মোজা থেকে জুতাতেও যায়। এতে যিনি এই সমস্যায় আক্রান্ত হন তিনি নিজে অন্যেরও বিরক্তির কারণ হতে পারেন।
কী করবেন
  • তিন থেকে চার লিটার হালকা গরম পানিতে ৩০ থেকে চল্লিশটি পটাশ দানা মিশিয়ে প্রতিদিন এক বার করে ২০ থেকে ৩০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখবেন। এভাবে দুই সপ্তাহ করতে হবে।
  • এরপর প্রতি সপ্তাহে একবার করে আরো কিছুদিন এ রকম করা যেতে পারে। এতে করে পায়ের জীবাণু মারা যাবে এবং দুর্গন্ধ সৃষ্টি হবে না।
  • ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন। নখ নিয়মিত ছোট রাখুন, প্রতিদিন কয়েকবার সাবান পানি দিয়ে পা পরিষ্কার করুন। হালকা সুতি মোজা ব্যবহার করুন। পা ভেজা অবস্থায় মোজা পরবেন না, মোজা খুলে জুতার ভেতরে ঢুকিয়ে রাখবেন না, মোজার গন্ধ বোঝার আগেই তা পরিবর্তন করে ফেলুন।
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, হলিফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ।

মঙ্গলবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১৮

বয়স কম রাখতে চান? দেখে নিন টমেটোর জাদু

ইউরোপে টমেটোর গুণ সম্পর্কে বলা হয়, ‘টমেটো যদি লাল হয়, চিকিৎসকের মুখ হয় নীল।’ অর্থাৎ নিয়মিত টমেটো খেলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার দরকার হয় না। এখনকার কর্মব্যস্ত জীবনে যেকোনো সময় মানুষের জীবনে পেয়ে বসে অবসাদ, বিষণ্নতা। টমেটো খেলে এই অবসাদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।টমেটোর গুণের কথা সবারই জানা। এক কাপ বা ১৮৯ গ্রাম টমেটোতে আছে ৩৮ শতাংশ ভিটামিন সি, ৩০ শতাংশ ভিটামিন এ, ১৮ শতাংশ ভিটামিন কে, ১৩ শতাংশ পটাশিয়াম ও ১০ শতাংশ ম্যাঙ্গানিজ। এ ছাড়াও আছে ভিটামিন ই, লৌহ, ফলেট ও আঁশ। এত গুণের কারণে এই মৌসুমে প্রতিদিন সালাদের সঙ্গে টমেটো খেতে পারেন। এ ছাড়াও টমেটোর এমন কিছু গুণ আছে যা বুড়িয়ে যাওয়া ঠেকাতে পারে। শরীরকে রোগ প্রতিরোধক্ষম করে তোলে টমেটো। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় টমেটোর এসব কার্যক্ষমতার কথা বলা হয়েছে। গবেষকেরা বলেছেন, টমেটোতে আছে দারুণ অ্যান্টি-অক্সিডেটিভ প্রভাব, যা কোষকে বুড়ো হতে দেয় না। এ ছাড় নানা রকম ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে টমেটো।

১. অবসাদ ও সর্দি মোকাবিলা করতে পারে টমেটো। টমেটোতে থাকা বিটা ক্যারোটিন শরীরে ভিটামিন এ হিসেবে রূপান্তরিত হয়। এতে শরীর সুরক্ষিত থাকে। যেসব ভাইরাস সর্দি-কাশি সৃষ্টি করে, তাদের বিরুদ্ধে লড়তেও সাহায্য করে ক্যারোটিন। সাইট্রিক ও ম্যালিক অ্যাসিডের কারণে টমেটোর কিছুটা টক স্বাদ হয়। এতে গ্যাস্ট্রিক মিউকোসা সুরক্ষিত থাকে। পাকস্থলী সক্রিয় থাকে এবং বিপাকীয় কার্যক্রম বাড়ে।
২. বুড়িয়ে যাওয়া কিংবা জীবনযাপন-সম্পর্কিত নানা সমস্যা সমাধান করতে পারে টমেটো। টমেটোর রং তৈরির জন্য দায়ী লাইকোপিন নামের একটি উপাদান। লাইকোপিন এক ধরনের ক্যারোটিনয়েড, যা তরমুজেও থাকে। এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে বিটাক্যারোটিনের দ্বিগুণ প্রভাব ফেলে। এ ছাড়া ভিটামিন ই-এর চেয়ে শতগুণ কার্যকর। এই লাইকোপিনের জন্য শরীরে ক্যানসার বাসা বাঁধতে পারে না। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, বিটা-ক্যারোটিন ও রুটিন নামের তিন ধরনের উপাদান থাকায় রক্তের বাজে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩. উচ্চ রক্তচাপ কমাতে পারে টমেটো। এতে ভিটামিন সি আছে, যা রক্তচাপ কমায় এবং এতে থাকা পটাশিয়াম রক্তে জলীয় অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। এতে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় রক্তপ্রবাহ বাড়ায়।
৪. লাইকোপিন শরীরে গ্রোথ হরমোন
নিঃসরণে প্রভাব ফেলে। এ ছাড়া বিপাকীয় প্রক্রিয়া দ্রুত করে শরীরে তাপ উৎপাদন করে। এতে শরীরের মেদ কমে।
৫. টমেটোতে আছে বয়স প্রতিরোধী বিশেষ প্রভাব। শরীরের ত্বক কুঁচকে যাওয়া, ভাঁজ পড়া বা বলিরেখা পড়া দূর করতে পারে টমেটোতে থাকা লাইকোপিন।

সোমবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৮

গরমে ভাল থাকার ৮ Health Tips

হিট স্ট্রোকে প্রাথমিক চিকিৎসা
আক্রান্ত লোকটিকে ছায়াযুক্ত একটি জায়গায় নিয়ে আসতে হবে, ভারী কাপড় খুলে দিয়ে গায়ে ঠান্ডা পানি ঢালতে হবে। তাকে সম্ভব হলে ফ্যানের নিচে বা এসি রুমে নেওয়া ভালো। এতে গায়ের ঘাম উড়ে যাবে। সম্ভব হলে তার বগল ও রানের খাঁজে বরফ দিতে হবে।
যদি আক্রান্ত লোকটি পানি পানের মতো অবস্থায় থাকে, তাহলে তাকে ঠান্ডা পানি বা পানীয় পান করতে দিন। থার্মোমিটারে শরীরের তাপমাত্রা ১০১-১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইটে আসা না পর্যন্ত ঠান্ডা করা চালিয়ে যেতে হবে।
হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ
গরমের সময় শরীরকে পানিশূন্য হতে না দেওয়া। শরীরে পানির পরিমাণ স্বাভাবিক রাখতে প্রচুর পরিমাণ পানি, ডাবের পানি, মুখে খাওয়ার স্যালাইন পান করা।
বেশি গরমের সময় ব্যায়াম বা ভারী কায়িক পরিশ্রম না করা।
গরমে বাইরে বের হলে সাদা বা হালকা রঙের কাপড় পরে বাইরে বের হওয়া।
ঘামের সঙ্গে শরীরের লবণ বেরিয়ে যায়, তাই দুর্বল লাগলে খাওয়ার স্যালাইন খাওয়া।
পানিশূন্যতা
এই গরমে ঘামে শরীর থেকে প্রচুর লবণ-পানি বের হয়ে যায় বলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। সাধারণত এর ফলে শরীরের রক্তচাপ কমে যায়, দুর্বল লাগে, মাথা ঝিমঝিম করে। পানিস্বল্পতা গরমের খুবই সাধারণ সমস্যা হলেও অবহেলা করলে তা মারাত্মক হয়ে যেতে পারে। এ সময়ে শরীরের কোষ সজীব রাখতে প্রচুর পানি খেতে হবে। লবণের অভাব পূরণ করতে খাওয়ার স্যালাইন খাওয়া যেতে পারে। শরীরে পানি কম হলে প্রস্রাব হলুদ ও পরিমাণে কম হবে এবং জ্বালাপোড়া বা প্রস্রাবের সংক্রমণ হতে পারে। যে পর্যন্ত না প্রস্রাব স্বাভাবিক রং ফিরে পাবে, সে পর্যন্ত পর্যাপ্ত পানি খেয়ে যেতে হবে। পানির সঙ্গে অন্যান্য তরল যেমন ফলের রস খাওয়া যেতে পারে। ভাজা-পোড়া, অধিক তেল, মসলাজাতীয় খাবার একদমই এড়িয়ে যেতে হবে। সাধারণ খাবার যেমন ভাত, সবজি, মাছ ইত্যাদি খাওয়াই ভালো। খাবার যেন টাটকা হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। চা ও কফি যথাসম্ভব কম পান করা উচিত।
ত্বকের সমস্যা
প্রখর রোদে ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ সময়ে খোলা আকাশের নিচে হাঁটাচলা বেশি হলে সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি ত্বক ভেদ করে কোষের জন্য বিপদ ডেকে আনে। ত্বকে ফোসকা পড়াসহ ত্বক বিবর্ণ হতে পারে। তাই এ সময়ে বাইরে বেরোলে অবশ্যই সানস্ক্রিন ক্রিম ত্বকে মেখে বের হতে হবে। এ সময়ে চোখে সানগ্লাস পরতে হবে। ছাতা ব্যবহার অবশ্যই করতে হবে। যথাসম্ভব হালকা রঙের কিংবা সাদা রঙের পোশাক পরা গরমের জন্য উত্তম।
ঘামাচি নামক যন্ত্রণাদায়ক ব্যাপার হতে পারে। অনেক সময় চুলকাতে থাকে বলে ত্বকে ঘা দেখা দেয়। এ জন্য প্রয়োজন শরীরে যাতে ঘাম ও ধুলোবালি না জমে সেদিকে লক্ষ রাখা। ঘামাচি থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে কখনো সিনথেটিক পোশাক পরা চলবে না। সব সময় সুতির ঢিলা পোশাক পরতে হবে। শরীরে যাতে ঘাম না জমে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পরিষ্কার পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। প্রয়োজনে একাধিকবার গোসল করা যেতে পারে।
ডায়রিয়া
গরম এলেই ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ে। দুই বছরের নিচে শিশুদের ডায়রিয়ার প্রধান কারণ হলো, রোটা ভাইরাসজনিত সংক্রমণ। চারদিকে ভয়াবহ গরমে যখন গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়, ঠিক এই সময় চোখের সামনে যে ঠান্ডা পানীয় পাক না কেন, তা দিয়ে গলা ভেজানোতেই মন অস্থির হয়ে যায়। দেখার সময় থাকে না, তা বিশুদ্ধ বা দূষিত কি না। এভাবে এই খাদ্য ও পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকে। রাস্তাঘাটের অধিকাংশ খাবার দূষিত থাকে, তাই গরমে এই দূষিত খাবার খেয়েই অনেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে থাকে। একটু সচেতন হলে এটি এড়ানো যায়। এই যেমন হাত পরিষ্কার করে খাবার খেলে। বাসি, পচা খাবার না খেলে।
সর্দিজ্বর
শিশুদের নিয়ে খুব রোদে ঘোরাঘুরি করলে বাইরের তাপ ও শরীরের তাপের মধ্যে সমতা থাকে না বলে জ্বর হতে পারে। এ জন্য কড়া রোদে তাদের চলাফেরা করতে না দেওয়াই ভালো। জ্বর হলে শরীরে সঞ্চিত শর্করা বেশি হারে খরচ হতে থাকে। এ সময় শরীর থেকে প্রচুর পানি, ঘাম ও প্রস্রাব বেরিয়ে যায়। এ অবস্থায় শিশুকে ফলের রস দিলে খাবারের রুচি বাড়বে এবং স্যুপ খাওয়ালে ক্ষুধা বাড়বে। ফলে শিশুরা খেতে আগ্রহী হবে।
ছত্রাক সংক্রমণ
গরমে শরীরে ঘাম জমে ছত্রাক সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। ঘাম শরীরের বিভিন্ন ভাঁজে বিশেষ করে কুঁচকিতে, আঙুলের ফাঁকে ও জননাঙ্গে জমা হয়ে সেখানে ছত্রাক সংক্রমণের পথ বিস্তার করে দেয়। তাই এ সময়ে ছত্রাক সংক্রমণ এড়াতে হলে শরীরের ভাঁজগুলোতে ঘাম জমতে দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে ছত্রাকবিরোধী পাউডার এসব স্থানে ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে।
লেখক:
আফসানা জামিন, চিকিৎসক

হজমে সমস্যা? দেখে নিন হজমশক্তি ভাল রাখার ৬টি ঘরোয়া উপায়

উৎসবের নিমন্ত্রণে নানা রকমের উপাদেয় খাবার খেতে তো ভালোই লাগে। কিন্তু হজম ঠিকমতো না হলেই মন-মেজাজ খারাপ হয়। বেশি ভারী ও তেল-মসলাযুক্ত খাবার খেয়ে শুরু হতে পারে পেটব্যথা, পেট ফাঁপা, ঢেকুর ওঠা, পায়ুপথে বাতাস নির্গমন বা ডায়রিয়ার মতো সমস্যা। এগুলোর বেশির ভাগই হজমে গন্ডগোলের কারণে হয়ে থাকে।

বদহজম, অ্যাসিডিটি, পেটে অতিরিক্ত গ্যাস, ঢেকুর ও বাতাস নির্গমনের মতো বিরক্তিকর সমস্যা থেকে রেহাই পেতে কিছু পরামর্শ মেনে চলতে পারেন:

হজমে সমস্যা? দেখে নিন হজমশক্তি ভাল রাখার ৬টি ঘরোয়া উপায়

* খাওয়ার সময় তাড়াহুড়া করবেন না। সময় নিয়ে, ধীরে-সুস্থে ভালো করে চিবিয়ে খাওয়া শেষ করবেন। তাড়াহুড়া করে খেতে গিয়ে খাবার ঠিকমতো হজম হয় না। তা ছাড়া পেটে খানিকটা বাতাসও ঢুকে যায়।

* খাওয়ার সময় ও মাঝখানে বেশি পানি পান করলে পাকস্থলীর অ্যাসিড দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ভালো করে খাবার ভাঙতে পারে না। তাই খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে এক গ্লাস পানি পান করুন। খাওয়ার সময় বেশি পানি নয়। খাওয়া শেষে আবার একটু সময় পর পানি পান করবেন।* একেক জনের একেক ধরনের খাবার হজম করতে সমস্যা হয়। যাঁদের ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স (Lactose Inltolerance) আছে, তাঁরা দুধ ও দুধের তৈরি খাবার খেতে পারেন না। অনেকের মিষ্টিজাতীয় দ্রব্যে (যেমন: ফলের রস বা জুস, চকলেট ইত্যাদি) সমস্যা হয়। কারও সমস্যা হয় রুটি, যব বা ডালজাতীয় খাবারে। কার কোনটাতে সমস্যা, সেটা তিনিই ভালো ধরতে পারবেন। তাই বদহজমের রোগীর দুধ নিষেধ বা মিষ্টি নিষেধ—এ জাতীয় কথা ঢালাওভাবে বলা যায় না
* ধূমপান, চুইংগাম চিবোনো ও স্ট্র দিয়ে জুসজাতীয় কিছু খেলে পেটে গ্যাস হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। তাই এ ধরনের অভ্যাস বর্জন করুন।
* পেটে গ্যাস সমস্যা তৈরি করতে পারে কৃত্রিম চিনি, অতিরিক্ত তেল-চর্বিযুক্ত খাবারও। তাই এগুলো খেতে হবে
হিসাব করে।
* কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পেট ফাঁপে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য এড়াতে আঁশযুক্ত খাবার খান, পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
ডা. মৌসুমী মরিয়ম সুলতানা
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতাল, মিরপুর, ঢাকা

চুল পাকা ঠেকাতে ঘরোয়া ট্রিটমেন্ট

চুল পাকা ঠেকাতে ঘরোয়া ট্রিটমেন্ট
বাহ্যিক সৌন্দর্যে চুল খুব দরকারি অনুষঙ্গ। বিশেষ করে অল্প বয়সে যদি চুল পাকা শুরু হয় সেক্ষেত্রে ঘরের বাইরে, অফিস কিংবা বন্ধু-মহলে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয় প্রায়ই। মূলত চুলের রং বদলাতে শুরু করে যখন তার মধ্যে থাকা পিগমেন্টের উৎপাদন কমে যায় বা একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। পরিসংখ্যান বলছে ৩০ বছর বা তার কম বয়সে চুল পেকে যাওয়ার পিছনে স্ট্রেসই বেশি দায়ী।

চুল পাকা ঠেকাতে ঘরোয়া ট্রিটমেন্ট

স্ট্রেস কমাতে যে ওয়ার্ক আউট করতে পারেন – Stress Relieving Exercise
তবে এসব সমস্যায় ঘরোয়া কিছু সমাধান রয়েছে। যেসব পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে…
আমলকী:
ঠিক সময়ের আগে পেকে যাওয়া চুলকে পুরনো অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে আমলকীর কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এক্ষেত্রে একটা বাটিতে অল্প করে নারকেল তেল এবং কয়েক টুকরো আমলকী নিয়ে গরম করুন। তারপর সেই তেলটা ধীরে ধীরে সারা চুলে লাগিয়ে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন। আমলকীতে উপস্থিত বিশেষ কিছু উপাদান পিগমেন্টের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে স্বাভাবিকভাবে সাদা চুল কাল হতে শুরু করে।

রবিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১৮

অদ্ভুত যে ৪ টি কারণে শরীরের ওজোন বেড়ে যায়

প্রত্যেক সচেতন মানুষের কাছে শরীরের ওজোন বৃদ্ধি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়। অনেক ক্ষেত্রে রুটিন মেনে চললেও অনেকের ওজোন বেড়ে যায় ফলে তারা অনেক দুশ্চিন্তায় থাকে। বিশেষজ্ঞরা এর কিছু কারন বের করেছেন। এই সব কারণে শরীরের ওজোন বেড়ে যেতে পারে। আসুন তাহলে ওজোন বৃদ্ধির অদ্ভুত কারনগুলো জেনে নেয়া যাক-
১। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ অথবা প্রেমিক-প্রেমিকের মধ্যে কলহ-
কিছুদিন আগে এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা জানতে পারেন স্বামী – স্ত্রী অথবা প্রেমিক প্রেমিকার মধ্য কলহ হলে এক প্রকার বিশেষ হরমোন নিঃসরণ হয়। এতে করে ক্ষুধা বেশি অনুভব হয়ে থাকে। গবেষকরা জানিয়েছেন এই হরমোনের নিসরনের ফলে শরীরের ওজোন বেড়ে যায়। বিজ্ঞানীরা ৪৩ জোড়া
দম্পতির উপর এই পরীক্ষাটি চালিয়েছেন।
২। আয়রন গ্রহন করলে-
আর একটি নতুন গবেষণায় জানা যায়, লাল মাংসের মধ্যে যে আয়রন থাকে তা খেলে মানুষের ক্ষুধা বেড়ে যায়। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ইঁদুরকে উচ্চ ও নিম্ন মাত্রার আয়রন যুক্ত খাবার খাওয়ানো হয়েছিল, দেখা গেছে উচ্চ মাত্রার হরমোন যুক্ত খাবার যে ইঁদুরগুলো খেয়েছে তাদের শরীরে লেপটিনের মাত্রা কমে গেছে ফলে তাদের ক্ষুধা অনেক বেড়ে গেছে। অপরদিকে যেসব ইদুর কম মাত্রার আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেয়েছে তাদের শরীরে লেপটিনের মাত্রা কমে গেছে ফলে তাদের ক্ষুধা বেড়ে যায়নি। এ থেকে বুঝা যায় ক্ষুধা বেশি অনুভব হলে মানুষ বেশি বেশি খাবে আর বেশি বেশি খেলে শরীরের ওজোন বৃদ্ধি হবে।
৪। বিবর্তনের কারণে মানুষ মোটা হতে পারে বা ওজোন বেড়ে যেতে পারে-
অবেসিটি রিসার্চ এর একটি গবেষণায় জানা গেছে, মানুষের মোটা হয়ে যাওয়াটা আগের থেকে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ৪০ বছর আগে মানুষ এত মোটা হত না। তাদের মাঝে মোটা হওয়ার প্রবনতা ছিল না। এই প্রজন্মে মানুষের মোটা হওয়ার চাহিদা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে, যার কারণে এই প্রজন্মের মানুষ বেশি মোটা হচ্ছে। ১৯৭১-২০০৮ সাল পর্যন্ত ৩৬ হাজার লোকের উপর একটি গবেষণা চালিয়ে এই রিপোর্ট প্রদান করেন। বিজ্ঞানীরা মনে করতেছেন, মানুষের শক্তি গ্রহন এবং তার ব্যবহার পরিবর্তনের কারণে এমনটা হতে পারে।

ব্রণ সমস্যা সমাধানের ১১ টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস জেনেনিন

কমপক্ষে ২ বার ফেসিয়াল দিয়ে মুখ ভালোকরে ধুয়ে ফেলুন।যেমন বাইরে থেকে আসারপর, রাতে ঘুমানোর আগে।
২. অনেকের মুখ খুব তৈলাক্ত, যাদের মুখে তৈলাক্তভাব তারা তেলহীন প্রসাধনী ও লোশন ব্যবহার করুন।
৩. মুখে ব্রণ হলে অনেকে অাছেন যারা  নখ দিয়ে খোঁচাখুঁচি, চাপাচাপি করেন। আদৌ এগুলো করা উচিত না।এগুলো করলে আপনার মুখে  স্থায়ীভাবে দাগ হয়ে যেতে পারে।তাই fair skin রাখতে নখ দিয়ে খোঁচাখুঁচি, চাপাচাপি কখনো ও করবেন না।
৪. প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, শাকসবজী ও আশজাতীয় খাবার রাখুন।
৫. খাবারে অধিক লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
৬. রোদে বেশি ঘুরাঘুরি কার যাবে না।যদি যাওয়ার দরকার হয় তবে ছাতা বা সান স্ক্রিন ব্যবহার করুন।
৭. সী-বীজে থাকলে বাসায় ফেরার পর মুখের মেকআপ ভালোকরে তুলে ফেলুন।
৮. সবসময় চিন্তামুক্ত থাকুন। দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ থেকে দূরে থেকে সুন্দরভাবে জীবন যাপন করুন।
৯. প্রতিদনি পরিমাণমত ঘুমাতে হবে। মনে রাখবেন ঘুমের ঘাটতি হলে ব্রণের প্রকপ দেখা দেয়।
১০. যে খাবারে চিনি ও চর্বি আছে সেগুলো পরিহার করুন।
১১. পানিকে কুরুন জীবন সঙ্গী্প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি পান করবেন। দেখবেন দেহ থেকে বর্জ্য পদার্থ বের হয়ে যাবে।
উপরের টিপসগুলো অনুসরণ করলে আমাকরা যায় ব্রণ তেকে রেহাই পাবেন। তারপরও যদি দেখের ভালো ফলাফল পাচ্ছেন না বা কম পরিবর্তন দেখছেন তবে ভালো কোন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

পেটে বাচ্চা থাকলে অ্যাজমা হলে কি করবেন?

পেটে বাচ্চা থাকলে অ্যাজমা হলে কি করবেন? অনেকে ফন করে আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন, যে তিনি গর্ভবতী। কিন্তু হঠাত করে শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমা শুরু হয়েছে। এখন পেতে যেহেতু বাচ্চা আছে তিনি কি ওষুধ খাবেন। গর্ভাবস্থায় ২২-২৪ সপ্তাহে কিংবা গর্ভাবস্থার শেষের দিকে অ্যাজমার উপসর্গ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে সন্তান প্রসবকালে অ্যাজমার উপসর্গ বৃদ্ধির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
Asthma in Pregnancy

যাদের আগে থেকেই অ্যাজাম আছে গর্ভাবস্থায় তাদের এক-তৃতীয়াংশের অ্যাজমা বেড়ে যায়, এক-তৃতীয়াংশের অ্যাজমা উন্নতি হয়েছে এবং অবশিষ্টের অ্যাজমা পূর্বের মতোই থাকে।
কেন অ্যাজমা বেড়ে যায় : এর সঠিক কারণটি এখনও অজানা। তবে গর্ভবতীর পাকস্থলীতে চাপ বেড়ে যাওয়ার কারণে গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স (Gastroesophageal Reflux Disease (GERD) বেড়ে যায়। ফলে অ্যাজমার প্রবণতা ও বুক জ্বালা বেড়ে যায়। সাইনাসে ইনফেকশন, শ্বাসতন্ত্রে ভাইরাসজনিত সংক্রমণ ও করটিসোল হরমোনের কারণেও অ্যাজমার তীব্রতা বেড়ে যায়।অ্যাজমা কী গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি করে : অ্যাজমা ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে গর্ভবতী বা অনাগত সন্তানের ক্ষতির কোনো আশঙ্কাই থাকে না। অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে রেখে স্বাস্থ্যবান শিশুর জন্ম দেয়া সম্ভব। কিন্তু অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে জন্মের সময় শিশুর ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম হতে পারে। কারণ মায়ের রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায় বলে শিশুর রক্তেও কমে যায়। এই অক্সিজেন স্বল্পতা গর্ভস্থ শিশুর বেড়ে ওঠার অন্তরায়।

অ্যাজমা চিকিৎসা : ইনহেলারই (Inhaler) গর্ভবতীর জন্য কার্যকর ও নিরাপদ চিকিৎসা। চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যালার্জি ভ্যাকসিনও কম ডোজে দেয়া যায়। অ্যাজাম রোগী শিশুকে বুকের দুধও খাওয়াতে পারবেন।

অ্যালার্জি ও অ্যাজমা রোগ বিশেষজ্ঞ

অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস

শনিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৮

ফ্যাট ডায়েট চার্ট

একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে ওজন কমানোর সময় খাবার খাওয়ার ব্যাপারে বেশ কিছু ভুল অনেকেই করে থাকেন। যার প্রভাবে সকাল-বিকাল শরীরচর্চা করেও তেমন একটা ফল পাওয়া যায় না। তাই তো চর্বি ঝরাতে চাইলে ডায়েটের দিকে খেয়াল রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। শুধু তাই নয়, এক্ষেত্রে আরও কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। যেমন ধরুন...  ১. প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে: ওজন কমানোর সঙ্গে সঙ্গে যাতে শরীর ভেঙে না যায় সে দিকে নজর রাখতে হবে। আর এই কারণেই তো রোজের ডায়েটে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার থাকা মাস্ট! প্রসঙ্গত, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে আরও কিছু উপকার পাওয়া যায়। যেমন ধরুন এই উপকারি উপাদানটি অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে বারে বারে খাবার খাওয়ার কারণে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা যায় কমে। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতাও বেড়ে যায়। ফলে ওজন কমতে সময় লাগে না।
২. লো ফ্যাট ডায়েট চার্ট ফলো করা মাস্ট: ওজন কমাতে অনেকে লো-ফ্যাট ডায়েট অনুসরণ করে থাকে। আপনাদের জানিয়ে রাখি এমন ডায়েট শরীরের পক্ষে একেবারেই ভাল নয়। কারণ লো ফ্যাট ডায়েট চার্টের মধ্যে যেসব খাবার জায়গা করে নেয়, সেগুলি খিদে খুব বাড়িয়ে দেয়। ফলে ওজন কমার জায়গায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। প্রসঙ্গত, কী খাবেন, কতটা পরিমাণে খাবেন, সে বিষয়ে যদি বুঝে উঠতে না পারেন, তাহলে একজন ডায়েটেশিয়ানের পরামর্শ নিয়ে ডায়েট চার্ট বানিয়ে নিতে পারেন।  ৩. খালি পেটে থাকা চলবে না: একটা কথা একেবারে মন্ত্রের মতো মাথায় ঢুকিয়ে নিন। না খেয়ে কিন্তু ওজন কমানো একেবারেই সম্ভব নয়। তাই তো ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ এবং ডিনার, কোনও সময় খালি পেটে থাকা চলবে না। না খেয়ে থাকলে, এক সময়ে গিয়ে খিদে এতটাই বেড়ে যায় যে, তা সহ্য় করা যায় না। ফলে সে সময় খিদের চোটে অনেকেই মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে ভাজাভুজি বা জাঙ্ক ফুড খেয়ে ফেলেন। ফলে ওজন কমার জায়গায় বাড়তে শুরু করে। ৪. রেজিসটেন্স এক্সারসাইজ করা মাস্ট: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত ওয়েট লিফ্টিং-এর মতো রেজিসটেন্স এক্সারসাইজ করলে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে পেশির গঠনে উন্নতি ঘটে এবং ওজন হ্রাসের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। ফলে ওজন কমতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, কারও হজম ক্ষমতা যত শক্তিশালী হয়, তত ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা কমতে থাকে। আর এই ধরনের শরীরচর্চা করলে ঠিক এই সুফলটাই পাওয়া যায়। হজম ক্ষমতা এতটা বেড়ে যায় যে শরীরের ইতিউতি চর্বি জমার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।৫. ভাল করে চিবিয়ে খাবার খেতে হবে: এই একটা বিষেয়ে অনেকেই খেয়াল রাখেন না। নানা কারণে কোনও মতে খাবার গিলে দৌড় লাগান অফিসের উদ্দেশ্যে। এমনটা করলেও কিন্তু ওজন বাড়ে। তাই সময় নিয়ে খাবার খান। ভাল করে চেবানোর পর তারপর খাবার গেলার অভ্যাস করুন। এমনটা না করলে নানা কারণে বেশি করে খাবার খাওয়ার ইচ্ছা তৈরি হয়। আর বেশি খেলে কী হয় তা তো কারও অজানা নেই। তাই না? ৬. খাবার না খেয়ে শুধু জুস পান নৈব নৈব চ! জুসে উপস্থিত চিনি খিদে আরও বাড়িয়ে দেয়। ফলে খাবার না খেয়ে যদি কেউ শুধু জুস খেয়ে যান, তাহলে তার খিদে কমে না, বরং বাড়তেই থাকে। ফলে এক সময়ে গিয়ে সে মাত্রতিরিক্ত খাবার খেয়ে ফেলেন। প্রসঙ্গত, ওজন কমানোর সময় বেশি করে ফাইবার এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। তাতে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকবে, সেই সঙ্গে শরীরে পুষ্টিরও অভাব ঘটবে না। ৭. জাঙ্ক ফুড এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলতে হবে: ৭. জাঙ্ক ফুড এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলতে হবে: অনেকেই ওজন কমাতে শুধু স্যালাড খান। কিন্তু সঙ্গে যোগ করেন চিজ বা ঐ জাতীয় অস্বাস্থ্যকর খাবার। ফলে ওজন তো কমেই না, বরং উলটো ফল হয়। তাই তো এইসব অতিরিক্ত ফ্যাট জাতীয় খাবার একেবারেই খাবেন না। পরিবর্তে পুষ্টিকর খাবার বেশি করে খাওয়ার চেষ্টা করবেন, যাতে শরীরের ক্ষয় রোধ হয়। ৮. কতটা ক্যালরি শরীরে প্রবেশ করছে খেয়াল রাখতে হবে: ৮. কতটা ক্যালরি শরীরে প্রবেশ করছে খেয়াল রাখতে হবে: এই একটা উপাদান শরীরে বেশি গেলে খারাপ। আবার কম গেলেও ক্ষতি। তাই তো নির্দিষ্ট পরিমাণে ক্যালরি খেতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যতটা ক্যালরি খাচ্ছেন, ততটা বার্ন হয়ে যাচ্ছে কিনা। এমনটা না হলেই কিন্তু ওজন বাড়তে শুরু করবে। প্রসঙ্গত, একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে শরীর তার প্রয়োজনীয় ক্যালরি না পেলে পেশি ভাঙতে শুরু করে। সেই সঙ্গে খিদেও মারাত্মক ভাবে বেড়ে যায়। কিন্তু ওজন ক্ষমতা যায় কমে। ফলে খাবার ঠিক মতো হজম হতে না পেরে ওজন বাড়তে শুরু করে। ৯. ভুলেও অতিরিক্ত শরীরচর্চা করা চলবে না: এমনটা করলে ওজন তো কমবেই না, উলটে শারীরিক এবং মানসিক চাপ বেড়ে গিয়ে শরীর খারাপ হতে শুরু করবে। তাই শরীরচর্চা করুন নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে। অতিরিক্ত কোনও কিছুই কিন্তু শরীরের জন্য় ভাল নয়, একথাটা কোনও দিন ভুলে যাবেন না।

চিকিৎসা পরিভাষায় কমলা লেবু

চিকিৎসা পরিভাষায় কমলা লেবু, পাতি লেবু, মৌসম্বি লেবু এবং জামকে সাইট্রাস ফল হিসেবে বিবেচিত করা হয়ে থাকে। অনেকেই হয়তো জানেন না যে সাইট্রাস ফলে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন-সি। সেই সঙ্গে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং আরও সব উপকারি উপাদান, যা শরীরের গঠনে দারুন কাজে আসে। সর্বোপরি, শরীরকে ভেতর এবং বাইরে থেকে সুস্থ রাখতেও ভিটামিন-সি অগ্রগণ্য় ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো প্রতিদিন যদি একটা করে সাইট্রাস ফল খেতে পারেন, তাহলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দারুন শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ফলে ছোট-বড় নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। সেই সঙ্গে মেলে আরও অনেক উপকার। যেমন ধরুন... ১. ক্যান্সারের মতো রোগকে দূরে রাখে: হাওয়ার্ড ইউনির্ভাসিটির গবেষকদের করা এক পরীক্ষায় দেখা গেছে সাইট্রাস ফলের অন্দরে থাকা ফ্লেবোনয়েড এবং ভিটামিন সি, শরীরের অন্দরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। ফলে ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানেরা বেরিয়ে যায়। সেই সঙ্গে কমে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কাও। ২. খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়: সাইট্রাস ফলগুলিতে প্রচুর মাত্রায় দ্রবণীয় ফাইবার থাকে, যা শরীরে বাজে কোলেস্টরল জমতে দেয় না। ফলে হার্ট অ্যাটাক সহ আরও নানা ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। ৩. কিডনি স্টোনের আশঙ্কা কমায়: শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বেরিয়া না গেলেই কিডনিতে স্টোন জমার আশঙ্কা বাড়ে। আর ভিটামিন সি এই কাজটিই করে থাকে। শরীর থেকে যাতে ক্ষতিকর সব উপাদান পুরো মাত্রায় বেরিয়ে যেতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখাই ভিটামিন-সি প্রধান কাজ। তাই তো বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন সাইট্রাস ফল একসঙ্গে অনেক কাজে লাগে। তাই বলেই তো এই ফলগুলি খেলে শরীর এত চাঙ্গা থাকে। ৪. শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করে: করলার রস খেলে কি সত্যিই শরীরের উপকার হয়? করলার রস খেলে কি সত্যিই শরীরের উপকার হয়? সাবধান: ভূতের খপ্পরে যদি পরতে না চান তাহলে সন্ধ্যার পর কলকাতা শহরের এই জায়গাগুলিতে যাবেন না যেন! সাবধান: ভূতের খপ্পরে যদি পরতে না চান তাহলে সন্ধ্যার পর কলকাতা শহরের এই জায়গাগুলিতে যাবেন না যেন! মাইগ্রেনের ব্যাথায় কি খুব কষ্ট পাচ্ছেন? তাহলে দয়া করে কাজে লাগান এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলিকে! মাইগ্রেনের ব্যাথায় কি খুব কষ্ট পাচ্ছেন? তাহলে দয়া করে কাজে লাগান এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলিকে! ৪. শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করে: ভিটামিন-সি ছাড়াও সাইট্রাস ফলে ভিটামিন- বি, পটাশিয়াম, কপার, প্রভৃতি খনিজগুলিও রয়েছে। তাই ফলগুলি শরীরকে সবদিক থেকে পুষ্টি প্রদান করে থাকে। ৫. চুলের সৌন্দর্য বাড়ায়: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত সাইট্রাস ফল খাওয়া শুরু করলে দেহের অন্দরে ভিটামিন সি-এর মাত্রা বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে বাড়ে কোলাজেনের পরিমাণও। যার প্রভাবে চুল এতটা শক্তপোক্ত হয়ে ওঠে যে হেয়ার ফলের মাত্রা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে বাড়ে চুলর সৌন্দর্যও। ৬. কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগ দূর করে: এই ধরনের অসুবিধা কমাতে পারে একমাত্র ফাইবার। আর এটি রয়েছে সাইট্রাস ফলে। তাই তো বলতেই হয়, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্য়াকে যদি টাটা-বাইবাই করতেই হয়, তাহলে কিন্তু আজ থেকেই খাওয়া শুরু করতে হবে এই ফলগুলির কোনও একটি। ৭. ওজন কমায়: ভিটামিন সি শরীরে জমতে থাকা ফ্য়াট সেলগুলিকে গলিয়ে দেয়। ফলে চর্বির মাত্রা কমতে শুরু করে। সঙ্গে কমে যায় শরীরের ওজনও। আর একথা তো ইতিমধ্য়ে জেনেই গেছেন যে ,সাইট্রাস ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটমানি- সি থাকে। তাই যদি অতিরিক্ত ওজন কমাতে চান, তাহলে খাওয়া শুরু করুন সাইফ্রাস ফলগুলির মধ্য়ে কোনও একটি। ৮. ত্বকের হারিয়ে যাওয়া উজ্জ্বলতা ফিরে আসে: ভেতর থেকে ত্বকতে ভালো করার মধ্য়ে দিয়ে স্কিনের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাইট্রাস ফল দারুন কাজে দেয়। আসলে এই ফলগুলি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ। আর ত্বককে সুন্দর করতে এই উপাদানটির কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। ৯. হার্টের ক্ষমতা বাড়ায়: সাইট্রাস ফুডে উপস্থিত ফাইবার রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য় করে। আর একথা তো সকলেরই জানা যে রক্তচাপ যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে, তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই হার্টের স্বাস্থ্য়ও ভালো থাকে।

নখ খেলে শরীরের কতটা ক্ষতি হয় জানেন?

পেট ভরে কিনা জানা নেই! তবু অনেকেই ঘন্টার পর ঘন্টা নখ খেয়ে থাকেন। আর যতক্ষণে স্টক ফুরোয়, ততক্ষণে নখের হাল বেহাল। শুধু কি তাই, শরীরেরও একাধিক ক্ষতি হয়ে থাকে। কিছু ক্ষেত্রে তো নখের অন্দরে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া দেহের অন্দরে প্রবেশ করে এত মাত্রায় ক্ষতি করে যে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন পরে। তাই আপনিও যদি ব্রেকফাস্ট-লাঞ্চ-ডিনারে শুধু নখই খেযে থাকেন, তাহলে সাবধান! কোন এক অজানা কারণে বহু মানুষই হাতের নখ খেয়ে থাকেন। কেউ বলেন এমনটা করলে নাকি বুদ্ধির জোর বাড়ে, আবার কারও মতে নিছক অভ্যাসের বসেই আঙুলগুলি মুখের কাছে চলে আসে। এক্ষেত্রে স্ট্রেসকেও অনেকে দায়ি করে থাকেন। তবে এই সব শুনে ভাববেন না যে এই কু-অভ্যাসের জন্ম আধুনিক যুগে হয়েছে। ইতিহাস পাতা ওল্টালে জানা যায়, আজ থেকে প্রায় হাজার বছর আগে গ্রিসের এক দার্শনিক সিডোনিয়াস তাঁর একাধিক লেখায় একজন মানুষের কথা বলেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন যখন সেই বিশেষ মানুষটি কিছু ভাবতে বসেন, তখনই হাতের নখ খান। তাহলে ভাবুন সেই কোন যুগ থেকে মানুষ এই কু-অভ্যাসের শিকার হয়ে আসছে। তবে নখ খাওয়ার কারণ যাই হোক না কেন, এমনটা করা কিন্তু একেবারেই উচিত নয়। কারণ একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে নখ খেলে একাধিক রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে শরীরের অন্দরে জটিল সংক্রমণ দানা বাঁধার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। তাই আপনিও যদি এমনটা করে থাকেন, তাহলে আর অপেক্ষা না করে জেনে নিন নখ খেলে শরীরের কী কী ক্ষতি হতে পরে। ১. মুখ থেকে দুর্গন্ধ বেরতে শুরু করে: বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে নখ খাওয়ার সময় হাতে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ারা মুখগহ্বরে প্রবেশ করে। ফলে একদিকে যেমন মুখের অন্দরে সংক্রমণের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়, তেমনি ব্যাকটেরিয়ার কারণে মুখ থেকে দুর্গন্ধ বেরতে শুরু করে। আর এমনটা হলে লোক সমাজে সম্মান যে যায়, তা কি আর বলে দিতে হবে! এবার বুঝেছেন তো নখ খাওয়া কতটা ক্ষতিকর।  ২. দাঁতের ক্ষতি হয়: আপনাদের কি জানা আছে দীর্ঘদিন ধরে নখ খেলে দাঁতের ক্ষয় হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে দাঁতের অবস্থানেও পরিবর্তন হয়। একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে এমন অভ্যাসের কারণে দাঁত বেঁকে যায়। ফলে খাবার খাওয়ার সময় সমস্যা হতে শুরু করে। অনেক ক্ষেত্রে মাড়িতে সংক্রমণের আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। ৩. ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে: আমাদের নখের মধ্যে প্রতিদিনই হাজারো ব্যাকটেরিয়া নিজেদের ঘর বানিয়ে চলেছে। আর এইসব ব্যাকটেরিয়াদের নখ থেকে বার করা মোটও সহজ কাজ নয়। একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে সাবান দিয়ে ভাল করে হাত এবং নখ ধোয়ার পরেও এরা নখের ভিতরে থেকে যায়। ফলে যে মুহূর্তে আপনি নখ খাওয়া শুরু করেন, এই জীবাণুগুলি মুখ দিয়ে শরীরে অন্দর মহলে চলে যায়। ফলে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন সহ একাধিক রোগের প্রকোপ বৃদ্ধির আশঙ্কা বেড়ে যায়। ৪. নখের সৌন্দর্য কমে যায়: যারা হাতের নখ খায়, দেখবেন তাদের নখগুলি এতটাই ছোট হয়ে যায় যে কেমন বাজে দেখতে লাগে। এতে যে শুধু নখের সৌন্দর্য হ্রাস পায়, তা নয়। সেই সঙ্গে সার্বিক হাতের সৌন্দর্যতাও কমে যেতে শুরু করে। ৫. চিরদিনের মতো নখ হারিয়ে ফেলতে পারেন: বিশেষজ্ঞদের মতে দীর্ঘদিন ধরে নখ খেলে "নেল বেড" এত মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্থ হয় যে পুনরায় নখ বেড়ে ওঠে না। ফলে ধীরে ধীরে আঙুলে নখই থাকে না। আর এমনটা হলে হাতের সৌন্দর্য কমতে সময় লাগে না। ৬ . নখের সংক্রমণ: নখ খাওয়ার সময় আঙুলের এই অংশে ছোট ছোট আঘাত লাগতে থাকে। ফলে নখের মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়া এইসব ক্ষতস্থানের মধ্যে দিয়ে রক্তে মিশে যাওয়ার সুযোগ পায়। আর একবার যদি এমনটা হয়ে যায়, তাহলে নখের সংক্রমণ, এমনকী রক্তের সংক্রমণ হওয়ার অশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, রক্ত আমাদের শরীরের প্রতিটি কোনায়, প্রতিটি অঙ্গে পৌঁছে যায়। তাই ব্লাড ইনফেরশন শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। ঠিক সময়ে যদি রক্তকে পুনরায় জীবাণুমুক্ত করা না যায়, তাহলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্তও ঘটতে পারে। তাই এবার থেকে নখ খাওয়ার আগে এই বিষয়ে একবার ভেবে নেবেন কিন্তু! ৭. জীবন দুর্বিসহ হয়ে ওঠে: নখ খেলে সংক্রমণ সহ একাধিক রোগের আশঙ্কা বাড়বে। আর একবার যদি এই সব রোগের কোনওটা শরীরে বাসা বেঁধে বসলে ব্যথা-যন্ত্রণাকে সঙ্গী করেই বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে হবে। তাই একথা বলতেই হয়, যে অভ্যাস দৈনন্দিন জীবনকে খারাপ করে দেয়, সে অভ্যাস ত্যাগ করাই বুদ্ধিমানের কাজ। নাহলে কী হতে পারে, সে বিষয়ে তো এখন জেনেই নিয়েছেন। ৮. ভাইরাল ইনফেকশন: বারে বারে নখ খেলে "হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস" এর প্রকোপ খুব বৃদ্ধি পায়। এই ভাইরাস একবার যদি শরীরে প্রবেশ করে যায় তাহলে নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয়, ঠিক সময়ে এই সংক্রমণকে আটকাতে না পারলে সার্ভিকাল ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়।

নিয়মিত শাঁক বাজানো কি উচিত?

মানে! শাঁক বাজানোর সঙ্গে শরীরের ভাল-মন্দের কোনও সম্পর্ক আছে নাকি? আলবাৎ আছে বন্ধু। তাই তো এই প্রবন্ধটি লেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে শাঁক বাজানোর সময় গলা থেকে পা পর্যন্ত শরীরের প্রতিটি পেশি বেশি মাত্রায় সংকুচিত এবং প্রসারিত হয়। সেই সঙ্গে শরীরের অন্দরেও নানা পরিবর্তন হতে থাকে, যে কারণ একাধিক উপকার মেলে। দূরে পালায় বেশ কিছু জটিল রোগও। এই যেমন ধরুন... ১. চোখ,কান এবং নাকের জন্য উপকারি এক্সারসাইজ: ১. চোখ,কান এবং নাকের জন্য উপকারি এক্সারসাইজ: বেশ কিছু স্টাডি অনুসারে নিয়মিত শঙ্খ বাজালে চোখ, নাক এবং কানে রক্তের সরবরাহ বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে শরীরের এই অংশের পেশির কর্মক্ষমতা এতটা বৃদ্ধি পায় যে একদিকে যেমন দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার আশঙ্কা কমে, তেমনি শ্রবণর ক্ষমতার উন্নতি ঘটতেও সময় লাগে না। তাই শরীরকে কর্মক্ষম রাখতে শাঁক বাঁচাতে ভুলবেন না যেন! ২. জন্ডিসের মতো রোগ দূরে থাকে: ২. জন্ডিসের মতো রোগ দূরে থাকে: প্রাচীন আয়ুর্বেদ গ্রন্থে এমনটা উল্লেখ পরাওয়া গেছে যে শাঁকের মধ্যে সারা রাত জল রেখে দিয়ে সকালে ঘুম থেকে উঠে সেই জল পান করলে জন্ডিস এবং হজমের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কমে। সেই সঙ্গে দাঁত এবং হাড় শক্তপোক্ত হয়। আসলে শাঁকের শরীরে থাকা ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম এবং সালফার জলে মিশে শরীরে প্রবেশ করার কারণেই এই উপকারগুলি পাওয়া যায়। ৩. সারা শরীরে রক্ত প্রবাহের উন্নতি ঘটে: ৩. সারা শরীরে রক্ত প্রবাহের উন্নতি ঘটে: শাঁক বাজানোর সময় জোরে ফু দেওয়ার কারণে মুখের পেশির যেমন সংকোচন-প্রসারণ ঘটে, তেমনি পা পর্যন্ত শরীরে প্রতিটি পেশিতে সচলতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে সারা দেহে রক্ত প্রবাহেরও উন্নতি ঘটে। ফলে প্রতিটি কোষে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছে গিয়ে সার্বিকভাবে শরীরের কর্মক্ষমতার উন্নতি ঘটে। ৪. শরীরের প্রতিটি চক্র উজ্জীবিত হয়ে ওঠে: ত্বকের উপরে জমে থাকা মৃত কোষেদের সরিয়ে সুন্দরী হয়ে উঠতে চান? কাজে লাগান এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলিকে! ত্বকের উপরে জমে থাকা মৃত কোষেদের সরিয়ে সুন্দরী হয়ে উঠতে চান? কাজে লাগান এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলিকে! সাপের স্বপ্ন দেখা কি শুভ লক্ষণ? সাপের স্বপ্ন দেখা কি শুভ লক্ষণ? কোন কোন গাছের পাতা দিয়ে পুজো না করলে শিব ঠাকুর মারাত্মক রুষ্ঠ হয় জানা আছে! কোন কোন গাছের পাতা দিয়ে পুজো না করলে শিব ঠাকুর মারাত্মক রুষ্ঠ হয় জানা আছে! Featured Posts ৪. শরীরের প্রতিটি চক্র উজ্জীবিত হয়ে ওঠে: শাঁক বাজানোর সময় শরীরের ভিতরে যে কম্পন তৈরি হয় তাতে মানব দেহের সাতটি চক্রের ভারসাম্য ঠিক থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কোনও রোগই শরীরের ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। একাধিক প্রাচীন গ্রন্থে উল্লেখ পাওয়া যায়, আমাদের ভাল বা মন্দ থাকার সঙ্গে এই সাতটি চক্রের নিবিড় যোগ রয়েছে। তাই তো প্রতিটি চক্রের মধ্যে ভারসাম্য থাকাটা একান্ত প্রয়োজন। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে একটা ছোট্ট অভ্যাস, তা হল শাঁক বাজানো। প্রসঙ্গত, আমাদের শরীরের অন্দরে থাকা সাতটি চক্র হল যথাক্রমে, মূলধারা, সোয়াধিস্টান, মানিপুরখ, অনাহত, বিশুদ্ধি, অজনা, সহস্ররা এবং ব্রহ্মারন্দ্র। ৫. শরীরে একাধিক পেশির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়: ৫. শরীরে একাধিক পেশির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়: শাঁক বাজানোর সময় ইউরিনারি ট্রাক্ট, ব্লাডার, তলপেট, বুক এবং ঘাড়ের পেশির সঞ্চাসন-প্রসারণ ক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। ফলে সার্বিকভাবে দেহের কর্মক্ষমতা যেমন বাড়ে, তেমনি শরীরের এই বিশেষ অংশগুলিতে কোনও রোগ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। ৬. ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে মুক্তি মেলে: ৬. ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে মুক্তি মেলে: শুনতে হয়তো একটু আজব লাগতে পারে। কিন্তু একথা প্রমাণিত হয়েছে যে শাঁক বাজানোর সময় সারা ঘরে যে আওয়াজ ছড়িয়ে পরে, তার প্রভাবে সেখানে উপস্থিত প্রতিটি ব্যাকটেরিয়া এবং ক্ষতিকর জীবাণু মারা যায়। ঠিক যেমনটা মন্দিরে ঘন্টা বাজালে হয়ে থাকে। তাই নিজেকে এবং পরিবারের বাকি সদস্যদের যদি নানাবিধ সংক্রমণ এবং রোগের থেকে দূরে রাখতে চান, তাহলে প্রতিদিন সকাল-বিকাল শাঁক বাজানো শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। ৭. কথা বলার সমস্যা দূর হয়: গবেষণায় দেখা গেছে যাদের স্পষ্ট ভাবে কথা বলতে সমস্যা হয় অথবা তোৎলামোর ধাত রয়েছে, তারা যদি নিয়মিত শাঁক বাজান তাহলে দারুন উপকার মিলতে পারে। আসলে শাঁক বাজানোর সময় থাইরয়েড গ্ল্যান্ড, গলার পেশি এবং ভোকাল কর্ডের বারংবার সংকোচন-প্রসারণের কারণে ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কথা বলার সমস্যা কমে যেতে শুরু করে। ৮. ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়: খেয়াল করে দেখবেন শাঁক বাজানোর সময় আমাদের জোরে জোরে শ্বাস নিতে হয়। এমনটা প্রতিদিন করতে করতে এক সময়ে গিয়ে ফুসফুসের ক্ষমতা মারাত্মক বেড়ে যায়। আজকাল পরিবেশ দূষণের কারণে লাং যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তাতে এই ছোট্ট অভ্যাসটা কিন্তু সুস্থ জীবন পেতে অনেকভাবে সাহায্য করতে পারে। প্রসঙ্গত, যোগ গুরুরাও মেনে নিয়েছেন প্রতিদিন প্রাণায়ম করলে যে উপকার পাওয়া যায়, সেই একই রকমের উপকার মেলে শাঁক বাজালেও। ৯. রেকটাল মাসলের কর্মক্ষমতা বাড়ে: বেশ কিছু স্টাডি অনুসারে নিয়মিত শাঁক বাজালে রেকটাল মাসলের কর্মক্ষমতা এতটা বেড়ে যায় যে শরীরের এই অংশ কোনও রোগের খপ্পরে পরার সম্ভাবনা কমে। প্রসঙ্গত, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়ম মেনেই রেকটাল পেশি দুর্বল হতে শুরু করে। কিন্তু নিয়মিত যদি শাঁক বাজান যায়, তাহলে এমন ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না বললেই চলে।

নিয়মিত ঝাল-মশলা দেওয়া খাবার খেলে কি হতে পারে জানেন?

বেশ কিছু কেস স্টাডিতে একটা কথা সামনে এসেছে যে ঝাল খাবার খাওয়ার অভিজ্ঞতাকে অনেকে রোলার-কোস্টার রাইডের সঙ্গে তুলনা করে থাকেন। আসলে সবাই জানেন ঝাল খেলে হুসফাস করতে হবে। হবে অল্প-বিস্তর কষ্টও। তবু সেই অভিজ্ঞতা পেতে সবাই যেন মুখিয়ে থাকেন। আর যদি বাঙালিদের কথা বলেন, তাহলে বলতে হয়, আমাদের জিনেই রয়েছে তেল-ঝালের প্রতি এক অমোঘ প্রেম। তাই তো নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরেও ঝাল-ঝাল, তেল ডুবু-ডুবু কোচি পাঁঠার ঝোল খেতে আমাদের কেউ আটকাতে পারে না। কিন্তু প্রশ্ন হল এমন ঝাল খাবার খেলে কি শরীরে বিবিধ অঙ্গের ক্ষতি হয়ে থাকে?এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টায় একাধিক গবেষণা হয়েছে। তাতে উঠে এসেছে ঝাল খাবার খেলে শরীরের কোনও ক্ষতি হয় না। বরং একাধিক উপকার পাওয়া যায়। যেমন ধরুন... ১. আয়ু বৃদ্ধি পায়: চাইনিজ একাডেমি অব মেডিকেল সায়েন্সের গবেষকদের করা একটি রিসার্চ অনুসারে যারা নিয়মিত ঝাল খাবার খান, তাদের অসময়ে মারা যাওয়ার আশঙ্কা প্রায় ১৪ শতাংশ কমে যায়। তাই তো বলি, সুস্থভাবে যদি দীর্ঘদিন বাঁচতে চান, তাহলে সপ্তাহে ৩-৪ দিন ঝাল-মশলা দেওয়া খাবার খেতে ভুলবেন না যেন! ২. মানসিক অবসাদের মাত্রা কমে: বেশ কয়েকদিন ধরেই মনটা কেমন দিশেহারা। সেই সঙ্গে হাসিও যেন দূর পালিয়েছে! তাহলে আর সময় নষ্ট না করে পছন্দের ঝাল খাবার খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন নিমেষে মন ভাল হয়ে যাবে। কারণ এমন ধরনের খাবার খাওয়া মাত্র আমাদের মস্তিষ্কে সেরাটোনিন নামক "ফিল গুড" হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে মন খারাপের কালো মেঘ কাটতে সময় লাগে না। ৩. ওজন কমে: একেবারে ঠিক শুনেছেন! নিয়মিত ঝাল খাবার খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকতে বাধ্য হয়। কারণ লঙ্কার শরীরে উপস্থিত ক্যাপসিসিন নামক উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর মেটাবলিজেম রেট এতটা বাড়িয়ে দেয় যে ফ্যাট জমার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে ফ্যাট বার্ন করার প্রক্রিয়াকেও ত্বরান্বিত করে। ফলে ওজন বাড়ার কোনও আশঙ্কা কমে। প্রসঙ্গত, ঝাল খাবার খাওয়ার পর প্রায় ২০ মিনিট পর্যন্ত ক্যাপসিসিন শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত মেদকে গলাতে থাকে। তাই তো চটজলদি ওজন কমাতে লঙ্কা দিয়ে বানানো ঝাল জাল খাবার খাওযার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। ৪. ক্যান্সার রোগ দূরে থাকে: আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর ক্যান্সার রিসার্চের প্রকাশ করা রিপোর্ট অনুসারে কাঁচা লঙ্কায় উপস্থিত ক্যাপসিসিন, ক্যান্সার সেলেদের মেরে ফেলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে ঝাল খাবার তৈরি করার সময় ব্যবহৃত হলুদ এবং সরষের তেলও এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা নেয়। গবেষণা অনুসারে হলুদ এবং সরষের তেল ক্যান্সার সেলের গ্রোথ আটকাতে এবং টিউমারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, আমরা অনেকেই খাবারের স্বাদ বাড়াতে গোলমরিত ব্যবহার করে থাকে। এই মশলাটিও ক্যান্সার রোগের প্রতিরোধে নানাভাবে সাহায্য করে থাকে। ৫. রাগের প্রকোপ কমে: আপনি কি খুব রাগী? তাহলে বন্ধু আজ থেকেই বেশি মাত্রায় ঝাল-মশলা দেওয়া খাবার খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন। আসলে বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে ঝাল খাবার খাওয়া মাত্র সেরোটোনিনের মতো হরমোনের ক্ষরণ বাড়তে শুরু করে। ফলে রাগের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, রাগ হল সেই আগুন, যা যে কোনও সময় যে কোনও সম্পর্ককে শেষ করে দিতে পারে। তাই বন্ধু আজ থেকেই রাগ কমানোর চেষ্টায় লেগে পরুন। আর এই কাজে আপনাকে কে সাহায্য করতে পারে, তা তো জেনেই গেলেন, তাই না! ৬.ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে: ঝাল খাবার খাওয়া মাত্র সারা শরীর গরম হয়ে যায়। ফলে রক্তের প্রবাহ বাড়ে যাওয়ার কারণে রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রায় নেমে আসতে সময় নেয় না। প্রসঙ্গত, লঙ্কায় উপস্থিত ভিটামিন এ এবং সি-ও এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাকে মজবুত করতে এবং সংক্রমণকে দূরে রাখতেও সাহায্য় করে। ৭. হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে: সমগ্র বিশ্বজুড়ে হওয়া একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে যেসব দেশের নাগরিকেরা বেশি মাত্রায় ঝাল খেয়ে থাকেন, তাদের হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। কারণ লঙ্কা দিয়ে বানানো ঝাল খাবার খেলে শরীরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে যে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। সেই সঙ্গে হার্টের অন্দরে হওয়া ইনফ্লেমেশনও কমে। ফলে নানাবিধ হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

বুধবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৮

তরমুজের বীজ পেটে চলে গেলে কি হতে পারে জানা আছে?

আচ্ছে কে আমাদের শিখিয়েছে বলুন তো এটা ভাল নয়, ওটা ভাল নয়! হয়তো পরিবারের বড় কেউই এমন কাজটা করেছে। কারণ তাদের উপরই তো মূলত এই দায়িত্ব গিয়ে বর্তায়, তাই না! তবে যেই শিখিয়ে থাকুন না কেন, সব ক্ষেত্রেই যে ঠিক শিকিয়েছে এমন নয় কিন্তু!
কেন এমন ভাবে বলিছ, তাই ভাবছেন তো? আরে মশাই যে ধরণাটাই মানুন না কেন তার পিছনে কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি থাকাটা তো জরুরি! কিন্তু খেয়াল করে দেখুন আর্ধেক ক্ষেত্রেই কিন্তু আমরা যুতসই কোনও কারণ খুঁজে পাই না। এই যেমন তরমুজের কথাই ধরুন না। এতদিন পর্যন্ত জেনে এসেছি জল ভর্তি এই ফলটি খাওয়ার সময় মুখ থেকে ফু করে বীজটা তীর বেগে সামনে বসে থাকা বন্ধু হোক কী বিধাতা তার গায়ে নিক্ষেপ করতে হয়। আর যদি মিশন ফেল হয়, তাহলেই কেলো! কারণ পেটে যদি যায় বীজ,
তাহলে পর দিনে পেটে যন্ত্রণা তো হবেই, হতে পারে আরও অনেক কিছু! কিন্তু মজার বিষয় কি জানেন, এই ধরণাটা সিকিভাগও সত্যি না। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে শরীরে গঠনে তরমুজ যতটা কাজে আসে, তার থেকে কোনও অংশে কম কাজে আসে না তার বীজ!বলেন কী মশাই! তরমুজের বীজও সমান উপকারি? একেবারেই! গবেষণা বলছে এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় পটাশিয়াম, কপার, সেলেনিয়াম এবং জিঙ্ক, যা হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তুলতে এবং ডায়াবেটিস রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে ভাববেন না এখানেই শেষ, আরও নানা উপকারে লেগে থাকে এই প্রকৃতিক উপাদানটি। যেমন ধরুন…
১. হার্ট অ্যাটাককে রোধ করে:
তরমুজের বীজে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাকেও হ্রাস করে। প্রসঙ্গত, কেন্টাকি স্টাডি অনুসারে তরমুজের বীজে ম্যাগনেসিয়াম ছাড়াও রয়েছে সিটরুলিন নামে একটি উপাদান, যা অ্যারোটিক ব্লাড প্রেসারকে কমিয়ে হার্টকে চাঙ্গা রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যাদের পরিবারে ক্রনিক হার্টের রোগের ইতিহাস রয়েছে তারা তরমুজ খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বীজটা খেতেও ভুলবেন না যেন!
২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:
পরিমাণ মতো তরমুজের বীজ নিয়ে হালকা করে ভেজে নিয়ে যদি খেতে পারেন, তাহলে শরীরে আয়রন এবং ভিটামিন বি-এর ঘাটতে কমতে শুরু করে। ফলে কেউ যদি অ্যানিমিয়া রোগে ভুগতে থাকেন, তাহলে নিমেষে সেই রোগ সেরে যায়। কারণ আয়রন শরীরে প্রবেশ করা মাত্র লহিত রক্ত কণিকারর উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তাল্পতার প্রকোপ কমতে শুরু করে। অন্যদিকে ভিটামিন বি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। আর একবার ইমিউনিটি যদি বেড়ে যায়, তাহলে শুধু সংক্রমণ নয়, আরও একাধিক রোগের আক্রমণ থেকে সহজেই রক্ষা পায় শরীর।
৩. বন্ধ্যাত্ব দূর হয়:
বাবা হওয়ার কথা ভাবছেন নাকি? তাহলে আজ থেকেই তরমুজের বীজ খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় জিঙ্ক। এই খনিজটি স্পার্ম কাউন্ট বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। ফলে গর্ভধারণের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যাই হয় না।
৪. ডায়াবেটিস রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখে:
সম্প্রতি হওয়া এর ইরানিয়ান স্টাডি অনুসারে তরমুজের বীজে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা শরীরে প্লাজমা গ্লকজের মাত্রা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে এতে উপস্থতি ওমেগা-৬ ফ্য়াটি অ্যাসিড ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা এতটাই বাড়ায়ে দেয় যে ডায়াবেটিস রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।
৫. ব্রেন পাওয়ার বাড়ে:
তরমুজের বীজে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই খনিজটি স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি সার্বিকভাবে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু কেস স্টাডিতে দেখা গেছে দীর্ঘ সময় ধরে শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি থাকলে স্মৃতিশক্তি নষ্ট হতে শুরু করে। ফলে এক সময়ে গিয়ে অ্যালঝাইমারস রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই এই পুষ্টিকর উপাদানটির ঘাটতি যাতে কোনও সময় না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা একান্ত প্রয়োজন।
৬. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়:
তরমুজের বীজের অন্দরে থাকা জিঙ্ক এবং ম্যাগনেসিয়াম হজমে সহায়ক অ্যাসিডের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বদ-হজম এবং গ্যাস-অম্বলের মতো রোগ নিমেষে কমে যায়। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু কেস স্টাডি অনুসারে শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি দেখা দিলে ডায়ারিয়ার মতো রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ারও আশঙ্কাও থাকে। তাই বিষয়টি মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন।

বাঁচতে গেলে জানতে হবে!

আপনার উচ্চতা কত? ধরুন ৬ ফুট। আচ্ছা এই ৬ ফুট শরীরটার সম্পর্কে কোনও জ্ঞান আছে আপনার? নেই তো! আরে না না ভাববেন না আপনি এক, এই লাইনে আরও অনেকে দাঁড়িয়ে। সমীক্ষা বলছে প্রায় ৫০-৬০ শতাংশ মানুষই নিজের শরীর সম্পর্কে সামান্যটুকু খোঁজ খবরও রাখেন না। এই যেমন ধরুন ক্ষিদে পায় বলে আমরা সবাই খেয়ে থাকি। কিন্তু কেমন খাবার শরীরে জন্য ভাল সে সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি কি?
প্রতিদিন আমাদের শরীরকে সচল রাখতে বেশ কিছু উপাদানের প্রয়োজন পরে। ঠিক যেমন গাড়ি চালাতে গলে পেট্রলের প্রয়োজন পরে। এই উপাদানগুলি আমাদের শরীরে প্রবেশ করে খাবারের মাধ্যমে। তাই তো চোখ বুজে খাওয়া-দাওয়া না করে এই বিষয়ে একটু সচেতন হন। এমনটা করলে উপকার মিলবে দেখবেন। তাই তো জেনে নিন দৈনিক ভিটামিন বি-এর প্রয়োজন কেন পরে আমাদের শরীরের। প্রসঙ্গত, ভিটামিন বি ছাড়াও আরও অনেক খনিজেরও দরকার পরে প্রতিদিন। কিন্তু আজকের এই প্রবন্ধে লাইম লাইট ফেলা হবে কেবল মাত্র এই ভাটিমিনটির উপরই।আমাদের শরীরকে চাঙ্গা রাখতে ভিটামিন বি-এর কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। কারণ সারা দিনে শরীরের অন্দরে যে ক্ষতের সৃষ্টি হয়, তার চিকিৎসা মূলত এই ভিটামিনটিই করে থাকে। সেই সঙ্গে আরও নানাবিধ গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব রয়েছে ভিটামিন বি-এর উপর।
তবে তাই বলে ভাববেন না এই কাজগুলি সবই ভাটিমিন বি একা করে থাকে। আসলে ভিটামিন বি হল ৮ টি আলাদা আলাদা ভিটামিনের সমষ্টি। এই আটটি ভিটামিন হল যথাক্রমে বি১, বি২, বি৩, বি৫, বি৬, বি৭, বি৯ এবং বি১২। কী কী কাজে আসে এই ভিটামিনগুলি? চলুন খোঁজ লাগানো যাক সে বিষয়ে।
বি১: এই ভিটামিনটিকে থায়ামিন নামেও ডাকা হয়ে থাকে। আমাদের নার্ভাস সিস্টেম যাতে ঠিক মতো কাজ করে সেদিকে খেয়াল রাখে এই ভিটামিনটি। সেই সঙ্গে কোষেদের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা নেয় বি১। প্রসঙ্গত, ডাল এবং হোল গ্রেন খাবারে এই ভিটামনটি প্রচুর পরিমাণে থাকে।বি২: হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি গ্যাস-অম্বলের প্রকোপ কমাতে এবং ব্লাড সেলের সংখ্যা বৃদ্ধিতেও এই ভিটামিনটি সাহায্য করে। তবে এখানেই শেষ নয়, বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে চুল এবং ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও এই বি২ বিশেষ কাজে আসে। তাই তো প্রতিদিন বি২ ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার, যেমন- বিনস, দুধ, দই এবং ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। বি৩: হার্ট অ্যাটাকের কারণে যদি মরতে না চান, তাহলে এই ভিটমিনটির ঘাটতি যাতে কোনও সময় না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণবি৩ শরীরে উপস্থিত বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি ভাসকুলার ডিজঅর্ডার এবং শ্বাসকষ্ট জনিত নানাবিধ সমস্যাকে দূর রাখতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। সেই সঙ্গে হাড়কে শক্তপোক্ত করতেও সাহায্য করে। সাধারণত সামদ্রিক মাছ, মাংস এবং বাদামে ভিটামিন বি৩-এর সন্ধান পাওয়া যায়।বি৫: মিয়মিত ডিম, বাদাম, দুগ্ধজাত খাবার, ব্রকলি, হোল গ্রেন এবং বিনস খেলে শরীরে এই ভিটামিনটির ঘাটতি দূর হয়, যা কোষেদের গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।বি৬: প্রায় ১০০ ধরনের এনজাইম রিঅ্যাকশন যাতে ঠিক মতো হয়, সেদিকে খেয়াল রাখে ভিটামিন বি৬। সেই সঙ্গে প্রোটিন মেটাবলিজম প্রক্রিয়াও ত্বরান্বিত করে। প্রসঙ্গত, দুধ, দই, ডিম, মাংস এবং সবুজ শাক-সবজিতে এই ভিটামিনটি প্রচুর পরিমাণে থাকে।বি৭: চুলের সৌন্দর্য বাড়ানোর পাশাপাশি ত্বক এবং নখকে সুন্দর রাখার দায়িত্ব রয়েছে এই ভিটামিনটির উপর। শুধু তাই নয়, মেটাবলিজম প্রক্রিয়া যাতে ঠিক মতো হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে ভিটামিন বি৭। মাংস, সয়াবিন এবং পনিরে।বি৯: প্রেগন্যান্সির সময় এই ভিটামিনটির প্রয়োজন বেড়ে যায়। কারণ চিকিৎসক মহলে ফলেট নামে পরিচিত এই পুষ্টিকর উপাদানটি, শরীর যাতে ঠিক মতো প্রোটিন গ্রহণ করতে পারে, সেদিকে নজর রাখে। সেই সঙ্গে গর্ভাবস্থায় যাতে কোনও ধরনের জটিলতা প্রকাশ না পায়, সে ব্যাপারেও সাহায্য করে। সেই কারণেই তো ভাবি মায়েদের নিয়মিত সবুজ শাক-সবজি, হোল গ্রেন খাবার, বিনস, ডাল এবং কলা খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।বি১২: শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে লহিত রক্ত কণিকার জন্ম দেওয়ার কাজটি করে থাকে এই ভিটামিনটি। সেই সঙ্গে ব্রেন ফাংশনে যাতে কোনও ব্যাঘাত না ঘটে সেদিকেও নজর রাখে। একথায় বলা যেতে পারে ভিটামিন বি পরিবারের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য় হল ভিটামিন বি১২। প্রসঙ্গত, এই ভিটামিনটির খোঁজ মেলে মূলত দুগ্ধজাত খাবার, ডিম, মাংস, সামদ্রিক মাছ এবং সবজিতে।

মঙ্গলবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৮

লেবু কি কি কাজে ব্যবহার করবেন

আমাদের খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে তোলা এবং আমাদের তেষ্টা মেটানোর জন্য লেবুর রস পান করার মধ্যেই লেবুর কার্যকারিতা সীমাবদ্ধ নয়। লেবুর আরও অনেক ব্যবহার রয়েছে।

এসব ব্যবহার সম্পর্কে আমরা অনেকেই হয়তো জানি না। আজকে চলুন দেখে নেয়া যাক আপনার হাতের কাছের লেবুটি দিয়ে আপনি কি কি কাজ করে ফেলতে পারেন।

১) কাপড় থেকে কালির দাগ তোলা-
কাপড় থেকে কালির দাগ তুলতে দাগের ওপরে লেবুর খণ্ড ভালো করে ঘষে নিন। লেবুর সাইট্রিক অ্যাসিড দাগ দূর করে দেবে নিমেষেই। এরপর ভালো করে কাপড় ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে নিন। ব্যস, সমস্যার সমাধান।
২) নখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি-
অনেক সময় নানা ধরণের কাজ করার ফলে হাতের নখ মলিন ও ফ্যাকাসে হয়ে যায়। দাগও পড়ে যায় নখে। এইসকল সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নখন লেবুর রসে ডুবিয়ে রাখুন মাত্র ১০ মিনিট। ফিরে পাবেন নখের হারানো উজ্জ্বলতা।
৩) ব্ল্যাকহেডস থেকে মুক্তি-
রাতে ঘুমুতে যাওয়ার আগে প্রতিদিন নাকের দুপাশ ও নাকে লাগিয়ে নিন লেবুর রস। পরের দিন সকালে উঠে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে প্রতিদিন করতে থাকলে রোমকূপের গোঁড়া ছোটো হয়ে আসবে এবং ব্ল্যাকহেডের সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি মিলবে।
৪) সাদা কাপড়ের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে-
সাদা কাপড় বেশ কয়েকবার ধোয়া হলেই হলদে ভাব চলে আসে। এই সমস্যার সমাধান পেতে ২ মগ পানিতে আধা কাপ লেবুর রস মিশিয়ে কাপড় কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন। এরপর ভালো করে পানিতে ধুয়ে নিন। দেখবেন সাদা কাপড়ের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরে এসেছে।
৫) গলা ব্যথা ও সর্দি থেকে মুক্তি-
একটি লেবু মাঝামাঝি কেটে নিয়ে চুলার ওপরে ধরুন। যখন লাবুর কাটা অংশের রঙ বাদামী হয়ে যাবে তখন লেবুটি চিপে ১ চা চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে পান করে নিন। অথবা ৪ চা চামচ লেবুর রস, ১ কাপ মধু ও আধা কাপ অলিভ অয়েল মিশিয়ে ৫ মিনিট চুলায় রেখে গরম করে নিন। এই মিশ্রণটি ঠাণ্ডা হলে প্রতি ২ ঘণ্টায় ১ চা চামচ পান করুন। সমস্যার দ্রুত সমাধান পাবেন।
৬) খুশকি থেকে মুক্তি-
২ কাপ পানিতে ২ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন ভালো করে। এই মিশ্রণটি দিয়ে প্রতিবার শ্যাম্পু করার পর চুল ধুয়ে ফেলবেন। লক্ষ্য রাখবেন মিশ্রণটি যেনো মাথার ত্বকে বেশি লাগে। খুব দ্রুতই খুশকির সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।

নতুন বিয়ে করেছেন ? জেনে নিন জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি

বর্তমান বিশ্বে পারিবারিক স্বাধীনতার এক যুগান্তকারী আবিষ্কার হলো জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। এই আবিষ্কার নারী জাতিকে তার স্বকীয়তা ও অধিকার আদায়ের ব্যপারেও ব্যপক সাহায্য করেছে। শুধু তাই নয়, এটি আমাদের পরিবারকে সুন্দর ও সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা দিয়েছে। কিন্তু এর আছে নানান পদ্ধতি। যারা নতুন বিয়ে করেছেন, অনেকেই বুঝতে পারেননা কোন পদ্ধতি গ্রহন করবেন। আজকে এই পদ্ধতিগুলো আমরা আলোচনা করবো। আপনি দেখে নিতে পারেন কোনটি আপনার জন্য সুবিধাজনক।

জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির প্রকারভেদ
জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গুলোকে প্রধানত: দুইভাগে ভাগ করা যায়।
যথা:
ক) সনাতন পদ্ধতি খ) আধুনিক পদ্ধতি।

ক) সনাতন পদ্ধতিঃ
যে পদ্ধতি পরিবারের সদস্য সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে ঐতিহ্যগতভাবে সমাজে প্রচলিত আছে সেগুলোকে সনাতন পদ্ধতি বলে। যেমন
১) প্রত্যাহার বা আযলঃ স্বামীর বীর্য বাইরে ফেলা
২) বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানো
৩) নিরাপদকাল মেনে চলা
৪) নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সহবাস থেকে বিরত থাকা বা আত্মসংযম।

খ) আধুনিক পদ্ধতিঃ
আধুনিক পদ্ধতিকে আবার দুইভাগে ভাগ করা যায়। যেমন:
১) নন-ক্লিনিক্যাল এবং
২) ক্লিনিক্যাল পদ্ধতি।

1) নন-ক্লিনিক্যাল: যে পদ্ধতিগুলো অন্যের সাহায্য ছাড়া নারী-পুরুষ নিজেই ব্যবহার করতে পারে সেগুলোকে নন-ক্লিনিক্যাল পদ্ধতি বলে। যেমনঃ
• খাবার বড়ি
• কনডম

2) ক্লিনিক্যাল: যে পদ্ধতিগুলো ব্যবহারের জন্য নারী-পুরষকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেবাদানকারীর সাহায্য নিতে হয় সেগুলোকে ক্লিনিক্যাল পদ্ধতি বলে। যেমন: অস্থায়ী পদ্ধতি এবং স্থায়ী পদ্ধতি।
অস্থায়ী পদ্ধতি
• ইনজেকশন
• আই.ইউ.ডি
• নরপ্ল্যান্ট
স্থায়ী পদ্ধতি
• পুরুষ বন্ধ্যাকরণ- ভ্যাসেকটমী
• নারী বন্ধ্যাকরণ- টিউবেকটমি বা লাইগেশন

