পেটে গ্যাস হওয়া খুব প্রচলিত একটি সমস্যা। এটি অস্বস্তি ও বিব্রতকর।
পেটে অস্বস্তি লাগা, পেট ফেঁপে থাকা, জোরে জোরে ঢেঁকুর ওঠা ইত্যাদি হলে
বুঝতে হবে পেটে গ্যাস হয়েছে।
গ্যাসের সমস্যা অতিরিক্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেতে হবে। তবে তার আগে কিছু বিষয় মেনে দেখতে পারেন।
2
কমবেশি অনেকেই গ্যাসের সমস্যায় (অ্যাসিডিটি) ভুগে থাকেন। মূলত পেটে অতিরিক্ত পরিমাণে এসিড হবার কারণে পেটে ব্যথা, গ্যাস, বমিবমি ভাব, মুখে দুর্গন্ধের মতো সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণত বেশি ঝাল ও তৈলাক্ত খাবার খাওয়া, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, দুশ্চিন্তা, ব্যায়াম না করা ইত্যাদির কারণে পেটে গ্যাস তৈরি হয়।
বিভিন্ন ধরনের খাবারের কারণেও গ্যাস হতে পারে। তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তির ওষুধ রান্নাঘর ও ফ্রিজে রাখা কিছু খাবারের মধ্যে লুকিয়ে আছে।চলুন জেনে নেয়া যাক – গ্যাস হলে করনীয় : • ঘুমাবেন না : খাবার খাওয়ার সাথে সাথে ঘুমিয়ে পড়বেন না। কারণ খাবার হজম না হলে পেটে গ্যাস তৈরি করে। • ডাল জাতীয় খাবার খাবেন না : গ্যাস হলে যেকোনো ধরণের ডাল যেমন, মসুরের ডাল, বুট, ছোলা, বীণ, সয়াবিন ইত্যাদি খাবেন না। কারণ এগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, সুগার ও ফাইবার যা সহজে হজম হতে চায় না এবং গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি করে। • তেল জাতীয় খাবার : ডুবো তেলে ভাজা যেকোনো ধরণের তৈলাক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। • শাক-সবজি : যে সবজিগুলো সহজে হজম হয় না যেমন, ব্রকলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পালং শাকে থাকা রাফিনোজ নামক উপাদান পেটে গ্যাস তৈরি করে। গ্যাস নিরাময়ের উপায় : • ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটি করুন : নিয়মিত ব্যায়াম কিংবা সময় নিয়ে হাঁটাহাঁটির অভ্যাস করুন। এতে পেটের মধ্যে গ্যাস জমতে পারবে না। • দই বা মাঠা : দইয়ের মধ্যে রয়েছে প্রোবায়টিক উপাদান যা হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে গ্যাসের ব্যথা কমিয়ে আনে। এছাড়া মাঠাতে থাকা ল্যাক্টিক এসিড গ্যাসকে স্বাভাবিক করে।তাই প্রতিদিন নিয়মিত মাঠা বা দই খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। • শসা : পেট ঠাণ্ডা রাখতে শসার তুলনা হয় না। এতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটে গ্যাসের চাপ কমিয়ে আনে এবং বুকের জ্বালা দূর করে। • আদা : আদা সবচাইতে কার্যকরী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানসমৃদ্ধ খাবার যা গ্যাসের সমস্যা দূর করে। আদা চুষে খেলে কিংবা চা বানিয়ে খেলে এই কষ্ট থেকে রেহাই পাওয়া যায়। • লবঙ্গ : লবঙ্গ তাৎক্ষণিক গ্যাসের ব্যথা কমিয়ে আনে। ২/৩ টি লবঙ্গ মুখে নিয়ে চুষলে কিংবা সমপরিমাণ এলাচ ও লবঙ্গ গুঁড়া খেলে অ্যাসিডিটির জ্বালা এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়। সাময়িক গ্যাসের ব্যথার জন্য উল্লেখিত উপায়গুলো অবলম্বনের পরও যদি ব্যথা না কমে তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পদক্ষেপ নিন। এন/এমকে
গ্যাসের সমস্যা অতিরিক্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেতে হবে। তবে তার আগে কিছু বিষয় মেনে দেখতে পারেন।
- পেটে গ্যাস হলে শুয়ে না থেকে বসে থাকবেন। এতে অনেকটা আরামবোধ হয়।
