শুক্রবার, ৩০ মার্চ, ২০১৮

নারীদের যে রোগগুলো বেশি ভোগায়

কিছু কিছু রোগ নিঃসন্দেহে নারীদেরকেই আক্রান্ত করে বেশি। যেমন ব্রেস্ট ক্যান্সার এবং অস্টিওপোরোসিস। কিন্তু এমন কিছু রোগ আছে, যেগুলো নারীদেরকেই বেশ আক্রান্ত করে এবং এ ব্যাপারটা সাধারণ মানুষের জানা নেই বললেই চলে। কার্পাল টানেল থেকে মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস এমনকি স্ট্রোক পর্যন্ত নারীদের মাঝে বেশি হতে দেখা যায়। এ ব্যাপারে আমাদের সবারই জেনে রাখা উচিৎ। এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হসপিটালে কর্মরত ডাক্তার লুৎফুন্নাহার নিবিড়ের সাথে। তিনি জানান, আমাদের দেশে মেয়েদের মাঝে সবচাইতে বেশি দেখা যায় UTI অর্থাৎ ইউরিন ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের প্রকোপ। ওভারি সংক্রান্ত রোগ তো শুধু মেয়েদেরই হয়। ব্রেস্ট ক্যান্সারটাও মেয়েদের বেশি হয়। অন্যান্য রোগের মাঝে দেখা যায় অ্যাজমা, সায়াটিকা, মাইগ্রেইন, গলব্লাডার স্টোন, ইনফ্লামেটরি ডিজিজ এগুলো মেয়েদের বেশি হয়। এছাড়া হৃদরোগের ক্ষেত্রে ভাল্ভ সংক্রান্ত জটিলতাগুলো মেয়েদের বেশি হয়।
Huffington Post থেকে দেখা যায়, নিউ ইয়র্কের ডাক্তার নিয়েসা গোল্ডবার্গের সাথে কথা বলে তারা জানতে পারে এমনই কিছু রোগের কথা যা নারীদের মাঝে বেশি হয়। জেনে নিন এগুলোর ব্যাপারে।
১) থাইরয়েডের রোগ
ডক্টর গোল্ডবার্গ জানান, পুরুষের তুলনায় নারীদের থাইরয়েডের রোগ হবার ঝুঁকি সাতগুণ বেশি। হাইপোথাইরয়েডিজম, হাইপারথাইরয়েডিজম ধরণের সমস্যাগুলো এবং এদের সাথে দেখা যাওয়া বিভিন্ন উপসর্গ দেখতে অন্য রোগের মতো মনে হতে পারে। তবে এসব রোগ শনাক্তকরণ এবং চিকিৎসা এখন অনেকটা পরিচিত হয়ে পড়েছে আমাদের দেশেও।
২) হাইপারটেনশন
নারীর মৃত্যুর বড় একটি কারণ হলো হৃদরোগ এবং প্রতি ৫ জনে মাত্র একজন নারী বুঝতে পারেন যে তিনি আক্রান্ত। নারীদের বয়স ৫৫ পার হবার পর এই ঝুঁকিটা বাড়ে। সঠিক খাদ্যভ্যাস এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে এই ঝুঁকি কম রাখা যেতে পারে।
৩) স্ট্রোক
৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত নারীদের চাইতে পুরুষের বেশি স্ট্রোক হতে দেখা যায়। কিন্তু ৭৫ বছর বয়সের পর, বিশেষ করে ৮৫ এর পর নারীদের স্ট্রোক থেকে মৃত্যু বেশি হতে দেখা যায়।
৪) আলঝেইমার্স ডিজিজ
পুরুষের তুলনায় নারীদের এই রোগ হবার ঝুঁকি অনেক বেশি। যাদের আয়ু বেহসি তাদের আলঝেইমার্স বেহসি হতে দেখা যায় বটে। তবে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা আলঝেইমার্স ঝুঁকি কম রাখতে সাহায্য করে।
৫) মাইগ্রেইন
পুরুষের তুলনায় তিনগুণ নারী এই রোগে আক্রান্ত হন। প্রিয়.কমকে ডাক্তার লুৎফুন্নাহার জানান, মূলত নারীদের পিরিয়ডের সাথে সম্পর্ক থাকার কারণে তাদের মাইগ্রেইন বেশি হতে দেখা যায়। মেনোপজের পর এটি কমে যেতে দেখা যায়।
৬) অটোইমিউন/ইনফ্লামেটরি ডিজিজ
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস, লুপাস- এ ধরণের প্রায় ১০০টি রোগকে একসাথে বলা হয় অটোইমিউন ডিজিজ। এই রোগে আক্রান্ত মানুষদের ৭৫ শতাংশ হলেন নারী। এগুলো নারীদের হৃদরোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনাও বাড়াতে পারে।
৭) গলব্লাডার স্টোন
বিশেষ করে গর্ভবতী নারী এবং বয়স ৪০ পার করা স্থুল শরীরের নারীদের এই রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। একে এড়াতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যভ্যাস বজায় রাখা উচিৎ। খাবারে রাখা উচিৎ অনেকটা ফাইবার এবং কমানো উচিৎ অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট খাওয়া।
এছাড়া আরও কিছু রোগ যা নারীদের বেশি হয়-
অ্যাজমা
কার্পাল টানেল সিনড্রোম
ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোম
ডিপ্রেশন
ফাইব্রোমায়াগ্লিয়া
আইবিএস
ইনসমনিয়া
অস্টিপোরোসিস
রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম
ইউটিআই

বুধবার, ২৮ মার্চ, ২০১৮

অধূমপায়ীদেরও ফুসফুসের ক্যানসার হতে পারে

ধূমপান ফুসফুসের ক্যানসারের একটি অন্যতম ও প্রধান কারণ। যাঁরা দৈনিক ২ থেকে ৩ প্যাকেট সিগারেট সেবন করেন বা ২০-৩০ বছর ধরে ধূমপান করেন, তাঁদের মধ্যে ৯০ শতাংশ ব্যক্তিরই ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে। তাই বলে যাঁরা ধূমপান করেন না, তাঁরা কি একেবারেই নিরাপদে থাকেন? অধূমপায়ীদেরও ফুসফুসের ক্যানসার হতে পারে। এমনকি নারীরাও এই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তাই ধূমপান করেন না বলে কিছু উপসর্গকে অবহেলা করবেন, তা হয় না।
* পরিবেশের ও কর্মক্ষেত্রের নানা দূষণ, গাড়ির ধোঁয়া ফুসফুসের ক্যানসারের কারণ হতে পারে। তাই কাঠ বা কয়লা পোড়ানোর ধোঁয়া বা যানবাহনের ধোঁয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করুন। শিল্পকারখানায় কাজ করার সময় মাস্ক ব্যবহার করা ভালো।

* নারী ও অধূমপায়ীদের ভিন্ন ধরনের ক্যানসার হয়ে থাকে। পরোক্ষ ধূমপানও অন্যদের ক্যানসারের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
* বেশ কিছুদিনের কাশি, কাশির সঙ্গে রক্তপাত, জ্বর, ওজন হ্রাস ইত্যাদি ফুসফুসের ক্যানসারের পরিচিত লক্ষণ। তবে কিছু অপরিচিত উপসর্গ নিয়েও ফুসফুসের ক্যানসার দেখা দিতে পারে। যেমন-গলার স্বর পরিবর্তন। ধূমপায়ী বা ব্রংকাইটিসের রোগীর সাধারণ কাশির ধরন পরিবর্তন। বুকে বা কাঁধে ব্যথা। ৫০ শতাংশ রোগী বুক বা কাঁধের ব্যথা নিয়েই কেবল চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে পারেন। ঘন ঘন নিউমোনিয়া বা ফুসফুসের সংক্রমণ হতে পারে একটি লক্ষণ।
* খুসখুসে কাশি বা শ্বাসকষ্টও এর লক্ষণ হতে পারে। অনেক সময় আমরা এগুলোকে অ্যালার্জি বা হাঁপানি ভেবে অবহেলা করি।
* দেহের অন্য কোনো অঙ্গের ক্যানসার ছড়িয়ে পড়ে ফুসফুসে বাসা বাঁধতে পারে। ব্রেস্ট, কোলন, প্রোস্টেট ক্যানসার ফুসফুসে বেশি ছড়ায়। এ ধরনের রোগের ইতিহাস থাকলে ফুসফুসজনিত কোনো উপসর্গকেই অবহেলা করা যাবে না।
ডা. মো. আজিজুর রহমান,
বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ
সোর্স – প্রথম আলো।

মেকআপ ছাড়াই সহজ ১০টি কৌশলে থাকুন সুন্দর

নিখুঁত সুন্দর ত্বক সবার কাম্য। সুন্দর হতে হলে কি সব সময় মেকআপ করার প্রয়োজন? মেকআপ ছাড়া কি সুন্দর হওয়া সম্ভব নয়? অনেকের ধারণা মেকআপ ছাড়া সুন্দর লাগা সম্ভব নয়। কিন্তু মেকআপ ছাড়াও সুন্দর লাগা সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন কিছু কৌশলের। মেকআপ ছাড়া সুন্দর লাগানোর কিছু কৌশল পাওয়া যায় stylecraze, .boldsky এবং womanitely থেকে।
১। হাইজেনিক
আপনি কি মেকআপ ছাড়া সুন্দর দেখাতে চান? তাহলে গাদা গাদা ফাউন্ডেশন, পাউডারের পরিবর্তে গোসল করুন। দিনে ২ বার গোসল করার চেষ্টা করুন। গোসল প্রাকৃতিকভাবে আপনাকে একটি স্নিগ্ধ লুক দিবে।
২। দিনে দুইবার মুখ ধুয়ার অভ্যাস করুন
প্রতিদিন সকাল এবং রাতে দুই বার করে মুখ ধোয়ার অভ্যাস করুন। অদ্ভুত শোনালেও এটি সত্য। সকালে ঘুম থেকে উঠার পর এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিয়মিত মুখ ধোয়ার অভ্যাস করুন। এটি ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেয় অনেকখানি।
৩। ময়েশ্চারাইজ
ত্বক ময়েশ্চারাইজ করা খুব প্রয়োজন। মুখের সাথে হাত, ঘাড়, পায়েরও ময়েশ্চারাইজ করার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ বয়সের ছাপ সবার আগে হাত পায়ে পরে থাকে। মধু প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। এছাড়া ত্বকের সাথে মানানসয়ী যেকোন ময়েশ্চারাইজ ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করতে পারেন।
৪। ফেইস ওয়াসের ব্যবহার
প্রতিদিন ত্বকের ময়লা পরিস্কার করার জন্য ফেইস ওয়াস ব্যবহার করুন। এমনকি ঘর থেকে বের না হলেও প্রতিদিন ফেইস ওয়াস দিয়ে মুখ পরিস্কার করুন।
৫। টোনার ব্যবহার
প্রতিদিন ত্বক পরিচর্যায় টোনার অনেক গুরুত্বপূর্ণ। টোনার ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করে ত্বককে টানটান করে থাকে। বাজারে টোনার কিনতে পাওয়া যায় আপনি চাইলে সেটি ব্যবহার করতে পারেন। গোলাপ জল খুব ভাল প্রাকৃতিক টোনার।
৬। হেয়ার স্টাইল
সব হেয়ার স্টাইল আপনার জন্য নয়। আপনাকে হয়তো লম্বা বেনীতে ভাল লাগছে কিন্তু আরেকজনকে চুল ছাড়া অবস্থায় বেশি মানিয়ে যায়। আপনাকে যে হেয়ার স্টাইলটি বেশি মানিয়ে থাকে সেটি করুন। তবে সব সময় একই রকমের হেয়ার স্টাইল করবেন না। এতে একঘেয়ামি চলে আসবে। মাঝে মাঝে চুলের স্টাইল পরিবর্তন করুন।
৭। চলতি ফ্যাশনের দিকে লক্ষ্য রাখুন
আপনার পোশাকের ওপর আপনার ব্যক্তিত্ব ও রুচির প্রকাশ পায়। চলতি ফ্যাশন অনুযায়ী পোশাক পরিধান করুন। অনুষ্ঠান অনুযায়ী পোশাক পরার চেষ্টা করুন। পোশাক আপনাকে অনেকখানি সুন্দর করে দিবে।
৮। রং পছন্দ করা
আপনাকে যে রং বেশি মানিয়ে যায়, সেই রং এর পোশাক পরিধান করুন। যদি কালো রং হয়, তবে কালো রং এর পোশাক পরিধান করুন। তবে হ্যাঁ সবসময় একই রঙের পোশাক পরিধান করবেন না। এতে আপনাকে দেখতে একঘেয়ে লাগবে।
৯। জুতোর দিকে লক্ষ্য রাখুন
সাজের একটই গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল জুতো। কয়েক জোড়া জুতো রাখুন। ড্রেসের রং এবং অনুষ্ঠানের ধরণ অনুযায়ী জুতো পরিবর্তন করে পড়ুন। তবে হ্যাঁ আপনি যে ধরণের জুতোয় আরামদায়ক বোধ করবেন না, সেটি পরিধান করা থেকে বিরত থাকুন।
১০। হাসি
নিজেকে অন্য থেকে আকর্ষণীয় করার সবচেয়ে সহজ উপায় হল হাসি। হাসি আপনাকে সবার থেকে আলাদা করে তুলবে। তাই হাসির মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করুন।

শনিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৮

মাত্র এক গ্লাসেই উধাও পাকা চুল

অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়া খুবই কমন একটি ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে একেকজন মরিয়া হয়ে ওঠেন। কেউ চুলে মেহেদী দিচ্ছেন, কেউ বাজার থেকে কৃত্রিম রং এনে তা চুলে মাখছেন। খাবারের ভেজাল আর পরিবেশ দূষণের কুফলই কম বয়সে চুল পাকার একটি অন্যতম কারণ। একটি মিশ্রণ খেয়েই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। জেনে নিন কিভাবে তৈরি করবেন সেই ম্যাজিক মিশ্রণ। যা
যা লাগবে

– ১০০ গ্রাম তিসির তেল

– ২টি মাঝারি মাপের পাতিলেবু

– ২ কোয়া ছোট রসুন

– ৫০০ গ্রাম মধু
যেভাবে তৈরি করবেন

একটি লেবু খোসা ছাড়ানো অার অন্যটি ছোট ছোট টুকরো হবে। এবার রসুন ও লেবু পেস্ট করে নিন। পেস্ট করার সময় কোনভাবেই পানি মেশাবেন না। এখন এই মিশ্রণের সাথে তিসির তেল এবং মধু দিয়ে আবার ভালো করে মেশান। মিশ্রণটি একটি পরিষ্কার এয়ার টাইট কাঁচের বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। একদিন পরে বের করে ব্যবহার করুন। রোজ খাওয়ার আধ ঘণ্টা আগে দিনে তিন বার এক চামচ করে খান। এজন্য কাঠের চামচ ব্যবহার করবেন।

২ সপ্তাহের মধ্যেই তফাতটা ধরতে পারবেন। মিশ্রণটি নিয়মিত খেলে পাকা চুল কালো হয়ে উঠবে। শুধু তাই নয়, মিশ্রণটি খেলে দৃষ্টিশক্তি প্রখর হবে, চুল পড়ার সমস্যা দূর হবে এবং নতুন চুল গজাবে। এছাড়া ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে এবং কুঁচকানো চামড়া টানটান করবে।

রবিবার, ১৮ মার্চ, ২০১৮

সেনসিটিভ ত্বকের যত্ন

কে কোন ধরনের বা কোন ব্র্যাণ্ডের প্রসাধনী ব্যবহার করবেন–এমন একটা প্রশ্ন অনেকেই করেন। কিন্তু সেটা এক কথায় বলে দেয়া যায় না। কারণ আমাদের প্রত্যেকের ত্বকের ধরন ভিন্ন। আমরা বিভিন্নজনকে বলি বিভিন্ন প্রডাক্ট ব্যবহার করে দেখতে, এবং শেষে যেটা তার শরীরের পক্ষে মানানসই লাগে সেটা ব্যবহার করতে। যারা এত পরীক্ষা-নিরীক্ষার ঝামেলার মধ্যে দিয়ে যেতে চান না, তারা এবং যাদের ত্বক সংবেদনশীল বা সেনসিটিভ (আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষের ত্বকই এমন), তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হলো সরাসরি সেনসিটিভ টাইপের প্রসাধনী ব্যবহার করা।
এমনিতে চুল বা ত্বক ভালো রাখতে সবচেয়ে বেশি জরুরী হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, জামাকাপড়-অন্তর্বাস থেকে শুরু করে বিছানাপত্র–সব কিছু সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করতে হবে। এতে চুলকানি, খুশকি, চুলপড়া ইত্যাদি সমস্যাগুলো থেকে দূরে থাকা যায়।
সেই সাথে বাজারের হরেক রকমের প্রসাধনী থেকে দূরে থাকতে পারলেও ভালো। এসব যত কম ব্যবহার করা যায়, ততই ভালো। কারণ যেসব রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে এসব বানানো হয় তার বেশিরভাগই আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আর এগুলোর অন্যতম প্রধান উপাদান হলো অ্যালকোহল। এসব রাসায়নিক উপাদান আমাদের শরীরের সংস্পর্শে এসে ক্যান্সার থেকে শুরু করে নানান ধরনের রোগের সৃষ্টি করে।
তবুও দৈনন্দিন জীবনে এসবের ব্যবহার একেবারে না করে থাকা যায় না। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে যেটুকু দরকার, তার বাইরে এসব ব্যবহার যত কম করা যায়, তত ভালো। আর যেহেতু অল্প অল্প ব্যবহার করবেন, তাই ভালো ব্র্যাণ্ডের জিনিস একটু বেশি দাম হলেও সেগুলো কেনা ভালো। আর নামকরা ব্র্যান্ডের কোম্পানিগুলোর প্রায় সবাই সব ধরনের প্রসাধনীর একটা সেনসিটিভ ভার্সন থাকে। এই প্রডাক্টগুলোতে অ্যালকোহল না থাকাতে যেমন কম ক্ষতিকর, সেই সাথে দামও তুলনামূলক ভাবে কম।
রেগুলার প্রসাধনী ব্যবহারে চুল ওঠা, চুলকানি বা ত্বকের নানান সমস্যা হয়ে থাকলে সেগুলো বাদ দিয়ে এই সেনসিটিভ প্রসাধনীগুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
Tags: খুশকি, চুলকানি, ত্বক, প্রসাধনী

রেট্রোগ্রেড ইজাকুলেশন

পুরুষের যখন বীর্যপাত ঘটে স্বাভাবিকভাবে সেটা মূত্রনালী দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে; কিন্তু সেটা না হয়ে বীর্য যদি পেছনের দিক দিয়ে মূত্রথলিতে চলে যায় তাহলে তাকে রেট্রোগ্রেড ইজাকুলেশন বলে।
যেভাবে ঘটে
স্বাভাবিকভাবে মূত্রথলির স্ফিংটার সঙ্কুচিত হয় এবং শুক্রাণু মূত্রনালীতে ধাবিত হয়। রেট্রোগ্রেড ইজাকুলেশনের ক্ষেত্রে এই স্ফিংটার ঠিকমতো কাজ করে না।
কারণ
এ ধরনের বীর্যপাতের কারণ অটোনমিক স্নায়ুতন্ত্র কিংবা প্রোস্টেট অপারেশনের জন্য হতে পারে। টিইউআরপি (ট্রান্স ইউরেথ্রাল রিসেকশন অব প্রোস্টেট)-এর একটি সাধারণ জটিলতা হচ্ছে রেট্রোগ্রেড ইজাকুলেশন।
কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেও রেট্রোগ্রেড ইজাকুলেশন হয়। এসব ওষুধের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ ওষুধটি হচ্ছে ট্যামসুলোসিন (ঞধসংঁষড়ংরহ)। এই ওষুধটি বিভিন্ন কারণে মূত্রপথের মাংসপেশিগুলোকে শিথিল করতে ব্যবহার করা হয়। এসব ওষুধ মূত্রথলির স্ফিংটারকে শিথিল করতে পারে এবং এ কারণে স্ফিংটার পুরোপুরি সঙ্কুচিত হতে ব্যর্থ হয়।
অ্যান্টি ডিপ্রেস্ট্যান্ট এবং অ্যান্টিসাইকোটিক ওষুধগুলোও এ ধরনের সমস্যা তৈরি করে থাকে।
যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের জটিলতা হিসেবে রেট্রোগ্রেড ইজাকুলেশন হতে পারে। ডায়াবেটিসের রোগীরা যদি দীর্ঘ দিন রক্তের চিনি নিয়ন্ত্রণ না করেন তাহলে এ সমস্যাটি দেখা দেয়। মূত্রথলির স্ফিংটারের স্নায়ু সমস্যার কারণে এটা হয়। 
রোগ নির্ণয়
সাধারণত বীর্যস্খলনের পরপরই প্রস্রাব পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে প্রস্রাবে বীর্য পাওয়া যাবে।
কার্যকর চিকিৎসা
রেট্রোগ্রেড ইজাকুলেশনের কারণে বন্ধ্যাত্ব ঘটতে পারে অর্থাৎ ওই পুরুষের স্ত্রী সন্তান উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হন। এ ক্ষেত্রে পুরুষের শুক্রাণু মহিলার জননাঙ্গতে পৌঁছতে পারে না। তাই গর্ভসঞ্চার করার জন্য পুরুষটির প্রস্রাব সেনট্রিফিউজড করা হয় এবং শুক্রাণু আলাদা করে তা মহিলার মধ্যে প্রবেশ করানো হয়।
রেট্রোগ্রেড ইজাকুলেশনের ৪০ শতাংশ পুরুষের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সিউডোইফিড্রিন ব্যবহারে বীর্যস্খলনের গুণগত উন্নতি হয়েছে। তবে মনে রাখতে হবে, এই ওষুধের সাথে পুরুষাঙ্গ শিথিল হওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। যাদের সর্বক্ষণ পুরুষাঙ্গ শক্ত হয়ে থাকে তাদের চিকিৎসার জন্য সিউডোইফিড্রিন ব্যবহার করা হয়। যেসব পুরুষের পুরুষাঙ্গ ঠিকমতো উত্থিত হয় না এবং যেসব পুরুষের রেট্রোগ্রেড ইজাকুলেশন হয় তাদের অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। এ ক্ষেত্রে এক সাথে দুটো ওষুধ দেয়া হয়– সিউডোইফিড্রিন এবং সিলডানাফিল।
————
সোর্স- নয়াদিগন্ত
ডা: মিজানুর রহমান কল্লোল
স্বাস্থ্য নিবন্ধকার, কলাম লেখক এবং সহকারী অধ্যাপক, অর্থোপেডিকস ও ট্রমা বিভাগ, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল।
চেম্বার : পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লি:, ২, ইংলিশ রোড, ঢাকা।
ফোন: ০১৭১৬২৮৮৮৫৫

নাকে কিছু ঢুকলে করণীয়

এক থেকে চার বছর বয়সের শিশুরা নাকের মধ্যে এটা-সেটা ঢুকিয়ে দিতে পারে। সাধারণত তাদের পছন্দের বস্তু, যেমন—বোতাম, পুঁতি, কাগজ, তুলা, রাবার এবং মটরদানা, শিমের বিচি ইত্যাদি নাকের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিশুর নাকে এসব ঢোকানোর কথা অভিভাবককে বলে না।

লক্ষণ : 
• শিশু অস্থির হয়ে পড়বে।
• নাকে দুর্গন্ধ ও আটকে যাওয়া নাক থেকে শ্লেষ্মা বেরোবে। অনেক সময় তা রক্তমিশ্রিত থাকতে পারে।
• নাকের বাইরে এবং ঠোঁটের ওপরে লাল হয়ে থাকতে পারে ঘষাঘষির জন্য।

ঝুঁকি 
• এ ক্ষেত্রে অদক্ষ কাউকে দিয়ে নাকের বস্তুটি বের করে আনার চেষ্টা করা যাবে না। তাতে বস্তুটি শ্বাসনালিতে ঢুকে মারাত্মক সমস্যা করে। এটি মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

করণীয়
নাকে কিছু ঢুকলে নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে নাকে ঢোকা বস্তুটি বের করে আনতে হবে। তার আগে নাকের এক্স-রে করে বস্তুটি দেখে নেওয়া যেতে পারে। রোগী সহযোগিতা করলে নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ বিশেষ যন্ত্রপাতির সাহায্যে ওটা বের করে আনতে পারবেন।

রোগী অসহযোগিতা করলে ব্যক্তিকে অজ্ঞান করে বের করতে হবে। তবে দেরি করা উচিত হবে না। কারো কারো ক্ষেত্রে অগোচরে দীর্ঘদিন নাকের মধ্যেই বস্তুটি থেকে যায়।

সে ক্ষেত্রে বাইরে আবরণ তৈরি হয়ে পাথরের সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে নাক  থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পর বিষয়টি উদঘটিত হয়।

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ।

শনিবার, ১৭ মার্চ, ২০১৮

হৃদরোগে সবসময় বুকে ব্যথা হয় না

হার্টের সমস্যা হলে তো বুকে ব্যথা করত! কই, আমার তো কোনো বুকে ব্যথা ছিল না। অনেক হৃদ রোগী এ প্রশ্ন তোলেন। কথা ঠিক। করোনারি আর্টারি ডিজিজে হৃৎপিণ্ডে রক্ত সরবরাহকারী ধমনিগুলোতে চর্বি জমে, ফলে কমে যায় হৃদ্‌যন্ত্রে রক্ত সরবরাহ। একটু পরিশ্রম করলে, সিঁড়ি ভাঙলে শুরু হয়ে যায় ব্যথা। এই ব্যথা সাধারণত হয় বুকের মধ্যখানে, চাপ দিয়ে ধরে থাকে, পরিশ্রম করলে বাড়ে, বিশ্রাম নিলে আবার কমে। তবে মনে রাখবেন, অনেক মানুষেরই এই ধরনের ব্যথা বা উপসর্গ নাও থাকতে পারে। এমনও হতে পারে যে আপনার হৃৎপিণ্ডে রক্ত সরবরাহকারী করোনারি ধমনিগুলো বিপজ্জনকভাবে বন্ধ বা ব্লক হয়ে আছে, কিন্তু আপনার কোনো দিনই বুকে ব্যথা হয়নি। আকস্মিক হার্ট অ্যাটাকের পরই শুধু তা ধরা পড়ল।
এই সমস্যা বেশি হয় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের। ডায়াবেটিসের কারণে তাঁদের জটিলতা দেখা দেয়, ফলে উপসর্গগুলো ঠিকমতো টের পাওয়া যায় না। সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকও তাঁদেরই বেশি হয়। বুকে ব্যথা ছাড়া অন্য রকম উপসর্গ নিয়ে নারীদের হৃদ্‌রোগ বেশি ধরা পড়ে। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে এমন ওষুধ খান, যা অটোনমিক নার্ভাস সিস্টেমকে দাবিয়ে রাখে, তাঁদেরও উপসর্গ নাও থাকতে পারে। যাঁরা সব সময় ভারী ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটিতে অভ্যস্ত, তাঁদের মূল ধমনি ব্লক হওয়ার পরও আশপাশের রক্তনালিগুলো সক্রিয় থাকে ও হৃদ্‌যন্ত্রে রক্ত সরবরাহ চালিয়ে যায়। এ কারণে তাঁদেরও অনেক সময় পরিশ্রমে বুকে ব্যথা হয় না।
বুকে ব্যথা ছাড়াও হৃদ্‌রোগের আরও উপসর্গ আছে। এগুলোকে অবহেলা করবেন না। যেমন, পরিশ্রমে প্রচুর ঘাম হওয়া ও অস্বস্তি বোধ হওয়া। ফিটনেস লেভেল কমে যাওয়া। বাম হাত, চোয়াল, ঘাড় এমনকি পিঠে ব্যথা নিয়েও হৃদ্‌রোগ দেখা দিতে পারে। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথার মতো অনুভূতি, বুক জ্বালা, বুক-পেটের মধ্যবর্তী এলাকায় ব্যথা—এগুলোও ফেলনা নয়। বমি ভাব বা বমিও হতে পারে উপসর্গ। মাথা হালকা বোধ হওয়া, ঝিমঝিম করা, রক্তচাপ কমে যাওয়ার মতো সমস্যা নিয়ে হার্ট অ্যাটাক ধরা পড়তে পারে। তাই এ ধরনের সমস্যাকেও আমলে নিন।
ডা. শরদিন্দু শেখর রায়
হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ, জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল
সোর্স – প্রথম আলো
Tags: শরদিন্দু শেখর রায়, হার্ট অ্যাটাক, হৃদরোগ

বৃহস্পতিবার, ১৫ মার্চ, ২০১৮

খাবারে অ্যালার্জি

কারও দুধ খেলে পেট খারাপ হয়ে যায়। কারও বেগুনে মুখ চুলকায়। ডিম খেয়ে পেট ব্যথা শুরু হয় কারও কারও। এগুলো ফুড অ্যালার্জি বা খাবারে অ্যালার্জি। অ্যালার্জি থাকলে কেবল বেগুন, চিংড়ি বা গরুর মাংস বাদ—এই ধারণাও ভুল। কেননা একেজনের একেক ধরনের খাবারে অ্যালার্জি থাকে।
* দুধ: বিশেষ করে শিশুদের দুধে অ্যালার্জি বেশি হয়। একে বলে ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স। দুধে যে ল্যাকটোজ নামের উপাদান থাকে তা হজম করার উৎসেচকে সমস্যা থাকে বলেই এমন হয়।
* শস্য: যব, ভুট্টা, ওট, ময়দা ইত্যাদি খাবারে গ্লুটেন থাকে, আর অনেকেরই গ্লুটেনে অ্যালার্জি থাকে। এ ছাড়া সিলিয়াক ডিজিজে আক্রান্ত রোগীরা গ্লুটেন খেতে পারেন না।
* ডিম: ডিমে অনেকেরই অ্যালার্জি থাকে। ডিমের আমিষ অংশ খেলে অনেকের প্রতিক্রিয়া হয়, চোখ লাল হতে পারে, ত্বকে চুলকানি হতে পারে। খুব ছোট শিশুদের ডিম না দেওয়াই ভালো।
* মাছ: সামুদ্রিক মাছ, চিংড়ি, ইলিশ, স্কুইড ইত্যাদিতে অ্যালার্জি হয় বেশি। সবারই চিংড়ি বা ইলিশ খাওয়া নিষেধ তা নয়। যাদের এসব খাবার খেলে প্রতিক্রিয়া হয় শুধু তাঁরাই বাদ দেবেন।
* বাদাম ও বীজ: বাদাম ও বীজজাতীয় খাবারেও অনেকের অ্যালার্জি হয়। এগুলোও আমিষজাতীয় খাবার। তাই ইমিউন সিস্টেমের ওপর প্রভাব ফেলে বেশি।
কীভাবে বুঝবেন অ্যা
লার্জি?

যদি একই ধরনের খাবার খেয়ে আপনার ত্বক ও মুখ জিবে চুলকানি, র‍্যাশ, নাক দিয়ে পানি পড়া, চোখ লাল হওয়া, শুকনো কাশি, পেট কামড়ানো বা ব্যথা, ডায়রিয়া ইত্যাদি দেখা দেয় তবে বুঝবেন ওই খাবারে আপনার অ্যালার্জি আছে। অনেক সময় খুব তীব্র অ্যালার্জি থেকে শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা শুরু হয়ে যেতে পারে। সাধারণত পরিবারেও অ্যালার্জির ইতিহাস থাকে।
কী করবেন?
সহজ উপায় হলো ওই খাবারটি এড়িয়ে চলা। বাড়িতে তা সহজ, কিন্তু রেস্তোরাঁয় বা কেনা অনেক খাবারে এই উপাদান লুকিয়ে থাকতে পারে। সমস্যা দেখা দিলে অ্যান্টিহিস্টামিন খেতে পারেন। শ্বাসকষ্ট হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই ভালো।
ডা. আ ফ ম হেলালউদ্দিন
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ
সূত্র – প্রথম আলো।
Tags: অ্যালার্জি, হেলালউদ্দিন

বুধবার, ১৪ মার্চ, ২০১৮

ক্র্যাশ ডায়েটে হার্টের ক্ষতি

প্রত্যেকেই ওজন কমিয়ে নিজের শরীরকে ফিট দেখতে চায়। অনেকে এটিকে খুব দ্রুত অর্জন করতে চায়। আর এ জন্য বেছে নেয় ক্র্যাশ ডায়েট বা দ্রুত ওজন কমানোর পদ্ধতি। তবে গবেষকরা বলেন, ক্র্যাশ ডায়েটের মাধ্যমে শরীরে চর্বি ঝড়ালে হৃৎপিণ্ডের ক্ষতি হয় এবং হৃৎপিণ্ডের কার্যক্ষমতা কমে যায়।
স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়েবএমডিতে প্রকাশ হয়েছে এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন। 

গবেষণাটির প্রধান ড. জেনিফার রায়নার জানান, তবে ভালো খবর হলো এই প্রভাব স্বল্পকালস্থায়ী। আর স্বাস্থ্যকর ব্যক্তিরা হয়তো শরীরে কখনো কোনো রোগ চাইবে না।

এদিকে গবেষণায় আরো বলা হয়, যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে চর্বির এই স্থানান্তর উদ্বেগের কারণ হতে পারে।

গবেষক রায়নার বলেন, ‘ওজন কমানোর অনেক স্বাস্থ্যকর দিক রয়েছে। তবে যাদের হার্টের অসুখ রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এই ধরনের ডায়েট কতটুকু নিরাপদ, তা নিয়ে আরো গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।’

গবেষকরা বলেন, ‘খুব অল্প ক্যালরির ডায়েট, প্রায় ৬০০ থেকে ৮০০ ক্যালরি প্রতিদিন, ওজন কমানোর কার্যকরী পদ্ধতি। এটি দ্রুত লিভারের চর্বি কমাতে কাজ করে এবং ডায়াবেটিস কমায়।’

গবেষণাটিতে গবেষকরা ২১ জন স্থূল লোকের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে দেন। তাঁদের বয়স ছিল ৫২-এর মধ্যে। গবেষকরা তাঁদের খাদ্যতালিকায় মিল্কসেক ও স্যুপ দেন।

প্রতিদিন আটশ বা তার থেকে একটু বেশি ক্যালরি দেওয়া হয় প্রতিদিনের খাবারে। এভাবে আট সপ্তাহ দেখা হয়। 

এক সপ্তাহ পর দেখা যায়, পেটের মেদ ও লিভারের মেদ যথাক্রমে ৬ শতাংশ, ১১ শতাংশ, ৪২ শতাংশে নেমে এসেছে। ইনসুলিন রেসিসটেন্ট ও ব্লাড সুগারের মাত্রার উন্নতি হয়েছে। ব্লাডপ্রেশারেও উন্নতি এসেছে।

সাধারণত অন্যান্য মাত্রা যখন ভালো, হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যও ভালো থাকার কথা। তবে এখানে এ ঘটনা ঘটেনি। এক সপ্তাহের ডায়েটের পর হৃৎপিণ্ডের চর্বি ৪৪ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। এবং গবেষকরা দেখেন হার্টের কার্যক্রম কমে যাচ্ছে।

রায়নারের দল দেখেন, হঠাৎ করে ক্যালরির কমে যাওয়ার কারণে চর্বি রক্তের মাধ্যমে শরীরের অন্যান্য জায়গায় চলে যায়। এটি হার্টের পেশিতে জমা হয়।

তবে এই নেতিবাচক প্রভাব স্থায়ী নয়। আট সপ্তাহ পর দেখা যায়, হার্টের কার্যক্রম ও হার্টের চর্বি স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে এসেছে। শরীরের চর্বি, কোলেস্টেরল ও অন্যান্য বিপাক ক্ষমতার উন্নতি হয়েছে।

লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিায়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিভেনটিভ কার্ডিওলজির কো-ডিরেক্টর ড. জর্জ ফ্যানোরো বলেন, ‘গবেষণাটিতে ক্র্যাশ ডায়েটে হার্টের ক্ষতির কথা জানানো হয়েছে। তবে বিষয়টি কীভাবে ঘটে, সেটি ভালোভাবে বলা হয়নি। স্বাস্থ্যকর লোকের জন্য চিন্তার তেমন কিছু নেই। তবে যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে, তাদের ডায়েটে কোনো পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।’

গবেষণাটি প্রকাশিত হয় স্পেনের বার্সেলোনায় ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব কার্ডিওলজির মিটিংয়ে।  

কোলেস্টেরল ও মাইগ্রেনের ব্যথা কমায় আঙ্গুর

আঙ্গুর অত্যন্ত উপকারী একটি ফল। আঙ্গুরের প্রায় ৭৯ ভাগই হলো পানি। এ ছাড়া এটি ফ্রুকটোজ ও ভিটামিন মিনারেলসে ভরপুর একটি ফল। ভিটামিনের মধ্যে রয়েছে এ, বি, সি কে।
আঙ্গুরে প্রদাহরোধী উপাদান থাকার কারণে এটি রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এ ছাড়া আঙ্গুরে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট থাকার কারণে এটি বার্ধক্য রোধে সাহায্য করে।
আঙ্গুরে পলিফেনল থাকার কারণে এটি মেটাবলিক রেটকে প্রশমিত করে এবং খাবার হজমে সাহায্য করে। আঙ্গুরে ফসফরাস, ভিটামিন এ, বেটা কেরোটিন ইত্যাদি থাকার কারণে এটি ত্বককে সুরক্ষা দেয়। এ ছাড়া আঙ্গুরে কলিন, বিটা কেরোটিন থাকার কারণে এটি কোষের ক্ষতি প্রতিরোধেও কাজ করে।
আঙ্গুরে যেহেতু পানির পরিমাণ বেশি থাকে, তাই পানিস্বল্পতা দূর করতে আঙ্গুর সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
কোলিন, বেটা কেরটিন, আঁশ থাকার কারণে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া আঙ্গুর ফল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আঙ্গুর খেলে ওজন কমে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যারা মাইগ্রেনে ভুগছে, তারা আঙ্গুর খেলে ব্যথা অনেকটা কমে। তাই আমরা প্রতিদিন খাবার তালিকায় এটি রাখতে পারি।

রবিবার, ১১ মার্চ, ২০১৮

মধুর যে ৬ টি অসাধারণ ব্যবহার আপনার একেবারেই অজানা !!

সেই প্রাচীনকাল থেকে মধু নানা চিকিৎসা বিদ্যায় ব্যবহার হয়ে আসছে। মধুর প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান মধুকে প্রাকৃতিক ঔষধিতে পরিণত করেছে। দৈনন্দিন জীবনে তাই মধুর ব্যবহারের সীমা নেই। মধুর অনেক ব্যবহার সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। আজকে জেনে নিন মধুর অসাধারণ সব ব্যবহার যা আপনি আগে জানতেন না।
১) ফেসওয়াশ হিসেবে সাধারণ ফেসওয়াশের পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন মধু অনায়েসেই। মধুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের ব্রণ কমায় এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের দাগ দূর করে। এছাড়াও প্রাকৃতিক ময়েসচারাইজার মধু ত্বকের কোমলতা বাড়ায়।
২) প্রাকৃতিক কফ সিরাপ ঠাণ্ডা সর্দি যদি একেবারেই দূর না হতে চায় এবং কাশির সমস্যা চলতেই থাকে তাহলে প্রতিদিন ১/৪ কাপ কুসুম গরম পানিতে ২ টেবিল চামচ মধু এবং অর্ধেকটা লেবুর রস চিপে পান করুন। অনেকটা উপশম হবে।
৩) ঘুমের সমস্যা দূর করতে আপনার কি প্রায় প্রতিদিনই রাত ২ -৪ টার মধ্যে ঘুম ভেঙে যায় অথবা ৪ টার আগে ঘুমাতেই পারেন না? তাহলে বিছানার পাশে ছোট একটি বোতলে মধুর সাথে সামান্য লবণ মিশিয়ে রাখুন। এবং ঘুমের সমস্যা হলেই জিহ্বাইয় ২-৩ ফোঁটা লবণাক্ত মধু দিন। ব্যস, দ্রুত ঘুম চলে আসবে। গবেষণায় দেখা যায় এই পদ্ধতি ঘুমের উদ্রেককারী হরমোনের নিঃসরণ ঘটায়।
৪) ছোটোখাটো পোড়া এবং কাটাছেড়া নিরাময়ে হাতে তেল ছিটে এলে অনেকেই ডিমের সাদা অংশ বা টুথপেস্ট লাগিয়ে থাকেন। আজ থেকে মধু লাগানোর অভ্যাস করুন। মধুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও নিরাময় ক্ষমতা ত্বকের কোনো ক্ষতি ছাড়াই ক্ষত দূর করবে এবং এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ইনফেকশনকেও দূরে রাখবে।
৫) কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন তারা প্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে পানের অভ্যাস করে নিন। অনেকাংশেই দূর হয়ে যাবে সমস্যা।
৬) নানা চুল সমস্যার প্রাকৃতিক সমাধান চুলের যত্নে মধুর তুলনা নেই। মাথার ত্বক ময়েসচারাইজ করে চুলের নানা সমস্যা দূর করতে মধু সবচাইতে ভালো প্রাকৃতিক উপাদান। শুধুমাত্র মধু চুলের গোঁড়ায় এবং পুরো চুলে ম্যাসেজ করে নিন। এতে চুল আরও বেশি ঝলমলে হয়ে উঠবে।

শনিবার, ১০ মার্চ, ২০১৮

চুল পড়া কমান ঘরোয়া উপায়ে

চুল পড়া কমান ঘরোয়া উপায়ে । প্রতিদিন ৫০-১০০টা চুল পড়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে এর বেশি হলে কিন্তু চিন্তার বিষয়। কে চান যে তার মাথাটা চুলবিহীন হয়ে যাক? আসলে অস্বাভাবিকভাবে চুল পড়ার নানা কারণ থাকে। যেমন- প্রতিদিনের ব্যবহৃত কড়া রাসায়নিক পদার্থের শ্যাম্পু চুল নষ্ট করে দেয়। অন্যান্য চুলের প্রসাধনও দায়ী হতে পারে। এগুলো মেরামতের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করে থাকে।

এখানে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কীভাবে চুল পড়া রোধ করা যায়। এ কাজ কিন্তু মোটেও খরচবহুল নয়। তাই প্রতিদিনের কাজ হিসাবে ঠিক করে নিন।
চুল পড়া কমান ঘরোয়া উপায়ে

১. অবশ্যই নিয়মিতভাবে চুলে তেল দিতে হবে। নইলে সপ্তাহে অন্তত একবার তো দেবেনই।

চুলের জন্য নারকেল তেলই সেরা। তেল চুলের ময়েশ্চারের কাজ করে। রুক্ষ হয়ে পড়ে যেতে বাধা দেয়। এই তেল চুলে প্রোটিন জোগায়। ফলে চুল সহজে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। চুল হয় ঘন ও স্বাস্থ্যবান। তেলে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী উপাদানও থাকে। ফলে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে চুলকে।

সোমবার, ৫ মার্চ, ২০১৮

হঠাৎ প্রেসার বেড়ে গেলে খুব দ্রুত যা খাবেন !!

হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। সঠিক খাদ্যগ্রহণের মাধ্যমে এর থেকে দূরে থাকা সম্ভব। উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য এমন সব খাবারের পরিকল্পনা করতে হবে, যাতে থাকবে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম।
কারণ খাদ্যের এসব উপাদান উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়ক। কম চর্বিযুক্ত দুধ বা চর্বিবিহীন দুধ বা দুধজাত খাদ্য যেমন দই ইত্যাদিতে পাওয়া যায় পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম।
তাজা ফল যেমন আপেল, কলা আর শাকসবজি হচ্ছে পটাশিয়ামের ভালো উৎস। টমেটোতেও আছে বেশ পটাশিয়াম।
বেশি ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যায় দানা শস্য বা গোটা শস্য, বিচি জাতীয় খাবার, বাদাম, শিমের বিচি, ডাল, ছোলা, লাল চালের ভাত, লাল আটা, আলু, সবুজ শাকসবজি, টমেটো, তরমুজ, দুধ ও দই ইত্যাদিতে।
১. কম চর্বিযুক্ত দুধ বা চর্বিবিহীন দুধ বা দুধজাত খাবার প্রতিদিন খেতে হবে ২ থেকে ৩ সার্ভিং। এক সার্ভিং দুধ বা দুধজাত খাবার মানে আধা পাউন্ড বা এক গ্লাস দুধ অথবা এক কাপ দই।
৩. ফল ৪ থেকে ৫ সার্ভিং প্রতিদিন। টুকরো টুকরো করে কাটা আধা কাপ ফল কিংবা মাঝারি সাইজের একটা আপেল বা অর্ধেকটা কলা অথবা আধা কাপ ফলের রস এতে হবে ফলের এক সার্ভিং। ফলের রসের চেয়ে আস্ত ফলই ভালো।
৪. শাকসবজি প্রতিদিন প্রয়োজন ৪ থেকে ৫ সার্ভিং। শাকসবজির এক সার্ভিং মানে এক কাপ কাঁচা শাক বা আধা কাপ রান্না করা শাক।

৫. দানা শস্য প্রতিদিন দরকার ৭ থেকে ৮ সার্ভিং। দানা শস্যের এক সার্ভিংয়ের উদাহরণ হলো এক স্লাইস রুটি অথবা আধাকাপ ভাত বা এক কাপ পরিমাণ গোটা দানা শস্য।
৬. বিচি জাতীয় খাবার প্রতি সপ্তাহে প্রয়োজন ৪ থেকে ৫ সার্ভিং। বিচি জাতীয় খাবারের এক সার্ভিংয়ের উদাহরণ হলো এক কাপের তিন ভাগের এক ভাগ বাদাম বা আধাকাপ রান্না করা শিম বা মটরশুঁটি

রবিবার, ৪ মার্চ, ২০১৮

মাত্র দুই দিনেই ফুসফুসের সব ময়লা পরিষ্কার করে ফেলুন

মাত্র দুই দিনেই ফুসফুসের সব ময়লা পরিষ্কার করে ফেলুন, যেভাবে করবেন- দিন দিন মাত্রা অতিরিক্ত দূষণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ফুসফুসের নানা অসুখ।
শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করা বিষাক্ত ধোঁয়া, ধূলিকণায় ফুসফুসে ক্যান্সার বেড়ে চলেছে সমান তালে। কিন্তু এই দূষণকে উপেক্ষা করা অসম্ভব। আবার দূষণের ভয়ে কী করবেন?
এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনি চাইলে মাত্র দু-দিনেই ফুসফুস থেকে দূষিত পদার্থকে ঝেরে পরিষ্কার করে ফেলতে পারেন। এর জন্য অনেক উপায় রয়েছে।
তারা বলেন, ফুসফুসকে সতেজ রাখার তেমনই ১০টি মুশকিল আসান আপনার জন্য। এর মধ্য থেকে সুবিধা মতো যে কোনও দুটো পদ্ধতি বেছে নিন। ভালো থাকবে ফুসফুস।
উপায় ১০টি হলো:-
১. দুই-তিন দিনের জন্য দুগ্ধজাতীয় সব খাবার বাদ দিন। এমনকি কফিও ছোঁবেন না।
২. রাতে শুতে যাওয়ার আগে গরম গরম এক কাপ ‘গ্রিন টি’ খান।
৩. সকালে ঘুম থেকে উঠে উষ্ণ জলে লেবু মিশিয়ে পান করুন। লেবুর মধ্যে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ফুসফুস পরিষ্কার করে।

কেন প্রতিদিন আপেল খাওয়া উচিত ! জেনে নিন?

আপেল আমাদের দেশি ফল না হলেও সারাদেশেই এর ব্যাপক প্রচলন আছে। এই ফল খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি এর পুষ্টিগুণের তুলনা নেই। আপেল নিয়ে তো একটা প্রবাদই আছে- ‘অ্যান অ্যাপল আ ডে, কিপস দ্য ডক্টর অ্যাওয়ে।’ এই উপদেশ ডাক্তাররাই দিয়ে থাকেন। কিন্তু কেন প্রতিদিন আপেল খাওয়া উচিত। জেনে নিন-
অ্যান্ট্অিক্সিড্যান্ট :
আপেলের মধ্যে থাকা ফাইটোকেমিক্যাল ফেনোলিক গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে। যা রক্তে ফ্রি র‌্যাডিকালের সংখ্যা কমায়।
ফুসফুস :
অ্যাস্থমার সমস্যা কমাতে সাহায্য করে আপেল। ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভাল রাখে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা :
আপেলের মধ্যে থাকা কোয়ারেকটিন ফুসফুস ভালো রাখার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।
হজম :
আপেলের খোসায় থাকে ইনসলিউবল ফাইবার। যা হজমে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায়ও ভাল কাজ দেয় আপেল।
স্নায়ু :
নিয়মিত আপেল খেলে নিউরোট্রান্সমিটার উত্পন্ন হয় যা স্মৃতিশক্তি ভাল রাখতে সাহায্য করে। অ্যালজাইমার’সে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায় আপেল।
হার্ট :
আপেলের মধ্যে থাকা সলিউবল ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে ধমনী ব্লক রুখতে সাহায্য করে। ফলে হার্ট সুস্থ রাখে আপেল ।

শনিবার, ৩ মার্চ, ২০১৮

ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য বিশেষ উপকারী ধনে পাতা

ডাল, তরকারি, মুড়ি মাখা থেকে শুরু করে ফুচকাসহ নানা খাবারে ব্যবহার হয় ধনে পাতা৷ শুধু স্বাদে নয়, ধনে পাতার স্বাস্থ্য গুণও অনেক বেশি ৷ চিকিৎসকরা বলছেন, প্রতিদিন ধনে পাতা খেলে অনেক রোগ দূর হবে খুব দ্রুত৷
১) প্রতিদিন ধনে পাতার শরবত খেলে কিডনি ভালো থাকে। কিডনির মধ্যে জমে থাকা ক্ষতিকর লবন এবং বিষাক্ত পদার্থ প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়।
২) ধনে পাতা খেলে শরীরে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমে যায়, ভালো কোলেস্টরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। হজমে উপকারী, যকৃতকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে এবং পেট পরিষ্কার হয়ে যায় ধনে পাতা খেলে।
৩) ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য ধনে পাতা বিশেষ উপকারী একটি খাবার। এটি ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং রক্তের সুগারের মাত্রা কমায়। ধনে পাতায় থাকা অ্যান্টি-সেপটিক মুখে আলসার নিরাময়েও উপকারী, চোখের জন্যও ভালো।

৪) কারও মাথাব্যথা হলে ধনে পাতা ও গাছের রস কপালে লাগান। মাথাব্যথা কমে যাবে। ধনে পাতা চিবিয়ে দাঁত মাজলে দাঁতের মাড়ি মজবুত হয় এবং দাঁতের গোড়া হতে রক্ত পড়া বন্ধ হয়।
৫) ধনে পাতায়  রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা বাতের ব্যথাসহ হাড় এবং জয়েন্টের ব্যথা উপশমে কাজ করে। স্মৃতিশক্তি প্রখর এবং মস্তিস্কের নার্ভ সচল রাখতে সাহায্য করে ধনে পাতা।
৬) ধনে পাতার মধ্যে থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিইনফেকসাস, ডিটক্সিফাইং, ভিটামিন ‘সি’ এবং আয়রন, যা গুটিবসন্ত প্রতিকার এবং প্রতিরোধ করে।
৯) মুখের দুর্গন্ধ ও অরুচি ভাব দূর করে ধনে পাতা। এছাড়া শুকনো ধনেও একই কাজ করে। মাঝে মাঝে ধনেপাতা চিবিয়ে খান, মুখের দুর্গন্ধ থাকবে না।


লিভারের চর্বি গলানোর ঘরোয়া চিকিৎসা ! সুস্থ থাকতে চাইলে লিভারের চর্বি গলিয়ে ফেলুন !!

আজকাল অনেকেই লিভারে চর্বি (ফ্যাটি লিভারে) রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। লিভারের এই রোগটি প্রাণ সংশয়ের কারণও হয়ে দাঁড়াতে পারে।

শরীরে চর্বি বিপাকপ্রক্রিয়ার অসামঞ্জস্য এবং ইনসুলিন অকার্যকারিতার জন্য লিভারের কোষগুলোতে অস্বাভাবিক চর্বি, বিশেষ করে ট্রাইগ্লিসারাইড জমে। এতে লিভারের ওজন হিসেবে ৫ থেকে ১০ শতাংশ চর্বির পরিমাণ বেড়ে যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জীবনাচরণ ও খাদ্যাভ্যাসের প্রভাব রয়েছে এ সমস্যার মূলে। অ্যালকোহল সেবনকারী এবং স্থূল ব্যক্তিদের মধ্যে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৭৫ শতাংশ। নারী-পুরুষ উভয়ই এতে আক্রান্ত হতে পারেন। শিশু-কিশোররাও এ থেকে মুক্ত নয়।লিভারে চর্বি বা চর্বিজনিত রোগ মোটা দাগে দুই রকম অ্যালকোহলজনিত এবং অন্যান্য কারণজনিত। উভয় ক্ষেত্রেই, সাধারণ চর্বি জমা থেকে শুরু করে রোগটি নানা জটিল ধাপে অগ্রসর হতে পারে, যেমন- লিভারে প্রদাহ, প্রদাহজনিত ক্ষত বা সিরোসিস, লিভারে অকার্যকারিতা ইত্যাদি। অ্যালকোহলজনিত কারণে এ থেকে যে সিরোসিস হয়, তাতে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি, প্রায় ১০ শতাংশ।

যখন এই চর্বিযুক্ত সেলগুলো লিভার টিসুদের বাধা দেয়, তখনই লিভার ধীরে ধীরে কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এমন কী এই ধরনের পরিস্থিত তৈরি হলে কোনও কোনও ক্ষেত্রে লিভার ফুলতেও শুরু করে।
লিভারে মেদ জমা যদি ঠিক সময়ে আটকানো না যায় তাহলে তা থেকে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
লিভারে চর্বি জমার ঝুঁকি ও কারণগুলোকে কেবল প্রতিরোধের মাধ্যমেই এ রোগের প্রতিকার সম্ভব। কেননা রোগটির কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই।
তবে আশাহত হবেন না। ঠিক সময়ে যদি চিকিৎসা শুরু করা যায় তাহলে লিভারের রোগ থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠা যায়। তবে এমন কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা আছে যা অনুসরণ করলে লিভারের চর্বি গলে এই রোগ থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
লেবুপানি :

প্রতিদিন লেবু পানি পানের অভ্যাস করুন। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন- সি থাকে, যা লিভারকে দূষণমুক্ত করতে সাহায্য করে।
গ্রিন-টি :

প্রতিদিন সকালে ও বিকালে এক কাপ করে গ্রিন-টি পান করুন। এটি লিভার ফাংশন ঠিক করতে সাহায়তা করে।

অ্যাপেল সিডার ভিনিগার : এক কাপ গরম পানিতে কেয়েক ফোঁটা অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে প্রতিদিন খাবার আগে পান করুন। কয়েক মাস এটা খেলেই দেখবেন লিভারে জমে থাকা চর্বি সব গায়েব হয়ে গেছে।
আদাপানি :

এক চা চামচ আদা গুঁড়া গরম পানিতে মিশিয়ে দিনে দুবার পান করুন। এই পানীয় টানা ১৫ দিন খেলেই দেখবেন অনেক সুস্থ বোধ করছেন। কারণ এটি লিভারে চর্বি জমার প্রক্রিয়াটি প্রায় বন্ধ করে দেয়। ফলে লিভার আস্তে আস্তে ঠিক হতে শুরু করে।
আমলার রস :

আমলায় ভিটামিন-সি থাকায় এটি লিভারকে দূষণমুক্ত করে। তাই লিভারের অসুখে আক্রান্ত রোগী যদি টানা ২৫ দিন এই রস, এক চামচ করে প্রতিদিন সকালে খান, তাহলে তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।

পুড়ে গেলে চিকিৎসায় করণীয়

কোনো ব্যক্তি পুড়ে গেলে প্রাথমিক ব্যবস্থাপনা করার পর তাকে দ্রুত কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে বা হাসপাতালে নিতে হবে।

পুড়ে যাওয়ার চিকিৎসায় করণীয় বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০১৪তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. তানভীর আহমেদ। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : পোড়া পরবর্তী পুনর্গঠন কীভাবে করেন?

উত্তর :  এর ভেতরে অনেক অংশ রয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় যদি ভালো ব্যবস্থাপনা হয়, তাহলে এর ওপর চাপটা কম পড়ে। পোড়া পরবর্তী যে বিকৃতিগুলো হচ্ছে, সাধারণত দেখা যায় একটা হাত বাঁকা হয়ে যাচ্ছে, পা বাঁকা হয়ে যাচ্ছে, বাজে একটা স্কাল হচ্ছে, মুখে একটি বিকৃতি হচ্ছে, চোখের পাতা বাঁকা হয়ে যাচ্ছে, মুখটা বাঁকা হয়ে যাচ্ছে। সেই প্রত্যেকটা জিনিসকে আমাদের দেখতে হয়। একজন পোড়া রোগী সুস্থ হয়ে যাওয়ার পর আমরা বলি কম পক্ষে ১৮ মাস আমাদের সঙ্গে যোগাযোগে থাকতে হবে। তাদের শরীরে আমরা তখন বিভিন্ন ওয়েনমেন্ট ব্যবহার করি। বিভিন্ন ধরনের যে ইমুলুয়েন্টস বলা হয়, বিভিন্ন কিছু যাকে দিয়ে স্কারকে নরম রাখা হয়।
দুই হলো ফিজিওথেরাপিস্ট। খুব কাছ থেকে আমরা ফিজিওথেরাপির সঙ্গে কাজ করি। ফিজিওথেরাপিস্টের আওতায় থাকে থাকতে হবে। তারা তাকে ম্যাসাজ শেখাবে। তাকে বিভিন্ন ব্যায়াম শেখাবে। তাহলে কনট্রাকচার প্রতিরোধ হবে। বিভিন্ন ধরনের স্লিন্ট আমরা ব্যবহার করি। এই দুটো ব্যবস্থাপনাতে যাদের কাজ হবে না, দেখা যাবে তাদের কিলোয়েড হবে, অথবা হাত পা বাঁকা হবে। তখন সাধারণত আমরা তাদের বলি হাসপাতালে চলে আসার জন্য। তাদের তখন আমরা সার্জারি করে পুনর্গঠন করি। একে বড় বড় অনেক সার্জারি করতে হয়। শুধু ত্বক প্রতিস্থাপন করতে হয়। কারো রিলিজ করে আমরা বড় একটা ফ্ল্যাপ দিতে পারি। অথবা তাকে রিলিজ করে মাইক্রোসার্জারির মাধ্যমে অন্য অংশ থেকে একটা অংশ দিতে পারি। আধুনিক চিকিৎসা রয়েছে, যাকে বলে টিস্যু এক্সপানডার। যেগুলো একটু দামি। বাইরের দেশে তারা ব্যবহার করে।

বৃহস্পতিবার, ১ মার্চ, ২০১৮

ব্রণের দাগ দূর করে ২০ মিনিটে রঙ ফর্সা করুন খুব সহজে

যাদের মুখে ব্রণ আছে, তাঁরা কোন রঙ ফর্সা করা ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন না। এসব ক্রিমে ব্রণে দাগ তো কমেই না, উল্টো আরও ব্রণ বাড়ে। তাহলে উপায়? ঈদের সময়ে কি এমনও নিষ্প্রাণ চেহারা নিয়েই থাকতে হবে আপনাকে? তাহলে জেনে নিন ২০ মিনিটে ব্রণের দাগ সহ যে কোণ দাগ কমিয়ে রঙ ফর্সা করার একটি দারুণ কার্যকরী উপায়। যাদের মুখে ব্রণ নেই, তাঁরাও এটা ব্যবহার করতে পারবেন!

এই পদ্ধতিতে আমরা ব্যবহার করবো দুধ ও জায়ফল গুঁড়ো। অনেকের জায়ফলে এলার্জি থাকতে পারে, তাঁরা এটা ব্যবহার করবেন না। এই প্রক্রিয়াটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত। নিয়মিত ব্যবহারে ভালো ফল পাবেন। এছাড়াও প্রথম ব্যবহারেই পার্থক্য নজরে পড়বে।

যা যা লাগবে
কাঁচা দুধ
তাজা জায়ফলের গুঁড়ো

প্রণালি
-তাজা জায়ফলকে মিহি গুঁড়ো করে নিন। মুখে ব্রণ থাকলে অর্ধেক জায়ফল নিন। ব্রণ না থাকলে একটি পুরোটাই নিতে পারেন।
-যতখানি গুঁড়ো হবে, ততখানি কাঁচা দুধ দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন।
-এবার এই পেস্ট মুখে মাখুন। শুধু মুখ কেন, শরীরের যে কোন অঙ্গে ব্যবহার করতে পারেন।
-২০ মিনিট রাখুন, তারপর ধুয়ে ফেলুন। পার্থক্য দেখতে পাবেন নিজেই!
-ভালো ফল পেতে সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহার করুন