খাবার বড়ির প্রকার, মাত্রা, কার্যপদ্ধতি এবং সুবিধা, অসুবিধা
খাবার বড়ির প্রকার ও মাত্রা
জন্ম নিয়ন্ত্রনের জন্য বিভিন্ন প্রকারের খাবার বড়ি পাওয়া যায়। যেমন: নরকোয়েস্ট, ওভাষ্ট্যাট, ওভাকন, মারভেলন, সি-৫, সুখী (স্বল্পমাত্রার বড়ি)। প্রত্যেক প্রকার বড়িতে হরমোনের মাত্রার পার্থক্য থাকতে পারে।

কার্যপদ্ধতি
ডিম্বাশয়ের ডিম্বকে পরিপক্ক হতে ও বের হতে বাধা দেয়।

সুবিধা
• সাফল্যের হার বেশী।
• অনাকাংখিত গর্ভসঞ্চার খুবই কম হয়।
• অতিরিক্ত সতর্কতা ছাড়া যৌন সহবাস করা যায়।
• মাসিক নিয়মিত হয়।
• মাসিকের রক্তস্রাব কম হয়। মাসিকের ব্যাথা থাকলে তা কমে যায়।
• নিয়মিত বড়ি খাওয়ার ফলে অনেক মহিলার স্বাস্থ্য ভাল হয়।
• আয়রন বড়ির জন্য রক্তস্বল্পতা কম হয়।
• ডিম্বাশয় ও জরাযু ঝিল্লি¬তে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। পি.আই.ডি (পেলভিসের সংক্রমণ ) কম হয়।
• বড়ি খাওয়া বন্ধ করলে গর্ভধারণ করা যায়।

অসুবিধা
• প্রতিদিন মনে করে খেতে হয়।
• যারা ধূমপান করে তাদের বেশী জটিলতা দেখা দেয়।
• টিউমার বা জন্ডিস থাকলে ব্যবহার করা যাবেনা। মাসিকের পরিবর্তন ঘটতে পারে।
• ওজন বেড়ে যেতে পারে।
• মেজাজ খিটখিটে হয়।
• পদ্ধতি বন্ধ করে দেওয়ার পর গর্ভধারণে দেরী হতে পারে।
• এইচআইভি/এইডস প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে কোন ভূমিকা নাই।

কার্যকারীতা
সাফল্যের হার বেশী। অনাকাংখিত গর্ভসঞ্চার খুবই কম হয়।

কনডমের কার্যপদ্ধতি, সুবিধা, অসুবিধা এবং কার্যকরীতা
কনডম রাবারের দ্বারা তৈরি চোঙ্গার মতো যার একদিক খোলা এবং একদিক বন্ধ বোঁটার মতো। এটি পুরুষের যৌনাঙ্গে পরতে হয়। বিভিন্ন নামে কনডম পাওয়া যায়। যেমন রাজা, সুলতান, প্যানথার, ম্যাজিষ্টিক, সেনসেশন।

কার্যপদ্ধতি
সহবাসের সময় পুরুষাঙ্গে কনডম ব্যবহারের ফলে শুক্রকীট নারীর জরাযুতে প্রবেশ করতে পারে না । ফলে শুক্রকীট ডিম্বানুর সংস্পর্শে আসতে পারে না বলে নারী গর্ভবতী হয় না।

সুবিধা
• যে কোন পুরুষ ব্যবহার করতে পারে।
• কোন ডাক্তারের সহযোগীতা লাগে না।
• কনডম বেশ সস্তা এবং সব জায়গায় কিনতে পাওয়া যায়।
• এইচআইভি/এইডস সহ নানা রকম যৌন রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
• যৌন সহবাস দীর্ঘায়িত হয়।
• জন্ম নিয়ন্ত্রনে পুরুষকে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়।

অসুবিধা
• প্রত্যেক সহবাসে ব্যবহার করতে হয়।
• দু’জন সঙ্গীরই যথেষ্ট সহযোগিতা থাকা দরকার।

কার্যকারীতা
প্রতিবার সঠিক নিয়মে কনডম ব্যবহার করলে ৮৮% ভাগ পর্যন্ত কার্যকর হয়। শুক্রকীটনাশক ফেনা বড়ির সাথে ব্যবহার করলে প্রায় ৯৯% ভাগ পর্যন্ত কার্যকর হতে পারে।

ইনজেকশনের কার্যপদ্ধতি, সুবিধা, অসুবিধা ও কার্যকরীতা
ইনজেকশন ২ প্রকার-DMPA সাদা রং এর দ্রবীভূত জলীয় পদার্থ, ১ ডোজ ১ টি ভায়েলে থাকে।

কার্যপদ্ধতি
১.জরায়ুর মুখে শ্লেষ্মা তৈরী করে ফলে পুরুষের শুক্রকীট জরাযুতে ঢুকতে পারেনা।
২. ডিম্বাশয়ের ডিম্বকে পরিপক্ক হতে ও বের হতে বাধা দেয়।
৩. জরায়ুর ভিতরের গায়ে ঝিল্লী¬র পরিবর্তন করে, ফলে ডিম্ব জরায়ুতে বসতে পারে না।

সুবিধা
১.নিরাপদ ও কার্যকর পদ্ধতি।
২.ব্যবহার বিধি সহজ (৩ মাসের জন্য)।
৩. রক্ত জমাট বাধার সমস্যা দেখা যায় না।
৪. সহবাসের সাথে সম্পর্ক নাই।
৫.গোপনীয়তা রক্ষা করে নেয়া যায়।
৬. বন্ধ করলে গর্ভধারণ করা যায়।
৭. প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মী দিতে পারে।
৮. শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো মা হলেও নেয়া যায়।

অসুবিধা
• অনেকের ইনজেকশন নেয়ার ক্ষেত্রে ভয় থাকে।
• নিজে নেওয়া যায়না।

কার্যকরীতা
অত্যন্ত কার্যকরী প্রায় ১০০% ভাগ এবং নিরাপদ জন্মনিরোধক পদ্ধতি।

আই ইউ ডি বা কপার টির সুবিধা , অসুবিধা ও কার্যকরীতা
আই ইউ ডি (IUD Intra Uterine Device) জরায়ুর ভেতরে ব্যবহারের জন্য একটি জিনিস যা জন্মনিয়ন্ত্রণ করে। অনেক উন্নত ধরণের আই ইউ ডি পদ্ধতি আবিষ্কার হয়েছে। বর্তমানে কপার-টি সবচাইতে জনপ্রিয়।

সুবিধা
১.ব্যবহার করা সহজ।
২.প্রতিদিন মনে করতে হয় না।
৩. যৌন সঙ্গমে বাধা সৃষ্টি করে না।
৪. বুকের দুধ কমে না।
৫. যে কোন সময় খুলে ফেলা যায়।
৬. খুলে ফেলার পর গর্ভধারনের ক্ষমতা ফিরে আসে।
৭. কম খরচে বহুদিন জন্মনিরোধ করা যায়।

অসুবিধা
সুতা পরীক্ষা করতে হয়।

কার্যকারীতা
খুব বেশী কার্যকরী(৯৪-৯৮%) একটি সহজ ও দীর্ঘমেয়াদী অস্থায়ী পদ্ধতি।

নরপ্ল্যান্টের কার্যপদ্ধতি, সুবিধা, অসুবিধা, কার্যকারীতা
বর্তমানে এক প্রকার ৬টি ক্যাপসূলে ১ ডোজ পাওয়া যায়।

কার্যপদ্ধতি
এই পদ্ধতিতে ছয়টি ছোট ছোট নরম চিকন ক্যাপসূল (দেয়াশলাই-এর কাঠির চেয়ে ছোট) মহিলাদের হাতের কনুইয়ের উপরে ভিতরের দিকে চামড়ার নিচে ঢুকিয়ে দেয়া হয়।

সুবিধা
১.পদ্ধতিটি ৫ বছরের জন্য কার্যকর
২.পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কম
৩.যে কোন সময় ডাক্তারের কাছে গিয়ে খোলা যায়

অসুবিধা
১.নিয়মিত মাসিক না হওয়া বা অনেকদিন বন্ধ থাক।
২. মাসিক বন্ধ হলে গর্ভসঞ্চার হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে।
৩.মাসিকের সময় রক্তস্রাব বেশী হতে পারে।
৪.দুই মাসিকের মধ্যবর্তী সময়ে ফোঁটা ফোঁটা রক্তস্রাব হতে পারে।
৫.মাথা ব্যথা।
৬.ওজন বেড়ে যাওয়া।
৭.মন বিষন্ন থাকা।
৮.মুখে বা শরীরে মেছতার দাগ থাকলে বেড়ে যেতে পারে এবং মুখে লোম দেখা দিতে পারে।

কার্যকারীতা
এটি একটি সহজ, নিরাপদ ও কার্যকর পদ্ধতি।

পুরুষ বন্ধ্যাকরণ বা ভ্যাসেকটমির সুবিধা, অসুবিধা ও কার্যকরীতা
ভ্যাসেকটমি বা পুরুষ বন্ধ্যাকরণ পুরুষদের জন্মনিয়ন্ত্রণের স্থায়ী পদ্ধতি। এতে শুক্রকীটবাহী নালী দুটির কিছু অংশ বেঁধে কেটে দেয়া হয়।

সুবিধা
১.অনিচ্ছাকৃত গর্ভধারণের ভয় না থাকায় সহবাসে আনন্দ বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।
২. তেমন কোন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নেই।
৩.আর কোন পদ্ধতি গ্রহণের ঝামেলা থাকে না।

অসুবিধা
যেহেতু স্থায়ী পদ্ধতি পরবর্তীতে সন্তান চাইলেও তা প্রায় অসম্ভব।

কার্যকরীতা
স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। প্রায় ১০০% ভাগ কার্যকরী।

নারী বন্ধ্যাকরণ-টিউবেকটমি/লাইগেশন
খুব ছোট অপারেশনের মাধ্যমে মহিলারে প্রজনন ক্ষমতাকে স্থায়ীভাবে বন্ধ করাই হচ্ছে ডিম্ববাহী নালী। জরায়ুর দুই ধারে দুটি ডিম্ববাহী নালী থাকে। সেই নালী দুটির কিছুটা অংশ বেঁধে কেটে দেয়াকে লাইগেশন বলে।

কার্যপদ্ধতি
ডিম্বাশয় থেকে ডিম্ব বের হয়ে শুক্রানুর সাথে মিলিত হতে পারে না। ফলে গর্ভসঞ্চার হয় না।

সুবিধা
অনিচ্ছাকৃত গর্ভধারণের ভয় না থাকায় সহবাসে আনন্দ বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। তেমন কোন পাশ্ব-প্রতিক্রিয়া নেই। আর কোন পদ্ধতি গ্রহণের ঝামেলা থাকে না। গর্ভবতী হলে মৃত্যুঝুঁকি আছে এমন নারীর জন্য খুবই প্রযোজ্য। আর সন্তান না চাইলে এই অপারেশন খুবই ভাল

অসুবিধা
যেহেতু স্থায়ী পদ্ধতি পরবর্তীতে সন্তান ধারণ করতে চাইলেও তা সম্ভব নয়। অপারেশনের পর একরাত হাসপাতাল অথবা ক্লিনিকে থাকতে হয়।

কার্যকরীতা
স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। প্রায় ১০০% ভাগ কার্যকরী।

পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি সেবা প্রাপ্তির জন্য যোগাযোগ
o পরিবার পরিকল্পনা কর্মী
o স্বাস্থ্য কর্মী
o স্যাটেলাইট ক্লিনিক
o ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র
o মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র
o উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
o জেলা হাসপাতাল
o বেসরকারী ক্লিনিক

সচরাচর জিজ্ঞাসা
প্রশ্ন.১.জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতিকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তর. জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতিকে দুইভাগে ভাগ করা যায়। ১. সনাতন পদ্ধতি ২. আধুনিক পদ্ধতি।

প্রশ্ন.২.খাবার বড়ির সুবিধা ও অসুবিধা গুলো কি কি?
উত্তর.
সুবিধা:
• অতিরিক্ত সতর্কতা ছাড়া যৌন সহবাস করা যায়।
• মাসিক নিয়মিত হয়।
• মাসিকের রক্তস্রাব কম হয়। মাসিকের ব্যথা থাকলে তা কমে যায়।
• নিয়মিত বড়ি খাওয়ার ফলে অনেক মহিলার স্বাস্থ্য ভাল হয়।
• আয়রন বড়ির জন্য রক্তস্বল্পতা কম হয়।
• ডিম্বাশয় ও জরাযু ঝিল্লি¬তে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। পি.আই.ডি(পেলভিসের সংক্রমণ ) কম হয়।
• বড়ি খাওয়া বন্ধ করলে গর্ভধারণ করা যায়।
অসুবিধা:
• প্রতিদিন মনে করে খেতে হয়।
• যারা ধুমপান করে তাদের বেশী জটিলতা দেখা দেয়।
• টিউমার বা জন্ডিস থাকলে ব্যবহার করা যাবেনা। মাসিকের পরিবর্তন ঘটতে পারে।
• ওজন বেড়ে যেতে পারে।
• মেজাজ খিটখিটে হওয়া।
• পদ্ধতি বন্ধ করে দেওয়ার পর গর্ভধারণে দেরী হতে পারে।
• এইচঅইভি/এইডস প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে কোন ভূমিকা নাই।

প্রশ্ন.৩.জন্ম নিয়ন্ত্রনের স্থায়ী পদ্ধতি গুলো কি?
উত্তর. জন্ম নিয়ন্ত্রনের স্থায়ী পদ্ধতি গুলো হলো:
১. পুরুষ বন্ধ্যাকরণ- ভ্যাসেকটমী
২. নারী বন্ধ্যাকরণ- টিউবেকটমি বা লাইগেশন

প্রশ্ন.৪. কপার টির সুবিধা গুলো কি?
উত্তর.
১.ব্যবহার করা সহজ।
২.প্রতিদিন মনে করতে হয় না।
৩.যৌন সঙ্গমে বাধা সৃষ্টি করে না।
৪. বুকের দুধ কমে না।
৫. যে কোন সময় খুলে ফেলা যায়।
৬. খুলে ফেলার পর গর্ভধারনের ক্ষমতা ফিরে আসে।
৭.কম খরচে বহুদিন জন্মনিরোধ করা যায়।

সোমবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৮

কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কী করবেন?

নেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন। জীবনযাত্রার ধরনে একটু পরিবর্তন আনলে কোষ্ঠকাঠিন্য অনেকটা কমানো যায়।

কী করবেন 
• সাধারণ খাবারের সঙ্গে প্রতিদিন প্রচুর শাকসবজি (শাকসবজির মধ্যে পটোল, ঢেঁড়স,  কাঁকরোল ইত্যাদি) আঁশযুক্ত ফল খাবেন।
• প্রচুর পানি পান করবেন (৮/১০ গ্লাস) প্রতিদিন। সম্ভব হলে ডাবের পানি পান করবেন।
• প্রতিদিন খাওয়ার পর ইসবগুলের ভূসি ভিজিয়ে শরবত করে সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে ফেলুন। দুধ ও পনির খাবেন।
• কোষ্ঠকাঠিন্য বেশি হলে দু-একদিন পায়খানার রাস্তায় জোলাপ দিতে পারেন অথবা লেক্সেনা ট্যাবলেট রাতে একটা করে খেতে পারেন অথবা দুই-তিন চামচ  করে এক-দুবার মিল্ক অব ম্যাগনেসিয়া খেতে পারেন। তবে যেকোনো ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।

কী করবেন না
• মাছ, মাংস বেশি করে খাবেন না। পারলে মাংস খাওয়া বাদ দিন।
• চা-কফি খাওয়া কমিয়ে দিন।
• মানসিক চাপ এড়িয়ে চলুন।
• আয়রন ট্যাবলেট ও বিষণ্ণতারোধক ওষুধেও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
• জোলাপ, লেক্সেনা ট্যাবলেট ও মিল্প অব ম্যাগনেসিয়া দু-তিন দিনের বেশি গ্রহণ করবেন না। এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ।

মাথার সামনের দিকে বেশি ব্যথা সাইনোসাইটিসের লক্ষণ

সাইনোসাইটিস মাথাব্যথার একটি ধরন। এর সঙ্গে ঠান্ডা, সর্দি ইত্যাদি জড়িত থাকে। সাইনোসাইটিসের লক্ষণের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানে ৩০৫০তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. রাশিফুল হক রিমন।
বর্তমানে তিনি উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজের নিউরোমেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : সাইনোসাইটিসের লক্ষণ কী?

উত্তর : সাইনোসাইটিস অনেকটা টেনশন টাইপ হেডেকের মতো। এখানেও ব্যথা মাঝারি থেকে তীব্র হতে পারে অনেক সময়। সাধারণত দেখা যায়, মাথার সামনের দিকে ব্যথা বেশি হয়। যখন সে সামনের দিকে ঝুঁকে, যেমন আমরা নিচু হয়ে যদি কোনো জিনিস তুলতে যাই বা নামাজ পড়তে যাই, তখন ব্যথা করে।

প্রশ্ন : এর সঙ্গে কি অন্য আর কোনো সমস্যা রয়েছে?

উত্তর : এর সঙ্গে তার ঠান্ডাজনিত সমস্যা হতে পারে। যেমন—নাক দিয়ে পানি ঝরা, সর্দি-কাশি এগুলো সম্পৃক্ত থাকতে পারে। এদের বমি বা বমি ভাব, আলোতে, শব্দে অসুবিধা—এসব সমস্যা থাকে না।

শুক্রবার, ৩০ মার্চ, ২০১৮

নারীদের যে রোগগুলো বেশি ভোগায়

কিছু কিছু রোগ নিঃসন্দেহে নারীদেরকেই আক্রান্ত করে বেশি। যেমন ব্রেস্ট ক্যান্সার এবং অস্টিওপোরোসিস। কিন্তু এমন কিছু রোগ আছে, যেগুলো নারীদেরকেই বেশ আক্রান্ত করে এবং এ ব্যাপারটা সাধারণ মানুষের জানা নেই বললেই চলে। কার্পাল টানেল থেকে মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস এমনকি স্ট্রোক পর্যন্ত নারীদের মাঝে বেশি হতে দেখা যায়। এ ব্যাপারে আমাদের সবারই জেনে রাখা উচিৎ। এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হসপিটালে কর্মরত ডাক্তার লুৎফুন্নাহার নিবিড়ের সাথে। তিনি জানান, আমাদের দেশে মেয়েদের মাঝে সবচাইতে বেশি দেখা যায় UTI অর্থাৎ ইউরিন ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের প্রকোপ। ওভারি সংক্রান্ত রোগ তো শুধু মেয়েদেরই হয়। ব্রেস্ট ক্যান্সারটাও মেয়েদের বেশি হয়। অন্যান্য রোগের মাঝে দেখা যায় অ্যাজমা, সায়াটিকা, মাইগ্রেইন, গলব্লাডার স্টোন, ইনফ্লামেটরি ডিজিজ এগুলো মেয়েদের বেশি হয়। এছাড়া হৃদরোগের ক্ষেত্রে ভাল্ভ সংক্রান্ত জটিলতাগুলো মেয়েদের বেশি হয়।
Huffington Post থেকে দেখা যায়, নিউ ইয়র্কের ডাক্তার নিয়েসা গোল্ডবার্গের সাথে কথা বলে তারা জানতে পারে এমনই কিছু রোগের কথা যা নারীদের মাঝে বেশি হয়। জেনে নিন এগুলোর ব্যাপারে।
১) থাইরয়েডের রোগ
ডক্টর গোল্ডবার্গ জানান, পুরুষের তুলনায় নারীদের থাইরয়েডের রোগ হবার ঝুঁকি সাতগুণ বেশি। হাইপোথাইরয়েডিজম, হাইপারথাইরয়েডিজম ধরণের সমস্যাগুলো এবং এদের সাথে দেখা যাওয়া বিভিন্ন উপসর্গ দেখতে অন্য রোগের মতো মনে হতে পারে। তবে এসব রোগ শনাক্তকরণ এবং চিকিৎসা এখন অনেকটা পরিচিত হয়ে পড়েছে আমাদের দেশেও।
২) হাইপারটেনশন
নারীর মৃত্যুর বড় একটি কারণ হলো হৃদরোগ এবং প্রতি ৫ জনে মাত্র একজন নারী বুঝতে পারেন যে তিনি আক্রান্ত। নারীদের বয়স ৫৫ পার হবার পর এই ঝুঁকিটা বাড়ে। সঠিক খাদ্যভ্যাস এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে এই ঝুঁকি কম রাখা যেতে পারে।
৩) স্ট্রোক
৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত নারীদের চাইতে পুরুষের বেশি স্ট্রোক হতে দেখা যায়। কিন্তু ৭৫ বছর বয়সের পর, বিশেষ করে ৮৫ এর পর নারীদের স্ট্রোক থেকে মৃত্যু বেশি হতে দেখা যায়।
৪) আলঝেইমার্স ডিজিজ
পুরুষের তুলনায় নারীদের এই রোগ হবার ঝুঁকি অনেক বেশি। যাদের আয়ু বেহসি তাদের আলঝেইমার্স বেহসি হতে দেখা যায় বটে। তবে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা আলঝেইমার্স ঝুঁকি কম রাখতে সাহায্য করে।
৫) মাইগ্রেইন
পুরুষের তুলনায় তিনগুণ নারী এই রোগে আক্রান্ত হন। প্রিয়.কমকে ডাক্তার লুৎফুন্নাহার জানান, মূলত নারীদের পিরিয়ডের সাথে সম্পর্ক থাকার কারণে তাদের মাইগ্রেইন বেশি হতে দেখা যায়। মেনোপজের পর এটি কমে যেতে দেখা যায়।
৬) অটোইমিউন/ইনফ্লামেটরি ডিজিজ
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস, লুপাস- এ ধরণের প্রায় ১০০টি রোগকে একসাথে বলা হয় অটোইমিউন ডিজিজ। এই রোগে আক্রান্ত মানুষদের ৭৫ শতাংশ হলেন নারী। এগুলো নারীদের হৃদরোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনাও বাড়াতে পারে।
৭) গলব্লাডার স্টোন
বিশেষ করে গর্ভবতী নারী এবং বয়স ৪০ পার করা স্থুল শরীরের নারীদের এই রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। একে এড়াতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যভ্যাস বজায় রাখা উচিৎ। খাবারে রাখা উচিৎ অনেকটা ফাইবার এবং কমানো উচিৎ অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট খাওয়া।
এছাড়া আরও কিছু রোগ যা নারীদের বেশি হয়-
অ্যাজমা
কার্পাল টানেল সিনড্রোম
ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোম
ডিপ্রেশন
ফাইব্রোমায়াগ্লিয়া
আইবিএস
ইনসমনিয়া
অস্টিপোরোসিস
রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম
ইউটিআই

বুধবার, ২৮ মার্চ, ২০১৮

অধূমপায়ীদেরও ফুসফুসের ক্যানসার হতে পারে

ধূমপান ফুসফুসের ক্যানসারের একটি অন্যতম ও প্রধান কারণ। যাঁরা দৈনিক ২ থেকে ৩ প্যাকেট সিগারেট সেবন করেন বা ২০-৩০ বছর ধরে ধূমপান করেন, তাঁদের মধ্যে ৯০ শতাংশ ব্যক্তিরই ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে। তাই বলে যাঁরা ধূমপান করেন না, তাঁরা কি একেবারেই নিরাপদে থাকেন? অধূমপায়ীদেরও ফুসফুসের ক্যানসার হতে পারে। এমনকি নারীরাও এই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তাই ধূমপান করেন না বলে কিছু উপসর্গকে অবহেলা করবেন, তা হয় না।
* পরিবেশের ও কর্মক্ষেত্রের নানা দূষণ, গাড়ির ধোঁয়া ফুসফুসের ক্যানসারের কারণ হতে পারে। তাই কাঠ বা কয়লা পোড়ানোর ধোঁয়া বা যানবাহনের ধোঁয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করুন। শিল্পকারখানায় কাজ করার সময় মাস্ক ব্যবহার করা ভালো।

* নারী ও অধূমপায়ীদের ভিন্ন ধরনের ক্যানসার হয়ে থাকে। পরোক্ষ ধূমপানও অন্যদের ক্যানসারের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
* বেশ কিছুদিনের কাশি, কাশির সঙ্গে রক্তপাত, জ্বর, ওজন হ্রাস ইত্যাদি ফুসফুসের ক্যানসারের পরিচিত লক্ষণ। তবে কিছু অপরিচিত উপসর্গ নিয়েও ফুসফুসের ক্যানসার দেখা দিতে পারে। যেমন-গলার স্বর পরিবর্তন। ধূমপায়ী বা ব্রংকাইটিসের রোগীর সাধারণ কাশির ধরন পরিবর্তন। বুকে বা কাঁধে ব্যথা। ৫০ শতাংশ রোগী বুক বা কাঁধের ব্যথা নিয়েই কেবল চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে পারেন। ঘন ঘন নিউমোনিয়া বা ফুসফুসের সংক্রমণ হতে পারে একটি লক্ষণ।
* খুসখুসে কাশি বা শ্বাসকষ্টও এর লক্ষণ হতে পারে। অনেক সময় আমরা এগুলোকে অ্যালার্জি বা হাঁপানি ভেবে অবহেলা করি।
* দেহের অন্য কোনো অঙ্গের ক্যানসার ছড়িয়ে পড়ে ফুসফুসে বাসা বাঁধতে পারে। ব্রেস্ট, কোলন, প্রোস্টেট ক্যানসার ফুসফুসে বেশি ছড়ায়। এ ধরনের রোগের ইতিহাস থাকলে ফুসফুসজনিত কোনো উপসর্গকেই অবহেলা করা যাবে না।
ডা. মো. আজিজুর রহমান,
বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ
সোর্স – প্রথম আলো।