ভিটামিন-বি১২ এর ঘাটতি দেখা দেওয়ার ব্যাপারটি সম্পর্কে অনেকেই খুব একটা সচেতন নয়। কিন্তু এটা খুবই সাধারণ একটি শারীরিক সমস্যা। সাধারণত যেকোন বয়সের, যেকোন লিঙ্গের মানুষের মাঝেই ভিটামিন-বি১২ এর ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তবে ৪০-৬০ বছর বয়সী নারীদের মাঝে এই সমস্যাটি বেশী দেখা দেয়। অনেকক্ষেত্রে নিরামিষাশীদের শরীরেও ভিটামিন-বি১২ এর ঘাটতি দেখা দিয়ে থাকে।
প্রশ্ন করতেই পারেন, কেন এই ভিটামিন-বি১২ শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ? মূলত এটা হচ্ছে অন্যতম প্রধান উপাদান যা শরীরে রক্তকোষ তৈরিতে সাহায্য করে থাকে। স্নায়ুর গঠন এবং ডিএনএ এর উপরেও ভিটামিন-বি১২ এর লক্ষণীয় প্রভাব রয়েছে। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় এই ভিটামিনের অভাব দেখা দিলে কী লক্ষণ দেখা দিয়ে থাকে তা তুলে ধরা হলো আজ।
মাথা হালকা বোধ হওয়া
ঘনঘন যদি মাথা হালকা বোধ হওয়ার সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে তবে সেটার ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। হুট করে মাথা ঘোরার সমস্যা দেখা দেওয়া স্বাভাবিক। যেকোন কারণেই এমনটা হতে পারে। তবে এই সমস্যাটি প্রতিনিয়ত দেখা দিতে থাকলে বুঝতে হবে শরীরে ভিটামিন-বি১২ এর ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
অবশ অনুভূত হওয়া
অনেক সময় হাত অথবা বা একই ভঙ্গীতে লম্বা সময় ধরে রেখে দেওয়ার ফলে অবশ অনুভুত হতে থাকে। যেটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। রক্ত চলাচলে বাধাগ্রস্থ হওয়ার ফলে এমন অবশ অনুভূতি হয়ে থাকে। তবে কোন কারণ ছাড়া সুঁই ফোটানোর মতো অনুভূতি শরীরের কোন অংশে হলে বুঝতে হবে সেটা ভিটামিন-বি১২ এর ঘাটতির ফলেই দেখা দিচ্ছে। অনেকেই এই অনুভূতিকে ইলেক্ট্রিক শক এর মতো বলে ব্যাখ্যা করেন। এমন ধরণের অনুভূতি হয়ে থাকে নার্ভ এর ক্ষতির ফলে। যেটা হয়ে থাকে এই ভিটামিনের অভাবের ফলে।
নিস্প্রাণ ত্বক
ভিটামিন-বি১২ লোহিত রক্তকণা তৈরি করে থাকে। যে কারণে, শরীরে ভিটামিনে ঘাটতি দেখা দিলে ত্বক নিস্প্রাণ বা বিবর্ণ হয়ে যেতে থাকে। অনেকের গায়ের রং সাধারণের চাইতে অনেক বেশী সাদা হয়ে থাকে। কিন্তু তামাটে বর্ণের কারোর ত্বকের রং হুট করেই বিবর্ণ হয়ে গেলে বুঝতে হবে শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে।
ভুলোমনা হয়ে যাওয়া
এমন কী কখনো হয়েছে, কোন একটি কাজে এক ঘর থেকে অন্য ঘরে গিয়েছেন। ঘরে পৌঁছানোর পড়ে আর মনে পড়ছে না কী কাজের জন্য সেই ঘরে গিয়েছেন! অথবা কোন বন্ধুকে ফোন করবেন বলে মোবাইল হাতে নেবার পড়ে কোন কারণে ফোন করবেন সেটাই আর মনে পড়ছে না! এমন ঘটনা আমরা দেখি অহরহই। অতিরিক্ত কাজের চাপে অনেক সময় ছোটোখাটো ব্যাপার মনে থাকে না। কিন্তু, এমন ব্যাপার যদি নিয়মিত ঘটতে থাকে তবে সেটার ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। হুট করে কোন কিছু ভুলে যাওয়ার সমস্যাটি ভিটামিন-বি১২ এর ঘাটতির জন্যে দেখা দেয়।
অনেক বেশী ক্লান্ত বোধ করা
নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানোর পরেও যদি সারাদিন ধরে ক্লান্তিভাব কাজ করে তবে বুঝতে হবে শরীরে কোন একটি সমস্যা দেখা দিয়েছে। পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রামের পরেও ক্লান্তিভাব দূর না হওয়া ভিটামিন-বি১২ এর ঘাটতি দেখা দেবার লক্ষণ। শরীরে রক্ত চলাচলের ক্ষেত্রে যত কম লোহিত রক্ত কণিকা থাকবে, যত কম অক্সিজেন পাওয়া যাবে। আর অক্সিজেনের ঘাটতি মানেই শরীরে অবসাদভাব ও ক্লান্তিভাব দেখা দেওয়া।
দূর্বলবোধ হওয়া
খুব সহজ কোন কাজকেও কি অনেক বেশী কষ্টকর বলে মনে হয়? কয়েকটি থালাবাসন ধোয়ার পর অথবা ঘর হালকা গোছানোর পর কি অনেক বেশী দূর্বল মনে হয়? অথবা মনে হতে থাকে অনেক বেশী শারীরিক পরিশ্রমের কাজ করা হয়ে গেছে? অনেক লম্বা সময় ধরে এমন দূর্বল বোধ হলে বুঝতে হবে শরীরে ভিটামিন-বি১২ এর ঘাটতি তৈরি হয়েছে।
দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা দেখা দেওয়া
প্রায়শ দৃষ্টিশক্তির বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেওয়ার লক্ষণ হলো শরীরে ভিটামিন-বি১২ এর অভাব তৈরি হয়েছে। ঘোলা দেখা, চোখের সামনে ঝিরিঝিরি দাগ দেখা, একটি বস্তুকে দুইটি হিসেবে দেখা দেওয়ার মতো সমস্যাগুলো দেখা দেওয়া শুরু করে। এমন ধরণের লক্ষণ দেখা দেওয়া শুরু করলে অপেক্ষা না করে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন। কারণ, ভিটামিন-বি১২ এর অভাবে চোখের স্থায়ী ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
উপরোক্ত যেকোন লক্ষণ প্রতিনিয়ত দেখা দেওয়া শুরু করলে বিলম্ব না করে নিকটস্থ ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। ভিটামিন-বি১২ এর অভাব দেখা দেওয়ার ফলে শরীরে স্থায়ীভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে থাকে। তবে সঠিক সময়ে চিকিৎসা গ্রহণে তা সম্পূর্ণরূপে সারিয়ে তোলা সম্ভব।
প্রশ্ন করতেই পারেন, কেন এই ভিটামিন-বি১২ শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ? মূলত এটা হচ্ছে অন্যতম প্রধান উপাদান যা শরীরে রক্তকোষ তৈরিতে সাহায্য করে থাকে। স্নায়ুর গঠন এবং ডিএনএ এর উপরেও ভিটামিন-বি১২ এর লক্ষণীয় প্রভাব রয়েছে। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় এই ভিটামিনের অভাব দেখা দিলে কী লক্ষণ দেখা দিয়ে থাকে তা তুলে ধরা হলো আজ।
মাথা হালকা বোধ হওয়া
ঘনঘন যদি মাথা হালকা বোধ হওয়ার সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে তবে সেটার ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। হুট করে মাথা ঘোরার সমস্যা দেখা দেওয়া স্বাভাবিক। যেকোন কারণেই এমনটা হতে পারে। তবে এই সমস্যাটি প্রতিনিয়ত দেখা দিতে থাকলে বুঝতে হবে শরীরে ভিটামিন-বি১২ এর ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
অবশ অনুভূত হওয়া
অনেক সময় হাত অথবা বা একই ভঙ্গীতে লম্বা সময় ধরে রেখে দেওয়ার ফলে অবশ অনুভুত হতে থাকে। যেটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। রক্ত চলাচলে বাধাগ্রস্থ হওয়ার ফলে এমন অবশ অনুভূতি হয়ে থাকে। তবে কোন কারণ ছাড়া সুঁই ফোটানোর মতো অনুভূতি শরীরের কোন অংশে হলে বুঝতে হবে সেটা ভিটামিন-বি১২ এর ঘাটতির ফলেই দেখা দিচ্ছে। অনেকেই এই অনুভূতিকে ইলেক্ট্রিক শক এর মতো বলে ব্যাখ্যা করেন। এমন ধরণের অনুভূতি হয়ে থাকে নার্ভ এর ক্ষতির ফলে। যেটা হয়ে থাকে এই ভিটামিনের অভাবের ফলে।
নিস্প্রাণ ত্বক
ভিটামিন-বি১২ লোহিত রক্তকণা তৈরি করে থাকে। যে কারণে, শরীরে ভিটামিনে ঘাটতি দেখা দিলে ত্বক নিস্প্রাণ বা বিবর্ণ হয়ে যেতে থাকে। অনেকের গায়ের রং সাধারণের চাইতে অনেক বেশী সাদা হয়ে থাকে। কিন্তু তামাটে বর্ণের কারোর ত্বকের রং হুট করেই বিবর্ণ হয়ে গেলে বুঝতে হবে শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে।
ভুলোমনা হয়ে যাওয়া
এমন কী কখনো হয়েছে, কোন একটি কাজে এক ঘর থেকে অন্য ঘরে গিয়েছেন। ঘরে পৌঁছানোর পড়ে আর মনে পড়ছে না কী কাজের জন্য সেই ঘরে গিয়েছেন! অথবা কোন বন্ধুকে ফোন করবেন বলে মোবাইল হাতে নেবার পড়ে কোন কারণে ফোন করবেন সেটাই আর মনে পড়ছে না! এমন ঘটনা আমরা দেখি অহরহই। অতিরিক্ত কাজের চাপে অনেক সময় ছোটোখাটো ব্যাপার মনে থাকে না। কিন্তু, এমন ব্যাপার যদি নিয়মিত ঘটতে থাকে তবে সেটার ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। হুট করে কোন কিছু ভুলে যাওয়ার সমস্যাটি ভিটামিন-বি১২ এর ঘাটতির জন্যে দেখা দেয়।
অনেক বেশী ক্লান্ত বোধ করা
নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানোর পরেও যদি সারাদিন ধরে ক্লান্তিভাব কাজ করে তবে বুঝতে হবে শরীরে কোন একটি সমস্যা দেখা দিয়েছে। পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রামের পরেও ক্লান্তিভাব দূর না হওয়া ভিটামিন-বি১২ এর ঘাটতি দেখা দেবার লক্ষণ। শরীরে রক্ত চলাচলের ক্ষেত্রে যত কম লোহিত রক্ত কণিকা থাকবে, যত কম অক্সিজেন পাওয়া যাবে। আর অক্সিজেনের ঘাটতি মানেই শরীরে অবসাদভাব ও ক্লান্তিভাব দেখা দেওয়া।
দূর্বলবোধ হওয়া
খুব সহজ কোন কাজকেও কি অনেক বেশী কষ্টকর বলে মনে হয়? কয়েকটি থালাবাসন ধোয়ার পর অথবা ঘর হালকা গোছানোর পর কি অনেক বেশী দূর্বল মনে হয়? অথবা মনে হতে থাকে অনেক বেশী শারীরিক পরিশ্রমের কাজ করা হয়ে গেছে? অনেক লম্বা সময় ধরে এমন দূর্বল বোধ হলে বুঝতে হবে শরীরে ভিটামিন-বি১২ এর ঘাটতি তৈরি হয়েছে।
দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা দেখা দেওয়া
প্রায়শ দৃষ্টিশক্তির বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেওয়ার লক্ষণ হলো শরীরে ভিটামিন-বি১২ এর অভাব তৈরি হয়েছে। ঘোলা দেখা, চোখের সামনে ঝিরিঝিরি দাগ দেখা, একটি বস্তুকে দুইটি হিসেবে দেখা দেওয়ার মতো সমস্যাগুলো দেখা দেওয়া শুরু করে। এমন ধরণের লক্ষণ দেখা দেওয়া শুরু করলে অপেক্ষা না করে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন। কারণ, ভিটামিন-বি১২ এর অভাবে চোখের স্থায়ী ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
উপরোক্ত যেকোন লক্ষণ প্রতিনিয়ত দেখা দেওয়া শুরু করলে বিলম্ব না করে নিকটস্থ ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। ভিটামিন-বি১২ এর অভাব দেখা দেওয়ার ফলে শরীরে স্থায়ীভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে থাকে। তবে সঠিক সময়ে চিকিৎসা গ্রহণে তা সম্পূর্ণরূপে সারিয়ে তোলা সম্ভব।