- পেটে গ্যাস হলে বেশি করে পানি পান করতে হবে।
- রাতে ঘুমাতে যাওয়ার ঠিক আগে আগে খাবার না খেয়ে অন্তত এক থেকে দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেতে হবে। সাধারণত ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে রাতের খাবার সেরে নেওয়াই ভালো।
- পেটে গ্যাস কমাতে ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে।
- এ ছাড়া অতিরিক্ত ঝাল মসলা বা তেলে ভাজা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা ভালো।
2
কমবেশি অনেকেই গ্যাসের সমস্যায় (অ্যাসিডিটি) ভুগে থাকেন। মূলত পেটে অতিরিক্ত পরিমাণে এসিড হবার কারণে পেটে ব্যথা, গ্যাস, বমিবমি ভাব, মুখে দুর্গন্ধের মতো সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণত বেশি ঝাল ও তৈলাক্ত খাবার খাওয়া, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, দুশ্চিন্তা, ব্যায়াম না করা ইত্যাদির কারণে পেটে গ্যাস তৈরি হয়।
বিভিন্ন ধরনের খাবারের কারণেও গ্যাস হতে পারে। তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তির ওষুধ রান্নাঘর ও ফ্রিজে রাখা কিছু খাবারের মধ্যে লুকিয়ে আছে।চলুন জেনে নেয়া যাক – গ্যাস হলে করনীয় : • ঘুমাবেন না : খাবার খাওয়ার সাথে সাথে ঘুমিয়ে পড়বেন না। কারণ খাবার হজম না হলে পেটে গ্যাস তৈরি করে। • ডাল জাতীয় খাবার খাবেন না : গ্যাস হলে যেকোনো ধরণের ডাল যেমন, মসুরের ডাল, বুট, ছোলা, বীণ, সয়াবিন ইত্যাদি খাবেন না। কারণ এগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, সুগার ও ফাইবার যা সহজে হজম হতে চায় না এবং গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি করে। • তেল জাতীয় খাবার : ডুবো তেলে ভাজা যেকোনো ধরণের তৈলাক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। • শাক-সবজি : যে সবজিগুলো সহজে হজম হয় না যেমন, ব্রকলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পালং শাকে থাকা রাফিনোজ নামক উপাদান পেটে গ্যাস তৈরি করে। গ্যাস নিরাময়ের উপায় : • ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটি করুন : নিয়মিত ব্যায়াম কিংবা সময় নিয়ে হাঁটাহাঁটির অভ্যাস করুন। এতে পেটের মধ্যে গ্যাস জমতে পারবে না। • দই বা মাঠা : দইয়ের মধ্যে রয়েছে প্রোবায়টিক উপাদান যা হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে গ্যাসের ব্যথা কমিয়ে আনে। এছাড়া মাঠাতে থাকা ল্যাক্টিক এসিড গ্যাসকে স্বাভাবিক করে।তাই প্রতিদিন নিয়মিত মাঠা বা দই খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। • শসা : পেট ঠাণ্ডা রাখতে শসার তুলনা হয় না। এতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটে গ্যাসের চাপ কমিয়ে আনে এবং বুকের জ্বালা দূর করে। • আদা : আদা সবচাইতে কার্যকরী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানসমৃদ্ধ খাবার যা গ্যাসের সমস্যা দূর করে। আদা চুষে খেলে কিংবা চা বানিয়ে খেলে এই কষ্ট থেকে রেহাই পাওয়া যায়। • লবঙ্গ : লবঙ্গ তাৎক্ষণিক গ্যাসের ব্যথা কমিয়ে আনে। ২/৩ টি লবঙ্গ মুখে নিয়ে চুষলে কিংবা সমপরিমাণ এলাচ ও লবঙ্গ গুঁড়া খেলে অ্যাসিডিটির জ্বালা এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়। সাময়িক গ্যাসের ব্যথার জন্য উল্লেখিত উপায়গুলো অবলম্বনের পরও যদি ব্যথা না কমে তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পদক্ষেপ নিন। এন/এমকে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন