রবিবার, ১১ মার্চ, ২০১৮

মধুর যে ৬ টি অসাধারণ ব্যবহার আপনার একেবারেই অজানা !!

সেই প্রাচীনকাল থেকে মধু নানা চিকিৎসা বিদ্যায় ব্যবহার হয়ে আসছে। মধুর প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান মধুকে প্রাকৃতিক ঔষধিতে পরিণত করেছে। দৈনন্দিন জীবনে তাই মধুর ব্যবহারের সীমা নেই। মধুর অনেক ব্যবহার সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। আজকে জেনে নিন মধুর অসাধারণ সব ব্যবহার যা আপনি আগে জানতেন না।
১) ফেসওয়াশ হিসেবে সাধারণ ফেসওয়াশের পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন মধু অনায়েসেই। মধুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের ব্রণ কমায় এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের দাগ দূর করে। এছাড়াও প্রাকৃতিক ময়েসচারাইজার মধু ত্বকের কোমলতা বাড়ায়।
২) প্রাকৃতিক কফ সিরাপ ঠাণ্ডা সর্দি যদি একেবারেই দূর না হতে চায় এবং কাশির সমস্যা চলতেই থাকে তাহলে প্রতিদিন ১/৪ কাপ কুসুম গরম পানিতে ২ টেবিল চামচ মধু এবং অর্ধেকটা লেবুর রস চিপে পান করুন। অনেকটা উপশম হবে।
৩) ঘুমের সমস্যা দূর করতে আপনার কি প্রায় প্রতিদিনই রাত ২ -৪ টার মধ্যে ঘুম ভেঙে যায় অথবা ৪ টার আগে ঘুমাতেই পারেন না? তাহলে বিছানার পাশে ছোট একটি বোতলে মধুর সাথে সামান্য লবণ মিশিয়ে রাখুন। এবং ঘুমের সমস্যা হলেই জিহ্বাইয় ২-৩ ফোঁটা লবণাক্ত মধু দিন। ব্যস, দ্রুত ঘুম চলে আসবে। গবেষণায় দেখা যায় এই পদ্ধতি ঘুমের উদ্রেককারী হরমোনের নিঃসরণ ঘটায়।
৪) ছোটোখাটো পোড়া এবং কাটাছেড়া নিরাময়ে হাতে তেল ছিটে এলে অনেকেই ডিমের সাদা অংশ বা টুথপেস্ট লাগিয়ে থাকেন। আজ থেকে মধু লাগানোর অভ্যাস করুন। মধুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও নিরাময় ক্ষমতা ত্বকের কোনো ক্ষতি ছাড়াই ক্ষত দূর করবে এবং এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ইনফেকশনকেও দূরে রাখবে।
৫) কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন তারা প্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে পানের অভ্যাস করে নিন। অনেকাংশেই দূর হয়ে যাবে সমস্যা।
৬) নানা চুল সমস্যার প্রাকৃতিক সমাধান চুলের যত্নে মধুর তুলনা নেই। মাথার ত্বক ময়েসচারাইজ করে চুলের নানা সমস্যা দূর করতে মধু সবচাইতে ভালো প্রাকৃতিক উপাদান। শুধুমাত্র মধু চুলের গোঁড়ায় এবং পুরো চুলে ম্যাসেজ করে নিন। এতে চুল আরও বেশি ঝলমলে হয়ে উঠবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন